পাণ্ডুয়া, 23 জুন : অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে নিম্নমানের খাবার ৷ প্রতিবাদে বিক্ষোভ এলাকাবাসীর ৷ দীর্ঘদিন ধরে এই অভিযোগ উঠছে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সহায়িকাদের বিরুদ্ধে ৷ ঘটনাটি ঘটেছে পাণ্ডুয়ার সোমরাগড়ি গ্রামে ৷ অভিযোগ পেয়ে এদিন ওই কেন্দ্রে পৌঁছন পাণ্ডুয়ার বিডিও সাথী চক্রবর্তী, সিডিপিও, পাণ্ডুয়া পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ বিরাজ চৌধুরী-সহ অন্যান্য আধিকারিকরা ৷
স্থানীয়দের অভিযোগ, গ্রামের অন্য অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের থেকে এখানে খারাপ খাবার দেওয়া হয় ৷ অনেক বার অভিযোগ জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি ৷ অন্যান্য কেন্দ্রগুলিতে খিচুড়ি-সবজি দেওয়া হলেও এখানে শুধু গলা ভাত এবং পাতলা জলের মতো ডাল দেওয়া হয় ৷ সহায়িকা এবং দিদিমণিরা সময়মতো কেন্দ্রে আসেন না বলেও অভিযোগ উঠেছে ।
যদিও সহায়িকা ও দিদিমণিরা একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন । সহায়িকা জয়াবতী প্রামাণিক জানান, তিনি ছ'মাস আগে এই কেন্দ্রে এসেছেন । তার আগে কী হয়েছে, তা তাঁর জানা নেই । তিনি বলেন, ‘‘দিদিমণি দেরি করে আসেন এবং তাঁর বাড়ি থেকে খাবার নিয়ে আসেন । আমি রান্না করি । অতি নিম্নমানের খাবার দেওয়া হয় বাচ্চাদের । তিনি নিজেই খাবার চুরি করে নিয়ে যান । আমায় ব্যাগ আনতেও দেন না ।’’
আরও পড়ুন : মালদায় 4 দিন ধরে বন্ধ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র, বিক্ষোভ অভিভাবকদের
তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের দিদিমণি রিনি ভট্টাচার্য ৷ তাঁর দাবি, অফিস থেকে কম টাকা দেওয়া হয় এবং সেটাই সমস্যার কারণ । তিনি সহায়িকার বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ আনেন ৷ তাঁর বক্তব্য, "আমি রান্না ও খাবার পরিবেশন করি না।"
পাণ্ডুয়া পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ বিরাজ চৌধুরী বলেন, ‘‘এই দিদিমণির বিরুদ্ধে আগেও অভিযোগ উঠেছিল । তাঁকে সতর্ক করা হয়েছিল । ফের তাঁরই বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে । গ্রামবাসীরা সঠিক অভিযোগ করছেন । আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেব । বিডিও এই ব্যাপারে কোনও কথা বলেননি। নিজেদের মধ্যে গন্ডগোলের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে । এসব বরদাস্ত করা হবে না ।’’