ETV Bharat / state

শ্রীরামপুর কোভিড হাসপাতালে কাজ বন্ধ করে বিক্ষোভ সাফাইকর্মীদের

author img

By

Published : Sep 15, 2020, 10:49 PM IST

শ্রীরামপুর কোভিড হাসপাতাল পরিচ্ছন্ন রাখা যাদের কাজ সেই সাফাইকর্মীরা জীবনের বাজি রেখে কাজ করে যাচ্ছেন । কিন্তু গত চার মাস ধরে তাঁরা বেতন পাচ্ছেন না । সরকারের নিযুক্ত ঠিকাদার তাঁদের বেতন দেয়নি । সিকিউরিটি ও স্টাফরাও বেতন পাননি এপ্রিল মাস থেকে । সেই কারণে সাফাইকর্মীরা কাজ বন্ধ করে দেয় ।

health workers protest
health workers protest

শ্রীরামপুর, 15 সেপ্টেম্বর : বেশ কয়েকমাস ধরে ঠিকাদাররা ঠিকমতো বেতন না দেওয়ায় সাফাইকর্মীরা আজ সকাল থেকে কাজ বন্ধ করে দেয় । এর ফলে শ্রমজীবী কোভিড হাসপাতালে অচলাবস্থায় পরিণত হয় । কারণ রোগীদের ওয়ার্ড সাফাই না হলে নার্স চিকিংসকদেরও কাজে অসুবিধার সৃষ্টি হয় । হাসপাতালের বর্জ্য জমে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয় । পরে বিষয়টি নজরে আসতেই জেলা প্রশাসনের তরফে আশ্বস্ত করা হয়।

কোভিড সংক্রমণ শুরু হতেই শ্রীরামপুর শ্রমজীবী হাসপাতালকে কোভিড হাসপাতালে পরিনত করা হয় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে । বিভিন্ন সময় পর্যবেক্ষণ দল এসে হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবায় সন্তুষ্টও হয়েছেন । কোভিড আক্রান্তদের চিকিংসায় শ্রমজীবী বেশ সুনামের সঙ্গে কাজ করছে গত ছয় মাস ধরে । হাসপাতাল পরিচ্ছন্ন রাখা যাদের কাজ সেই সাফাইকর্মীরা জীবনের বাজি রেখে কাজ করে যাচ্ছেন । কিন্তু গত চার মাস ধরে তাঁরা বেতন পাচ্ছেন না । সরকারের নিযুক্ত ঠিকাদার তাঁদের বেতন দেয়নি । সিকিউরিটি ও স্টাফরাও বেতন পাননি এপ্রিল মাস থেকে । সেই কারণে সাফাইকর্মীরা কাজ বন্ধ করে দেয় ।

এক সাফাইকর্মী ইন্দ্রনীল মণ্ডল বলেন, "দীর্ঘ চার মাস ধরে মাইনে পাচ্ছি না । তাই আমরা 17 জন কর্মী কাজ বন্ধ করে দিয়েছি । হাসপাতাল সমস্যার মুখে পড়বে ঠিকই । কিন্তু আমরা সকলকে জানিয়েও কোন ফল হয়নি । আমাদের নিয়ে কেউ চিন্তা ভাবনা করছে না । তাই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি ।"

হাসপাতালের সহসম্পাদক গৌতম সরকার বলেন, "ঠিকাদার প্রতিমাসে সাফাই কর্মীদের বেতন দিচ্ছে না । এই চার মাস তাঁদের বেতন বন্ধ করে দেয় । নিয়ম অনুযায়ী ঠিকাদার মাসের প্রথমে বেতন দেবে সরকারের কাছে বিল করে টাকা নিয়ে নেবে । সাফাইকর্মীরা যদি কাজ বন্ধ করে দেয় সেক্ষত্রে প্রচন্ড সমস্যার মধ্যে পড়তে হবে ।জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ওরা কাজ করছে ।সাফাই কর্মীদের দাবি প্রত্যেক মাসের বেতন তাঁদের দিয়ে দেওয়া হোক । ওরা তো বেতন বাড়ানো দাবি করছে না । যাতে তাঁদের সংসার চালাতে পারে ।"

অন্যান্য আধিকারিকরা আসেন সাফাই কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা মেটানোর ব্যবস্থা করেন । কোভিডের নোডাল অফিসার আশ্বাস দিয়েছেন যে 18 তারিখের মধ্যে সমস্ত টাকা মিটিয়ে দেওয়া হবে । সেই সঙ্গে মাসের দশ তারিখের মধ্যে বেতন দেওয়া হবে ।

শ্রীরামপুর, 15 সেপ্টেম্বর : বেশ কয়েকমাস ধরে ঠিকাদাররা ঠিকমতো বেতন না দেওয়ায় সাফাইকর্মীরা আজ সকাল থেকে কাজ বন্ধ করে দেয় । এর ফলে শ্রমজীবী কোভিড হাসপাতালে অচলাবস্থায় পরিণত হয় । কারণ রোগীদের ওয়ার্ড সাফাই না হলে নার্স চিকিংসকদেরও কাজে অসুবিধার সৃষ্টি হয় । হাসপাতালের বর্জ্য জমে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয় । পরে বিষয়টি নজরে আসতেই জেলা প্রশাসনের তরফে আশ্বস্ত করা হয়।

কোভিড সংক্রমণ শুরু হতেই শ্রীরামপুর শ্রমজীবী হাসপাতালকে কোভিড হাসপাতালে পরিনত করা হয় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে । বিভিন্ন সময় পর্যবেক্ষণ দল এসে হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবায় সন্তুষ্টও হয়েছেন । কোভিড আক্রান্তদের চিকিংসায় শ্রমজীবী বেশ সুনামের সঙ্গে কাজ করছে গত ছয় মাস ধরে । হাসপাতাল পরিচ্ছন্ন রাখা যাদের কাজ সেই সাফাইকর্মীরা জীবনের বাজি রেখে কাজ করে যাচ্ছেন । কিন্তু গত চার মাস ধরে তাঁরা বেতন পাচ্ছেন না । সরকারের নিযুক্ত ঠিকাদার তাঁদের বেতন দেয়নি । সিকিউরিটি ও স্টাফরাও বেতন পাননি এপ্রিল মাস থেকে । সেই কারণে সাফাইকর্মীরা কাজ বন্ধ করে দেয় ।

এক সাফাইকর্মী ইন্দ্রনীল মণ্ডল বলেন, "দীর্ঘ চার মাস ধরে মাইনে পাচ্ছি না । তাই আমরা 17 জন কর্মী কাজ বন্ধ করে দিয়েছি । হাসপাতাল সমস্যার মুখে পড়বে ঠিকই । কিন্তু আমরা সকলকে জানিয়েও কোন ফল হয়নি । আমাদের নিয়ে কেউ চিন্তা ভাবনা করছে না । তাই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি ।"

হাসপাতালের সহসম্পাদক গৌতম সরকার বলেন, "ঠিকাদার প্রতিমাসে সাফাই কর্মীদের বেতন দিচ্ছে না । এই চার মাস তাঁদের বেতন বন্ধ করে দেয় । নিয়ম অনুযায়ী ঠিকাদার মাসের প্রথমে বেতন দেবে সরকারের কাছে বিল করে টাকা নিয়ে নেবে । সাফাইকর্মীরা যদি কাজ বন্ধ করে দেয় সেক্ষত্রে প্রচন্ড সমস্যার মধ্যে পড়তে হবে ।জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ওরা কাজ করছে ।সাফাই কর্মীদের দাবি প্রত্যেক মাসের বেতন তাঁদের দিয়ে দেওয়া হোক । ওরা তো বেতন বাড়ানো দাবি করছে না । যাতে তাঁদের সংসার চালাতে পারে ।"

অন্যান্য আধিকারিকরা আসেন সাফাই কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা মেটানোর ব্যবস্থা করেন । কোভিডের নোডাল অফিসার আশ্বাস দিয়েছেন যে 18 তারিখের মধ্যে সমস্ত টাকা মিটিয়ে দেওয়া হবে । সেই সঙ্গে মাসের দশ তারিখের মধ্যে বেতন দেওয়া হবে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.