আরামবাগ, 22 ফেব্রুয়ারি: মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা হুগলির আরামবাগে। বুধবার চলন্ত গাড়িতে গাছ পড়ে মৃত্যু হল দুই যাত্রীর। পাশপাশি দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও 4। মৃত দুই যাত্রীর নাম সুরজা বিবি এবং জেসমিন বিবি। তাঁদের বাড়ি পাণ্ডুয়া থানার সিমলাগড়ে। এদিন দুর্ঘটনাটি ঘটেছে আরামবাগ থানার ধরমপোতা এলাকায় (Road Accident in Arambag)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আবর্জনা বোঝাই করে একটি গাড়ি খানাকুল থেকে মায়াপুর আসার সময় আচমকায় একটি শুকনো গাছ গাড়ির উপর ভেঙে পড়ে। গাড়ির মধ্যে ছিলেন ন'জন। ঘটনাস্থলেই দু'জন মারা যায় বলে অনুমান। তড়িঘড়ি সকলকে উদ্ধার করে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে এই দুই যাত্রীকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। গাড়ির মধ্যে থাকা সাহিদা বিবি বলেন, "তাঁরা মোট ন'জন ছিলেন। মূলত প্লাস্টিক, বোতল ও আবর্জনা সংগ্রহ করে তা বিক্রি করেই তাদের সংসার চলে। তাঁরা গাড়ি ভরতি করে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।"
স্থানীয় তৃণমূল নেতা চিন্ময় রায় জানান, রাস্তার ধারে পিডব্লুডির একটি শুকনো গাছ ছিল। সেটি ভেঙে পড়েই এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। অপরদিকে স্থানীয় যুবক সুমিত কুণ্ডু বলেন, "এটা একটা দুর্ঘটনা। চলন্ত গাড়িতে গাছ পড়ে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে।" উল্লেখ্য, মহকুমাজুড়ে রাস্তার চারদিকেই অসংখ্য শুকনো গাছ দাঁড়িয়ে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে একাধিকবার এই নিয়ে সংবাদ পরিবেশন হলেও প্রশাসনের টনক নড়েনি। পিডব্লুডির উদাসীনতা কতটা ভয়ংকর হতে পারে, দু'জন মানুষের মৃত্যু তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল।
আরও পড়ুন: ট্রাকের ধাক্কায় দুমড়ে মুচড়ে গেল ট্রাক্টর, নিহত 3 ও আশঙ্কাজনক 12
এরকমভাবে শুকনো গাছ দাঁড়িয়ে থাকলে আগামিদিনে মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ক্ষোভ প্রকাশে করেন তাঁরা। ক্ষোভ প্রকাশ করে তাঁরা বলেন, এরপরেও হয়তো দেখা যাবে শুকনো গাছগুলো এখন এরকমই থাকবে। আর এইভাবেই নিরীহ মানুষের প্রাণ যাবে? আর প্রশাসন চোখ বুজে থাকবে!" সবমিলিয়ে এখন দেখার দুর্ঘটনা কমাতে প্রশাসন কী পদক্ষেপ নেয়।