ETV Bharat / state

সিঙ্গুরে হারের অন্যতম কারণ দলের একাংশের দুর্নীতি, দাবি রবীন্দ্রনাথের - রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য

সিঙ্গুরসহ জেলায় লোকসভা নির্বাচনে দলের ভরাডুবি হয়েছে । কিন্তু কেন? কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে গোষ্ঠী কোন্দল ও দলের আর্থিক দুর্নীতিকেই দায়ি করেছেন সিঙ্গুরের তৃণমূল বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য ।

রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য
author img

By

Published : Jun 9, 2019, 9:38 PM IST

সিঙ্গুর, 9 জুন : বিরোধীনেত্রী থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী । সিঙ্গুর আন্দোলনই 2011 সালে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জিকে শাসকের আসনে বসিয়েছিল । কিন্তু এবারের লোকসভা নির্বাচনে হুগলি লোকসভা কেন্দ্র দখলে গেছে BJP-র । কিন্তু, মাত্র 8 বছরের মধ্যেই জেলায় কেন এমন ভারডুবি তৃণমূলের ? এপ্রসঙ্গে সিঙ্গুরের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ও আর্থিক দুর্নীতিকেই দায়ি করেছেন । সেইসঙ্গে BJP-র টাকার বিনিময়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার প্রসঙ্গও তুলে ধরেন ।

রবীন্দ্রনাথবাবু বলেন, "আইনি জটিলতার কারণে কৃষকদের জমি ফেরত না পাওয়া একটা বড় কারণ । সেইসঙ্গে বিভিন্ন কারণে কিছু জমি এখনও চাষের উপযোগী হয়ে ওঠেনি ।" তবে এটাও উল্লেখ করেন যে সিঙ্গুরের কয়েকজন বিক্ষুব্ধ কৃষক লোকসভার সার্বিক ফলাফলকে প্রভাবিত করতে পারেনি । সিঙ্গুরের এই ফলাফলের জন্য দলের গোষ্ঠী-কোন্দলকেই তিনি দায়ি করেছেন । তিনি আরও বলেন, "দলের মধ্যে আর্থিক দুর্নীতি রয়েছে । BJP টাকার বিনিময়ে ভোট কিনেছে যা ভোটারদের প্রভাবিত করেছে । "

বিক্ষুব্ধ কৃষকদের একাংশ আবার শিল্পের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছে সিঙ্গুরে । এপ্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথবাবুর বক্তব্য, দাবি তুলতেই পারে । সবার নিজের মতামত প্রকাশের অধিকার রয়েছে । তবে এখন জমি কৃষকদের হাতে থাকলেও শিল্প স্থাপনের জন্য সরকারি সহযোগিতা প্রয়োজন । আইনি পথে নতুন করে সেক্ষেত্রে জমি অধিগ্রহণ করতে হবে । আর সরকার তখনই এগিয়ে আসবে যদি 75 থেকে 80 শতাংশ কৃষক জমি দিতে রাজি থাকে । সেইসঙ্গে তিনি বলেন, "আমরা চাই শুধু ওই জমিতেই নয়, সিঙ্গুরের অন্যত্রও শিল্প স্থাপিত হোক । যেখানে অবাধে জমি কেনাবেচার মাধ্যমে ছোটো, বড়, মাঝারি শিল্প স্থাপিত হতে পারে । আমরা শিল্পের বিরোধী নই । জোর করে কৃষকদের জমি শিল্পপতিদের হাতে তুলে দেওয়ার বিরোধী ।"

সিঙ্গুর, 9 জুন : বিরোধীনেত্রী থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী । সিঙ্গুর আন্দোলনই 2011 সালে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জিকে শাসকের আসনে বসিয়েছিল । কিন্তু এবারের লোকসভা নির্বাচনে হুগলি লোকসভা কেন্দ্র দখলে গেছে BJP-র । কিন্তু, মাত্র 8 বছরের মধ্যেই জেলায় কেন এমন ভারডুবি তৃণমূলের ? এপ্রসঙ্গে সিঙ্গুরের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ও আর্থিক দুর্নীতিকেই দায়ি করেছেন । সেইসঙ্গে BJP-র টাকার বিনিময়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার প্রসঙ্গও তুলে ধরেন ।

রবীন্দ্রনাথবাবু বলেন, "আইনি জটিলতার কারণে কৃষকদের জমি ফেরত না পাওয়া একটা বড় কারণ । সেইসঙ্গে বিভিন্ন কারণে কিছু জমি এখনও চাষের উপযোগী হয়ে ওঠেনি ।" তবে এটাও উল্লেখ করেন যে সিঙ্গুরের কয়েকজন বিক্ষুব্ধ কৃষক লোকসভার সার্বিক ফলাফলকে প্রভাবিত করতে পারেনি । সিঙ্গুরের এই ফলাফলের জন্য দলের গোষ্ঠী-কোন্দলকেই তিনি দায়ি করেছেন । তিনি আরও বলেন, "দলের মধ্যে আর্থিক দুর্নীতি রয়েছে । BJP টাকার বিনিময়ে ভোট কিনেছে যা ভোটারদের প্রভাবিত করেছে । "

বিক্ষুব্ধ কৃষকদের একাংশ আবার শিল্পের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছে সিঙ্গুরে । এপ্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথবাবুর বক্তব্য, দাবি তুলতেই পারে । সবার নিজের মতামত প্রকাশের অধিকার রয়েছে । তবে এখন জমি কৃষকদের হাতে থাকলেও শিল্প স্থাপনের জন্য সরকারি সহযোগিতা প্রয়োজন । আইনি পথে নতুন করে সেক্ষেত্রে জমি অধিগ্রহণ করতে হবে । আর সরকার তখনই এগিয়ে আসবে যদি 75 থেকে 80 শতাংশ কৃষক জমি দিতে রাজি থাকে । সেইসঙ্গে তিনি বলেন, "আমরা চাই শুধু ওই জমিতেই নয়, সিঙ্গুরের অন্যত্রও শিল্প স্থাপিত হোক । যেখানে অবাধে জমি কেনাবেচার মাধ্যমে ছোটো, বড়, মাঝারি শিল্প স্থাপিত হতে পারে । আমরা শিল্পের বিরোধী নই । জোর করে কৃষকদের জমি শিল্পপতিদের হাতে তুলে দেওয়ার বিরোধী ।"

Intro:সিঙ্গুর প্রসঙ্গে হুগলির সাংগঠনিক বৈঠক নিয়ে মমতা ব্যানার্জীর ক্ষোভে মুখে পড়তে হয় বিভিন্ন নেতাদের।সিঙ্গুর জমি ফেরতের পরও কেন সিঙ্গুরের মানুষ তৃণমূল বর্জন করেছে।সেই প্রসঙ্গে আজ মুখ খুললেন সিঙ্গুর বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য।সিঙ্গুর সহ জেলার বিভিন্ন জায়গায় গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের ফলেই তৃণমূলের এই হার।শুধু একটা নয় তার মতে একাধিক কারণে তৃণমূলের থেকে বিমুখ সাধারণ মানুষ।দলের মধ্যে অর্থনৈতিক দুর্নীতির ফলে এর প্রভাব পড়তে পারে বলে ধারণা তার।বিজেপি অর্থ দিয়ে ভোটার দের প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছে বলে দাবি করেছেন তিনি।আর সিঙ্গুরে শিল্প এর পরিপ্রেক্ষিতে তার মত কৃষকরা যদি চায় শিল্প হবে।আমরা শিল্পের বিরোধী নই।জোর করে কৃষকদের কাছ থেকে জমি কেড়ে নিয়ে শিল্পপতিদের হাতে তুলে দেওয়ায় বিরোধী আমরা।

রবীন্দ্রনাথবাবু এদিন স্বীকার করে নিয়েছেন সিঙ্গুরের কিছু জমি সম্পূর্ণ ভাবে এখনো চাষের উপযোগী হয়ে ওঠেনি।কারখানা চত্তরে অনেক জমি এখনো কংক্রিট আছে।কোন জমি আবার জলা জমি ও বন হয়ে পড়ে আছে।সেই গুলিকে পরিষ্কার করে করলে সম্পূর্ণ ভাবে জমি চাষিরা ফেরত পাবে।তবে তার মতে আইনি জটিলতা কৃষকরা জমি ফেরত না পাওয়া একটা বড় কারণ।সিঙ্গুরের চাষীদের দাবি থাকতেই পারে শিল্প হোক।কিন্তু কিছু মুষ্টিমেয় কৃষকের কথা শিল্প হওয়া সম্ভব নয়।তারজন্য শিল্প পতি আসতে হবে।সরকারকে জমি অধিগ্রহণ আইন আনতে হবে।যদি 75 থেকে 80 শতাংশ কৃষক রাজি থাকে তাহলে সরকারি সাহায্যে অধিগ্রহণ আইন এনে শিল্প করা সম্ভব।শুধু সিঙ্গুরে র ঐ কারখানা চত্তর না।আরো যে সমস্ত জায়গা আছে সেখানে ছোট বড় মাঝারি শিল্প করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।
Body:WB_HGL_09JUNE SINGUR REX RABINDRA NATH BHATTERJEE_7203418Conclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.