হরিপাল, 23 মার্চ: বিশাল স্কুল ঘর আছে। আর আছে ছাত্রছাত্রীদের জন্য বিরাট খেলার মাঠ থেকে শুরু করে পঠন পাঠনের যাবতীয় সামগ্রী। এই স্কুলের পরিকাঠামো এতটাই উন্নত যে প্রায় 200 জন ছাত্রছাত্রী অনায়াসে পঠন পাঠন করতে পারবে। স্কুলে বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে শুরু করে পানীয় জল, মিড-ডে মিলের ঘর, আদর্শ শ্রেণিকক্ষ সবই আছে। একজন শিক্ষিকাও রয়েছেন। আর 27 জন ছাত্রছাত্রী আছে। কিন্তু হঠাৎ করে স্কুল বন্ধের নোটিশে দিশাহারা অবস্থা গ্রামের মানুষের (Notice of School Closure in Haripal Hooghly)। গতকাল যারা স্কুল বন্ধের নোটিশ দিতে এসেছিলেন তাঁদেরকে আটকে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা ৷
তাঁদের সন্তানদের কোথায় পড়াতে পাঠাবেন। এই চিন্তায় অস্থির তাঁরা। এই দৃশ্য হুগলি জেলার হরিপালের বাহিরখণ্ড ডাকাতিয়া খালপাড় শিশু শিক্ষাকেন্দ্রের। গতকাল, 1 এপ্রিল থেকে পাকাপাকি স্কুল বন্ধের নোটিশ দিতে আসেন সরকারি আধিকারিকরা। এই খবর জানতে পেরে গ্রামের মানুষ স্কুলে এসে বিক্ষোভ দেখান। জানা গিয়েছে, নোটিশ দিতে এসে বিক্ষোভের মুখে পড়েন জেলা ও ব্লকের শিক্ষা দফতরের আধিকারিকরা। এমনকী স্কুল ঘরেই আধিকারিকদের তালাবন্দি করে রাখেন অভিভাবকরা।
আরও পড়ুন: শিক্ষকের অভাবে বন্ধ স্কুল, গভীর জঙ্গল পেরিয়ে পড়তে যাচ্ছে কচিকাঁচারা
পাশাপাশি আধিকারিকদের উদ্ধার করতে এসে গ্রামবাসীদের আক্রমণের মুখে পড়েন স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা। এই ঘটনায় বাহিরখণ্ড ডাকাতিয়া খালপাড় শিশু শিক্ষাকেন্দ্রে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এই বিষয়ে স্থানীয় এক বাসিন্দা সুজিৎ সাসমল বলেন, "আমাদের গ্রামে 70টার মতো ঘর রয়েছে। একটি মাত্র স্কুল। তাও আবার নাকি বন্ধ হয়ে যাবে বলছে। স্কুলটা যাতে বন্ধ না-হয় তার চেষ্টা করছিলাম। বিগত 14 বছর ধরে এই গ্রামের কোনও উন্নতি হয়নি। এই স্কুল যাতে বন্ধ না-হয় সেই দাবি জানাতেই সকলেই বিক্ষোভ করছেন।" অপরদিকে, ওই স্কুলের বর্তমান শিক্ষিকা বলেন, 1999 সাল থেকে স্কুল চলছে। প্রি-প্রাইমারি থেকে ক্লাস ফোর পর্যন্ত। আমার মার্চের মধ্যেই অবসর হবে। আর কতদিন পড়াতে পারব তা জানি না। স্কুল যাতে বন্ধ না-হয় সেই চেষ্টা করছি।" তবে ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর জেলা ও ব্লক আধিকারিক ও তৃণমূল নেতাকে উদ্ধার করে হরিপাল থানার পুলিশ। সবমিলিয়ে স্কুল বাঁচাতে শেষমেশ কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়।