ETV Bharat / state

হুগলিতে লকডাউনের পর একশো দিনের কাজ পেয়েছেন 6 লাখের বেশি মানুষ

লকডাউনে হুগলিতে একশো দিনের কর্মসংস্থান হলেও পরিযায়ী শ্রমিকরা ফের কাজে ফিরেছেন। হুগলি জেলায় 51 হাজার পরিযায়ী শ্রমিক ঘরে ফিরেছিলেন। একশো দিনের কাজের প্রকল্পের ফলে বহু মানুষ উপকৃত হয়েছেন।শুধুমাত্র জেলার বিভিন্ন ব্লকের মানুষই নয়, বিভিন্ন দেশ বা রাজ্য থেকে আসা বহু মানুষ একশো দিনের কাজ পেয়ে উপকৃত হয়েছেন।

over 6 lakhs people get chance to work in 100 days work at hoogly
হুগলিতে লকডাউনের পর একশো দিনের প্রকল্পে কাজ পেয়েছেন 6 লক্ষের বেশি মানুষ
author img

By

Published : Jan 1, 2021, 12:11 PM IST

Updated : Jan 1, 2021, 12:22 PM IST

হুগলি, 1 জানুয়ারি : লকডাউনে হুগলিতে একশো দিনের কর্মসংস্থান হলেও পরিযায়ী শ্রমিকরা ফের কাজে ফিরেছেন। হুগলি জেলায় 51 হাজার পরিযায়ী শ্রমিক ঘরে ফিরেছিলেন। কেউ ট্রেন বা বাসে। জেলার বিভিন্ন জায়গায় লকডাউনের ফলে বহু মানুষ কাজ হারিয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে ঘরে বসে সমস্যার মধ্যে পড়েছিলেন তাঁরা। একশো দিনের কাজের প্রকল্পের ফলে বহু মানুষ উপকৃত হয়েছেন।শুধুমাত্র জেলার বিভিন্ন ব্লকের মানুষই নয়, বিভিন্ন দেশ বা রাজ্য থেকে আসা বহু মানুষ একশো দিনের কাজ পেয়ে উপকৃত হয়েছেন।

লকডাউন পরিস্থিতিতে 31 জুলাই পর্যন্ত 1 কোটি 51 লাখের উপর শ্রম দিবস সৃষ্টি করেছিল। এর পর থেকে এখনও পর্যন্ত প্রায় 1 কোটি 79 শ্রমদিবস সৃষ্টি করা হয়েছে। এতে মোট 6 লাখ 80 হাজার পরিবার সরাসরি উপকৃত হয়েছে। হুগলিতে পুকুর খনন বা সংস্কার ও রাস্তা তৈরি নয়, একশো দিনের প্রকল্পে নার্সারি তৈরি করা। সবুজমালা রাস্তা ধরে নারকেল সুপারি গাছ লাগানো। বন্যা প্রবণ এলাকায় পাড় বাঁধানো। বলাগড়ে ও খানাকুলে 1 ব্লকে পার্ক তৈরি করা। কলা বাগান করে দেওয়া হয়েছে। 207 কিলোমিটার ভেটিভার হয়েছে। পোলবাতে মাছ প্রতিপালন-সহ একাধিক কাজ হয়েছে হুগলিতে।

আরও পড়ুন: কোন্নগরে 2 ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশি সিবিআইয়ের

হুগলিতে একশো দিনের কাজ নিয়ে যথেষ্টই সন্তুষ্ট গ্রামবাসীরা। লকডাউন ও আনলকে নতুন 1 লাখ 6 হাজার জব কার্ড দেওয়া হয়েছে। বেশিরভাগ পরিযায়ী শ্রমিক একশো দিনের কাজ করেছে। তবে লকডাউন শিথিল হতেই পরিযায়ী শ্রমিকরা ফিরেছে নিজের নিজের কাজে। হুগলি জেলায় জাঙ্গিপাড়া খানাকুল সিঙ্গুর-সহ বিভিন্ন ব্লকে পরিযায়ী শ্রমিক বাইরে থেকে ফিরেছিল। মনরেগা প্রকল্পে হুগলি মানুষের অনেকটাই সমস্যা মিটেছে আর্থিক দিক দিয়ে। এই প্রকল্প স্বাভাবিক ছন্দ থেকে বেরিয়ে নতুন কিছু কাজ হয়েছে বলে দাবি সরকারি আধিকারিকের।

মনরেগা প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা সরকারি আধিকারিক অনির্বাণ বোস বলেন, "কোভিড পরিস্থিতির মধ্যেও রুটি রুজির টানে 100 দিন কাজের প্রকল্পে কাজ করতে বেরিয়েছে মানুষ। গত জুলাই মাস পর্যন্ত 1 কোটি 51 লাখ শ্রমদিবস তৈরি করতে পেরেছি। আনলক পর্বেও এখনও পর্যন্ত তিন কোটি 30 লাখ শ্রমদিবস সৃষ্টি করা গিয়েছে। এপ্রিল মাস থেকে এখনও পর্যন্ত 1 লাখ 6 হাজার মতো নতুন পরিবারকে জব কার্ড দিয়েছি। এর মধ্যে প্রায় 55 হাজার পরিযায়ী শ্রমিক রয়েছেন। তাঁরাও কাজ হারিয়ে এখানে এসেছেন। তারাও জব কার্ড পেয়েছেন। হুগলি জেলাতেও যাঁরা কাজ হারিয়েছেন, তাঁদেরও জব কার্ড দিয়ে কাজ করানো হয়েছে।"

একশো দিনের কাজ পেয়েছেন 6 লাখের বেশি মানুষ

আরও পড়ুন: ট্যাব পেতে 3 জানুয়ারির মধ্যে পড়ুয়াদের তথ্য, আতান্তরে প্রধান শিক্ষকরা

তিনি জানান, 100 দিনের কাজে শিশুদের পার্ক হয়েছে, সবুজ মালায় প্রচুর পরিমাণে গাছ লাগানো হয়েছে। হুগলিতে প্রায় 13 লাখ চারা গাছ রোপন করা গিয়েছে। পরিযায়ী শ্রমিকদের কাজের জন্যই নতুন করে কর্ম দিবস তৈরি করা হয়েছে হুগলি জেলায়। গোটা হুগলি জেলায় যত জব কার্ড হোল্ডার আছেন, তার মধ্যে 6 লাখ 80 হাজার মানুষকে কাজ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিটা পরিবার গড়ে 50 দিন করে কাজ পেয়েছে। আগামী অর্থবর্ষে তা অনেকটাই পূরণ হয়ে যাবে। আর মনরেগা প্রকল্পের 787 কোটি টাকারও বেশি এখনও পর্যন্ত খরচ হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

হুগলি, 1 জানুয়ারি : লকডাউনে হুগলিতে একশো দিনের কর্মসংস্থান হলেও পরিযায়ী শ্রমিকরা ফের কাজে ফিরেছেন। হুগলি জেলায় 51 হাজার পরিযায়ী শ্রমিক ঘরে ফিরেছিলেন। কেউ ট্রেন বা বাসে। জেলার বিভিন্ন জায়গায় লকডাউনের ফলে বহু মানুষ কাজ হারিয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে ঘরে বসে সমস্যার মধ্যে পড়েছিলেন তাঁরা। একশো দিনের কাজের প্রকল্পের ফলে বহু মানুষ উপকৃত হয়েছেন।শুধুমাত্র জেলার বিভিন্ন ব্লকের মানুষই নয়, বিভিন্ন দেশ বা রাজ্য থেকে আসা বহু মানুষ একশো দিনের কাজ পেয়ে উপকৃত হয়েছেন।

লকডাউন পরিস্থিতিতে 31 জুলাই পর্যন্ত 1 কোটি 51 লাখের উপর শ্রম দিবস সৃষ্টি করেছিল। এর পর থেকে এখনও পর্যন্ত প্রায় 1 কোটি 79 শ্রমদিবস সৃষ্টি করা হয়েছে। এতে মোট 6 লাখ 80 হাজার পরিবার সরাসরি উপকৃত হয়েছে। হুগলিতে পুকুর খনন বা সংস্কার ও রাস্তা তৈরি নয়, একশো দিনের প্রকল্পে নার্সারি তৈরি করা। সবুজমালা রাস্তা ধরে নারকেল সুপারি গাছ লাগানো। বন্যা প্রবণ এলাকায় পাড় বাঁধানো। বলাগড়ে ও খানাকুলে 1 ব্লকে পার্ক তৈরি করা। কলা বাগান করে দেওয়া হয়েছে। 207 কিলোমিটার ভেটিভার হয়েছে। পোলবাতে মাছ প্রতিপালন-সহ একাধিক কাজ হয়েছে হুগলিতে।

আরও পড়ুন: কোন্নগরে 2 ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশি সিবিআইয়ের

হুগলিতে একশো দিনের কাজ নিয়ে যথেষ্টই সন্তুষ্ট গ্রামবাসীরা। লকডাউন ও আনলকে নতুন 1 লাখ 6 হাজার জব কার্ড দেওয়া হয়েছে। বেশিরভাগ পরিযায়ী শ্রমিক একশো দিনের কাজ করেছে। তবে লকডাউন শিথিল হতেই পরিযায়ী শ্রমিকরা ফিরেছে নিজের নিজের কাজে। হুগলি জেলায় জাঙ্গিপাড়া খানাকুল সিঙ্গুর-সহ বিভিন্ন ব্লকে পরিযায়ী শ্রমিক বাইরে থেকে ফিরেছিল। মনরেগা প্রকল্পে হুগলি মানুষের অনেকটাই সমস্যা মিটেছে আর্থিক দিক দিয়ে। এই প্রকল্প স্বাভাবিক ছন্দ থেকে বেরিয়ে নতুন কিছু কাজ হয়েছে বলে দাবি সরকারি আধিকারিকের।

মনরেগা প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা সরকারি আধিকারিক অনির্বাণ বোস বলেন, "কোভিড পরিস্থিতির মধ্যেও রুটি রুজির টানে 100 দিন কাজের প্রকল্পে কাজ করতে বেরিয়েছে মানুষ। গত জুলাই মাস পর্যন্ত 1 কোটি 51 লাখ শ্রমদিবস তৈরি করতে পেরেছি। আনলক পর্বেও এখনও পর্যন্ত তিন কোটি 30 লাখ শ্রমদিবস সৃষ্টি করা গিয়েছে। এপ্রিল মাস থেকে এখনও পর্যন্ত 1 লাখ 6 হাজার মতো নতুন পরিবারকে জব কার্ড দিয়েছি। এর মধ্যে প্রায় 55 হাজার পরিযায়ী শ্রমিক রয়েছেন। তাঁরাও কাজ হারিয়ে এখানে এসেছেন। তারাও জব কার্ড পেয়েছেন। হুগলি জেলাতেও যাঁরা কাজ হারিয়েছেন, তাঁদেরও জব কার্ড দিয়ে কাজ করানো হয়েছে।"

একশো দিনের কাজ পেয়েছেন 6 লাখের বেশি মানুষ

আরও পড়ুন: ট্যাব পেতে 3 জানুয়ারির মধ্যে পড়ুয়াদের তথ্য, আতান্তরে প্রধান শিক্ষকরা

তিনি জানান, 100 দিনের কাজে শিশুদের পার্ক হয়েছে, সবুজ মালায় প্রচুর পরিমাণে গাছ লাগানো হয়েছে। হুগলিতে প্রায় 13 লাখ চারা গাছ রোপন করা গিয়েছে। পরিযায়ী শ্রমিকদের কাজের জন্যই নতুন করে কর্ম দিবস তৈরি করা হয়েছে হুগলি জেলায়। গোটা হুগলি জেলায় যত জব কার্ড হোল্ডার আছেন, তার মধ্যে 6 লাখ 80 হাজার মানুষকে কাজ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিটা পরিবার গড়ে 50 দিন করে কাজ পেয়েছে। আগামী অর্থবর্ষে তা অনেকটাই পূরণ হয়ে যাবে। আর মনরেগা প্রকল্পের 787 কোটি টাকারও বেশি এখনও পর্যন্ত খরচ হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

Last Updated : Jan 1, 2021, 12:22 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.