হুগলি, 25 ডিসেম্বর: জাতীয় সড়কে ইথানল ভরতি ট্র্যাঙ্কারে আগুন ৷ দমকলের কয়েকটি ইঞ্জিন দীর্ঘ আড়াই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ৷ রবিবার সিঙ্গুর জাতীয় সড়কে রতনপুরের কাছে আগুন লাগার ঘটনাটি ঘটেছে ৷ ইথানল ভরতি ট্যাংকারে আগুন লাগার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন সিঙ্গুর থানার পুলিশ ও উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা ৷ আগ্নিকাণ্ডের জেরে দীর্ঘক্ষণ যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায় ৷ প্রাণে বেঁচেছেন চালক ও খালসি ৷
পুলিশ সূত্রে খবর, 40 হাজার লিটারের ইথানল ভরতি একটি ট্র্যাঙ্কার সিঙ্গুর জাতীয় সড়ক দিয়ে লখনউ থেকে হলদিয়া যাচ্ছিল। সেই সময় হঠাৎই ইঞ্জিনে আগুন লেগে যায়। নিমেষের মধ্যে আগুন লাগার খবর ছড়িয়ে পড়ে ৷ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন পুলিশ ও দমকলের আধিকারিকরা ৷ ফোম দিয়ে নিয়ন্ত্রণে আনা হয় ৷
প্রাথমিতভাবে দমকলকর্মীদের অনুমান গাড়ির ইঞ্জিন গরম হয়ে গিয়ে শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে ৷ তবে ইথনল দাহ্য বস্তু ৷ গাড়িতে আগুন লাগায় ট্যাঙ্কার বিষ্ফোরণের ঘটনাও ঘটতে পারত ৷ তাই নিরাপত্তার কারণে বেশ কিছুক্ষণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল কলকাতাগামী রাস্তা ৷ প্রায় আড়াই ঘণ্টা বন্দ থাকে যান চলাচাল ৷ যার জেরে সৃষ্টি হয় যানজট ৷ বেশ কয়েকঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে যানজট ৷
ঘটনা প্রসঙ্গে হুগলি গ্রামীণ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লাল্টু হালদার বলেন "চালক শ্যাম গিরি উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা । তিনি লখনউ থেকে দাহ্য ইথানল ভরতি গাড়ি নিয়ে আসছিলেন । জাতীয় সড়কে উঠতেই একটি গাড়িতে আগুন লেগে যায়। ইথানল থাকায় নিমেষের মধ্যে আগুন আগ্রাসী চেহারা নেয় । একটু অসাবধান হলেই ট্র্যাঙ্কর বিষ্ফোরণের মতো বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত ।" তবে পুলিশ ও দমকল কর্মীদের তৎপরতায় দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে ৷ তবে ইথানলের মতো দাহ্য ভরতি ট্যাঙ্কারে কীভাবে আগুন লাগল তা জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে ৷
আরও পড়ুন: