চন্দননগর, 20 মে: হুগলি জেলায় বাড়ছে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা । সরকারিভাবে গড়ে প্রতিদিন 10 জনের মৃত্যু হচ্ছে । লকডাউনের চতুর্থ দিনেও করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা কমেনি । এই পরিস্থিতিতে দিশেহারা সরকারি হাসপাতাল থেকে বেসরকারি হাসপাতালগুলি ৷ তার মধ্যেই করোনা রোগীদের হাতে গোলাপ তুলে দিলেন চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালের নার্সিং সুপারিনটেন্ডেন্ট ভগবতী ভট্টাচার্য । চারিদিকে শোকের পরিবেশ ৷ তার মধ্যেই রোগীদের মুখে যদি একটু হলেও হাসি ফোটানো যায় সেই লক্ষ্যে হাসপাতালের তরফে এই পদক্ষেপ বলে জানান তিনি । চিকিৎসা শেষে বাড়ি যাওয়ার সময় গোলাপ ফুল দেওয়া হচ্ছে রোগীদের ৷
এমনিতেই ভ্যাকসিন পাওয়া যাচ্ছে না ৷ তার ওপর করোনা হাসপাতালে রোগীরা ভর্তি হওয়ার পর তাঁদের আর কোনও খবর পাচ্ছেন না পরিজনরা । অক্সিজেনের ব্যবস্থা-সহ অন্যান্য পরিকাঠামোও খুব একটা ভাল নয় এই হাসপাতালগুলিতে । বেসরকারি হাসপাতাল বা নার্সিংহোমগুলিতে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করেও রোগীদের মৃত্যু অব্যাহত ৷ পর্যাপ্ত করোনা টেস্ট হলেও, চিকিৎসা নিয়ে ভুড়ি ভুড়ি অভিযোগ উঠেছে । এর মধ্যে আবার তৃতীয় ঢেউ এলে পরিস্থিতি আরও কঠিন হবে ৷
হুগলিতে কোভিড হাসপাতালের সংখ্যা আটটি । পাশাপাশি বেশ কিছু ব্লক হাসপাতালেও করোনা চিকিৎসা চলছে । হুগলিতে সরকারি উদ্যোগে সেফ হোম তৈরি করা হয়েছে 10টি । আবার কিছু ক্লাব সংগঠনের পক্ষ থেকেও সেফ হোম তৈরি করা হয়েছে । জেলাতে প্রতিদিন আড়াই হাজার করোনা টেস্ট করা হচ্ছে । মূলত ব্যান্ডেল ইএসআই, চুঁচুড়া জেলা হাসপাতাল, চন্দননগর মহকুমা হাসপাতাল , শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতাল, সিঙ্গুর ট্রমা কেয়ার, আরামবাগ সুপার স্পেশালিটি ও উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতাল-সহ আরও একটি হাসপাতালকে কোভিড হাসপাতাল বানানো হয়েছে । হুগলিতে বর্তমানে 600 জন করোনা রোগী ভর্তি আছেন । ইতিমধ্যেই 87 জন স্বাস্থ্য কর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন । 17 মে পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে 7 হাজার 300 । মৃত্যু হয়েছে 664 জনের ।