হুগলি, 13 মার্চ: বিক্ষোভের মুখে তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা ৷ রবিবার রাতে ফুরফুরায় হুজুর আবু বক্কর সিদ্দিকীর মাজার থেকে ফেরার সময় নওশাদ সিদ্দিকীর সমর্থকরা ক্যানিং পূর্ব কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়কের গাড়ি দেখে চোর চোর স্লোগান দিতে থাকে । এছাড়াও শিরায় শিরায় রক্ত, ভাইজানের ভক্ত বলেও এদিন স্লোগান দেওয়া হয় তাঁকে উদ্দেশ্য করে (Saokat Molla in Protests by Nawsad Supporters)৷ শওকত মোল্লা এদিন ত্বহা সিদ্দিকীর সঙ্গে দেখা করতে আসেন । এরপর বড় হুজুরে মাজারে যান । সেখান থেকে যাওয়ার পথে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেয় ফুরফুরার ভাইজান সমর্থকরা ।
রাজনৈতিক মহলের ধারণা সামনেই পঞ্চায়েত ভোট ৷ তাই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভোটকে পাখির চোখ করেই তৃণমূলের একাধিক নেতার আগমন হচ্ছে । এর আগে ফুরফুরা উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান ঘোষণার পর ববি হাকিম আসেন এখানে । এরপর রবিবার রাতে ভাঙড়ের পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর হাজির হন শওকত মোল্লা । যদিও এসব কিছুতে গুরুত্ব দিতে রাজি নয় শওকত মোল্লা ও ত্বহা সিদ্দিকী । তৃণমূল নেতার দাবি তিনি আগেও এসেছেন । তবে ফুরফুরায় ধার্মিক অনুষ্ঠানের পর রাতের অন্ধকারে আশা নিয়ে প্রশ্ন চিহ্ন তুলেছে বিরোধীরা ।
শওকত মোল্লার ফুরফুরা আসা সৌজন্য সাক্ষাৎ ও দোয়া নেওয়ার জন্য বলে দাবি ত্বহা সিদ্দিকির । এই বিষয়ে তিনি জানান, তাঁর কাছে সব রাজনৈতিক দলের মানুষ আসেন দোয়া নিতে । তিনি সবসময় উন্নয়নের পক্ষে ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে কথা বলেন । ভাইপো নওশাদ সিদ্দিকী রাজনীতি করলেও সেটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার ।
শওকত মোল্লা এদিন বলেন, "মাঝে মধ্যে এখানে আসি পীরজাদাদের দোয়া নিতে । আজও এই কারণে এসেছি । পীরজাদাদের সম্মান করি । তবে নওশাদ ও আব্বাস সিদ্দিকীরা রাজনীতি করেন তাই ওদের সম্মান করি না । অন্য পীরজাদাদের সম্মান করি ।পঞ্চায়েত ভোটে শাসকদল শূন্য হয়ে যাবে বলে ভাঙড়ে যে দাবি করেছেন নওশাদ তার পরিপ্রেক্ষিতে শওকত মোল্লার এই দাবি সময়েই কথা বলবে । কারণ ভাঙড়ের মানুষ জানে কতটা উন্নয়ন করেছে মুখ্যমন্ত্রী । ভাঙড়ের মানুষ তাদের সঙ্গে আছে ।"
শওকত মোল্লাকে পালটা আক্রমণ নওশাদ সিদ্দিকী বলেন,"রাজনীতি করলে তাদের তো খাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে । ওনাদের দুর্নীতি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে আমি রাজনীতিতে এসেছি বলে । আসলে ওদের লড়াই সিন্ডিকেটের লড়াই, কে ক'টা গাছ বিক্রি করবে, কে কত বালি বিক্রি করবে তার লড়াই । কে আবাস যোজনার ক'টা বাড়ি দু নম্বরই করে বিক্রি করতে পারবে তা নিয়ে ওদের নিজেদের মধ্যে লড়াই । ভাঙড়ে মুখ্যমন্ত্রী নওশাদ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে গিয়ে প্রচার করেছিলেন তা সত্ত্বেও ভাঙড়ের মানুষ নওশাদ সিদ্দিকীকে ভোট দিয়ে জিতিয়েছে ।"
আরও পড়ুন : 'মাথা ডিসকানেক্টেড হয়ে গিয়েছে', অসিত মজুমদারের বিরুদ্ধে মামলার ভাবনা লকেটের