আরামবাগ, 27 মে : "পড়াতে গেলে তো একটা খরচা আছে । সেইটা পেরে উঠতে পারব কি না বুঝতে পারছি না ।" বললেন রাজ্যে নবম স্থানাধিকারী হুগলির আরামবাগের মুথাডাঙ্গা রামকৃষ্ণ হাইস্কুলের ছাত্রী প্রিয়া মুরালির বাবা নির্মল মুরালি । তাঁত বুনে কোনওরকমে সংসার চলে । তারই মধ্যে 4জন প্রাইভেট টিউটর রেখে মেয়েকে পড়িয়েছেন । তবে অনেকেই সহযোগিতা করেছেন সেকথাও স্বীকার করলেন তিনি । মেয়ের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত কিন্তু ভবিষ্যতে মেয়ের পড়াশোনা কীভাবে চালাবেন তা নিয়েও বেশ চিন্তিত । চোখের কোণে জল নিয়ে মেয়ের ভবিষ্যতের জন্য সহযোগিতার আবেদন করেন । সরকার তাদের সাহায্য করলে তবেই মেয়ের পড়াশোনা চালাতে পারবেন বলে মনে করছেন নির্মলবাবু ।
কলা বিভাগে প্রিয়ার প্রাপ্ত নম্বর 487 । মেয়ের সাফল্যের এই খবর পেয়ে উচ্ছ্বসিত তার পরিবার । এই বিষয়ে প্রিয়ার কাছে জানতে চাওয়া হলে তার প্রতিক্রিয়া, "খুব খুশি হয়েছি । আশা করিনি যে আমাকে টিভিতে দেখানো হবে । কিন্তু স্কুলের মধ্যে ফার্স্ট হব এটা আশা করেছিলাম । তবে এতটা আশা করিনি । আমি তো বিশ্বাসই করতে পারছি না যে আমি ওরকম হয়েছি । "
দিনে কতক্ষণ পড়াশোনা করতে ?
প্রিয়া মুরালি বলে, "14-15 ঘণ্টা পড়তাম । বাকি সময়টা মায়ের কাজে সাহায্য করতাম । "
কী করতে ভালো লাগে ?
প্রিয়া মুরালী বলে, "খেলাধুলো করতে ভালো লাগে । টিভি দেখতে ভালো লাগে ।"
তোমার এই সাফল্যের পিছনে অবদান কার ?
প্রিয়া মুরালি বলে,"বাবা, মা ও পরিবারের সবাই । তারা আমাকে সবরকম সাহায্য করেছে ।"
কতজন প্রাইভেট টিউটর ছিলেন?
প্রিয়া মুরালি বলে, "4 জন । "
প্রিয়ার বাবা নির্মল মুরালি মেয়ের এই সাফল্যে খুব খুশি হয়েছেন । তিনি জানান, তাঁত বুনে তাঁদের দিন চলে । খুব কষ্ট করে মেয়ের পড়াশোনার খরচের জুগিয়েছেন । অনেকেই সাহায্য করেছেন । ভবিষ্যতে মেয়েকে কী নিয়ে পড়াবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, "মেয়েকে কী নিয়ে পড়াব এখনও ঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি । পড়াতে গেলে তো একটা খরচা আছে । সেইটা পেরে উঠতে পারব কি না সেটা বুঝতে পারছি না । "