ETV Bharat / state

স্পেশাল কেয়ার ওয়ার্ডে রোগীর মৃত্যুকে ঘিরে উত্তেজনা, আত্মহত্যার দাবি হাসপাতালের; মানতে নারাজ পরিবার

Patient Death in Gourhati ESI Hospital: হাসপাতালের স্পেশাল কেয়ার ওয়ার্ডে রোগীর মৃত্যুর ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা চন্দননগরে ৷ তরুণ আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি হাসপাতালের ৷ তবে এই দাবি মানতে চাইছেন না রোগীর পরিবার ৷ উলটে গাফিতলির অভিযোগ তুলে হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখায় তারা ৷

Gourhati ESI Hospital
চন্দননগরের গৌরহাটি ইএসআই হাসপাতাল
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Nov 28, 2023, 5:57 PM IST

স্পেশাল কেয়ার ওয়ার্ডে রোগীর মৃত্যুকে ঘিরে উত্তেজনা

চন্দননগর, 28 নভেম্বর: স্পেশাল কেয়ার ওয়ার্ডে থাকা রোগীর অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা হাসপাতাল চত্বরে ৷ রোগী আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ৷ তবে সেই দাবি মানতে নারাজ রোগীর পরিবার ৷ পালটা হাসপাতালের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে রোগীর পরিবার ৷ ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির চন্দননগরের গৌরহাটি ইএসআই হাসপাতালে । মৃত রোগীর নাম রবীন সিং(19)। বাড়ি ভদ্রেশ্বর বাবুবাজার এলাকায় । চন্দননগর থানার পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য দেহ চুঁচুড়ার ইমামবাড়া হাসপাতালে পাঠিয়েছে ৷

জানা গিয়েছে, গত 12 নভেম্বর গৌরহাটি ইএস আই হাসপাতালে পেটে ব্যথা নিয়ে রবীনকে ভরতি করেছিল পরিবার । তবে তাঁর পরিস্থিতি খারাপ থাকায় তাঁকে আরও ভালো চিকিৎসার জন্য বজবজের একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় । সেখানেই 19 নভেম্বর রবীনের অস্ত্রোপচার হয় । রবীনের পরিস্থিতি ঠিক থাকায় পর্যবেক্ষণে রাখার জন্য আবার তাঁকে গৌরহাটিতে ফেরত পাঠায় ওই হাসপাতাল । সোমবার রাত 8টা নাগাদ রবীনকে ফের ইএসআই হাসপাতালে ভরতি করা হয় । কিন্তু হঠাৎ অবস্থার অবনতি হয় তাঁর ৷ হাসপাতালের তরফে পরিবারকে সেকথা জানানো হয় ৷ রবীনের পরিবার হাসপাতালে পৌঁছলে কর্তৃপক্ষ বলে, আত্মহত্যা করেছেন তিনি । এইচডিইউ-2 বেডে ভরতি ছিলেন ওই তরুণ। হাসপাতালের কর্মরত নার্স ও কর্মীদের দাবি, বেডের পর্দা টাঙানোর অ্যালুমিয়ান বারে গামছা দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়েছেন রবীন । তবে তাঁদের এই দাবি কোনওভাবেই মেনে নিতে চায়নি রোগীর পরিবার ।

এইচডিইউ-এর ভিতর স্পেশাল কেয়ার থাকে । সেখানে একজন অসুস্থ রোগী কীভাবে আত্মহত্যা করল, প্রশ্ন তোলে রবীনের পরিবার ৷ এরপরই ভোর থেকেই যুবকের পরিবার ও এলাকাবাসীরা হাসপাতালে জড়ো হতেই উত্তেজনা বাড়ে ৷ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ এনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে তারা ৷ ঘটনাস্থলে আসে চন্দননগর ও ভদ্রেশ্বর থানার পুলিশ বাহিনী ও র‍্যাফ ।

রবীনের প্রতিবেশী চন্দ্রেস রায়ের দাবি, "রবীন যদি আত্মহত্যা করে তাহলে একটা ছবি তো তুলে রাখবে । এইচডিইউ-এর মধ্যে কী করে এই ঘটনা ঘটতে পারে । পুলিশকে ও পরিবারকে কিছু জানানো হয়নি । একজন রোগী কীভাবে অসুস্থ অবস্থায় আত্নহত্যা করল । এটা পুরোপুরি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতি ।" অন্যদিকে হাসপাতালের কর্মী পুলককুমার ধারার দাবি, "রোগী আত্মহত্যা করেছে দেখে আমরা নামিয়ে চিকিৎসা করার চেষ্টা করি । সেই সময় ছবি তোলা সম্ভব হয়নি ।"

ভদ্রেশ্বর পৌরসভার চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল প্রকাশ গোস্বামী ঘটনার খবর পেয়ে ইএসআই হাসপাতালে আসেন । হাসপাতালের নার্স এবং কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি ৷ তাঁর কথায়, "আমার পৌরসভা এলাকার বাবুবাজারের বাসিন্দা ওই তরুণ । এইচডিইউ ওয়ার্ডের ভেতরে যেভাবে মৃত্যু হয়েছে তাতে হাসপাতালের গাফিলতি স্পষ্ট । পুলিশকে বলেছি বিষয়টি দেখতে । পুলিশ বলেছে স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেটকে তদন্তে যুক্ত করা হচ্ছে ।"

আরও পড়ুন:

  1. হাসপাতাল থেকে ঝাঁপ দিয়ে মৃত্যু রোগীর, চাঞ্চল্য জলপাইগুড়িতে
  2. অন্তঃসত্ত্বা বধূর মৃত্যু ঘিরে ধুন্ধুমার বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে
  3. রোগীমৃত্যুতে গাফিলতির অভিযোগ, দুর্গাপুরের হাসপাতালে বিক্ষোভ

স্পেশাল কেয়ার ওয়ার্ডে রোগীর মৃত্যুকে ঘিরে উত্তেজনা

চন্দননগর, 28 নভেম্বর: স্পেশাল কেয়ার ওয়ার্ডে থাকা রোগীর অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা হাসপাতাল চত্বরে ৷ রোগী আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ৷ তবে সেই দাবি মানতে নারাজ রোগীর পরিবার ৷ পালটা হাসপাতালের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে রোগীর পরিবার ৷ ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির চন্দননগরের গৌরহাটি ইএসআই হাসপাতালে । মৃত রোগীর নাম রবীন সিং(19)। বাড়ি ভদ্রেশ্বর বাবুবাজার এলাকায় । চন্দননগর থানার পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য দেহ চুঁচুড়ার ইমামবাড়া হাসপাতালে পাঠিয়েছে ৷

জানা গিয়েছে, গত 12 নভেম্বর গৌরহাটি ইএস আই হাসপাতালে পেটে ব্যথা নিয়ে রবীনকে ভরতি করেছিল পরিবার । তবে তাঁর পরিস্থিতি খারাপ থাকায় তাঁকে আরও ভালো চিকিৎসার জন্য বজবজের একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় । সেখানেই 19 নভেম্বর রবীনের অস্ত্রোপচার হয় । রবীনের পরিস্থিতি ঠিক থাকায় পর্যবেক্ষণে রাখার জন্য আবার তাঁকে গৌরহাটিতে ফেরত পাঠায় ওই হাসপাতাল । সোমবার রাত 8টা নাগাদ রবীনকে ফের ইএসআই হাসপাতালে ভরতি করা হয় । কিন্তু হঠাৎ অবস্থার অবনতি হয় তাঁর ৷ হাসপাতালের তরফে পরিবারকে সেকথা জানানো হয় ৷ রবীনের পরিবার হাসপাতালে পৌঁছলে কর্তৃপক্ষ বলে, আত্মহত্যা করেছেন তিনি । এইচডিইউ-2 বেডে ভরতি ছিলেন ওই তরুণ। হাসপাতালের কর্মরত নার্স ও কর্মীদের দাবি, বেডের পর্দা টাঙানোর অ্যালুমিয়ান বারে গামছা দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়েছেন রবীন । তবে তাঁদের এই দাবি কোনওভাবেই মেনে নিতে চায়নি রোগীর পরিবার ।

এইচডিইউ-এর ভিতর স্পেশাল কেয়ার থাকে । সেখানে একজন অসুস্থ রোগী কীভাবে আত্মহত্যা করল, প্রশ্ন তোলে রবীনের পরিবার ৷ এরপরই ভোর থেকেই যুবকের পরিবার ও এলাকাবাসীরা হাসপাতালে জড়ো হতেই উত্তেজনা বাড়ে ৷ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ এনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে তারা ৷ ঘটনাস্থলে আসে চন্দননগর ও ভদ্রেশ্বর থানার পুলিশ বাহিনী ও র‍্যাফ ।

রবীনের প্রতিবেশী চন্দ্রেস রায়ের দাবি, "রবীন যদি আত্মহত্যা করে তাহলে একটা ছবি তো তুলে রাখবে । এইচডিইউ-এর মধ্যে কী করে এই ঘটনা ঘটতে পারে । পুলিশকে ও পরিবারকে কিছু জানানো হয়নি । একজন রোগী কীভাবে অসুস্থ অবস্থায় আত্নহত্যা করল । এটা পুরোপুরি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতি ।" অন্যদিকে হাসপাতালের কর্মী পুলককুমার ধারার দাবি, "রোগী আত্মহত্যা করেছে দেখে আমরা নামিয়ে চিকিৎসা করার চেষ্টা করি । সেই সময় ছবি তোলা সম্ভব হয়নি ।"

ভদ্রেশ্বর পৌরসভার চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল প্রকাশ গোস্বামী ঘটনার খবর পেয়ে ইএসআই হাসপাতালে আসেন । হাসপাতালের নার্স এবং কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি ৷ তাঁর কথায়, "আমার পৌরসভা এলাকার বাবুবাজারের বাসিন্দা ওই তরুণ । এইচডিইউ ওয়ার্ডের ভেতরে যেভাবে মৃত্যু হয়েছে তাতে হাসপাতালের গাফিলতি স্পষ্ট । পুলিশকে বলেছি বিষয়টি দেখতে । পুলিশ বলেছে স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেটকে তদন্তে যুক্ত করা হচ্ছে ।"

আরও পড়ুন:

  1. হাসপাতাল থেকে ঝাঁপ দিয়ে মৃত্যু রোগীর, চাঞ্চল্য জলপাইগুড়িতে
  2. অন্তঃসত্ত্বা বধূর মৃত্যু ঘিরে ধুন্ধুমার বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে
  3. রোগীমৃত্যুতে গাফিলতির অভিযোগ, দুর্গাপুরের হাসপাতালে বিক্ষোভ
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.