হুগলি, 28 এপ্রিল: করোনার পর থেকে যোগাসনের প্রতি ঝোঁক বেড়েছে নাগরিকদের ৷ আর এই যোগাসনের উপকারিতা জনমানসে তুলে ধরার লক্ষ্যে হেঁটে দেশ ভ্রমণ করছেন কর্ণাটকের যুবক । মাইসুরু থেকে যাত্রা শুরু করেছিলেন কৃষ্ণা নায়েক । ইচ্ছা ছিল ক্রিকেটার হওয়ার । কিন্তু মেরুদন্ডের সমস্যার কারণে সব বন্ধ হয়ে যায় । সুরাহা মেলে মাইসুরুর এক আর্য়ুবেদিক হাসপাতালে চিকিৎসা করে ৷ যোগব্যায়ামের সাহায্যে সুস্থ হন তিনি । সেখানে থেকেই যোগার প্রতি আকৃষ্ট হওয়া । সুস্থ হয়ে এই আর্য়ুবেদিক হাসপাতালে থেকেই প্রশিক্ষণ নিয়ে যোগাসনের শিক্ষকতা করছেন বছর 29 এর কৃষ্ণা নায়েক । পাশপাশি পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধি ও গাছ লাগানোর জন্য প্রচার করছেন এই যুবক ৷
যাত্রা শুরু করে কর্ণাটক, কেরলা, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, মহারাষ্ট্র-সহ 8টি রাজ্য ঘুরে ফেলেছেন 6 মাসে । গত কয়েকদিন আগে ওড়িশা হয়ে হুগলির সিঙ্গুরের মহামায়া স্কুলের ছাত্র ছাত্রীদের যোগাসন শেখানো এবং পরিবেশ সচেতনতার কথাও তুলে ধরেন কৃষ্ণা । তাঁর দাবি যেভাবে মানুষের শরীরের রোগের প্রকোপ বাড়ছে ৷ তার জন্য যোগা নিয়মিত অভ্যাস খুবই প্রয়োজন । এছাড়াও গাছ লাগানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ ।
আরও পডুন : গাছ কেটে বহুতল, নেই আইনের বালাই; খাতায়-কলমে চলছে আর্থ ডে
কৃষ্ণা নায়েক বলেন, "ভারতের 28টি রাজ্য পদযাত্রা করেছি । বিভিন্ন রাজ্য ইতিমধ্যেই ভ্রমণ করে ফেলেছি । এখন প্রায় ছয় মাস শেষ হতে চলল । এই পদযাত্রার লক্ষ্য কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে যোগা ও পরিবেশের ব্যাপারে সচেতন করা ৷ আমি একজন যোগা শিক্ষক । পরিবেশ ঠিক হলে আমাদের দেশের ভালো হবে । তিনবছর আগে করোনার সময় এই চিন্তা মাথায় এসেছিল । পথ চলার সময় প্রতিদিন সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করি, তাদের যোগ করতে আহ্বান জানাই । দেশবাসীর কাছে আমার অনুরোধ, সুস্থ থাকতে প্রতিদিন যোগ অভ্যাস করতে হবে । আর গাছ লাগাতে হবে । এই দু’টো জিনিস মানব জীবনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ । সকলের কাছে আবেদন আমার এই প্রচার সফল করুন ।"