ETV Bharat / state

Mohsina Specially Abled Student: হাজারও প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে মাধ্যমিক পাশ পোলবার মহসিনার - মহসিনা খাতুন

টাইফয়েডের কারণে চলাফেরার ক্ষমতা হারিয়েছে হুগলির পোলবার কালারা গ্রামের বাসিন্দা মহসিনা খাতুন ৷ সেই থেকে বাবার ভরসায় স্কুলে যাতায়াত ৷ এ বছর মাধ্যমিকে 245 নম্বর পেয়েছে সে ৷ কিন্তু, পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হওয়ার কারণে ডানহাতে লিখতে পারে না মহসিনা ৷ কিন্তু, কষ্ট করে হলেও গরিব খেত জমুর বাবা শেখ কালাম মেয়েকে পড়াশোনা করাচ্ছেন ৷

Mohsina Specially Abled Student ETV BHARAT
Mohsina Specially Abled Student
author img

By

Published : May 24, 2023, 9:12 PM IST

হাজারও প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে মাধ্যমিক পাশ পোলবার মহসিনার

পোলবা (হুগলি), 24 মে: 12 বছর আগে টাইফয়েড হয় হুগলির পোলবার কালারা গ্রামের মহসিনা খাতুনের ৷ তার জেরে পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হয়ে চলাফেরার শক্তি হারিয়েছে সে ৷ দরিদ্র খেত মজুরের মেয়ে মহসিনা এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় থার্ড ডিভিশন নম্বরে পাশ করেছে ৷ তার প্রাপ্তনম্বর 245 ৷ কাশ্বাড়া ইয়াসিন মণ্ডল শিক্ষানিকেতন স্কুলে ছাত্রী সে ৷ তবে, এটা তার কাহিনী নয় ৷ এমনকি ডান হাতের জোর হারিয়েছে মহসিনা ৷ বাঁ-হাতে লিখে পরীক্ষা দিয়েছে সে ৷ এমনকি বাড়তি সময় বা কোনও সুযোগ পরীক্ষার কেন্দ্রে পায়নি ৷ আর তাতেই 245 নম্বর পেয়েছে মহসিনা ৷ দারিদ্রের কারণে কোনও গৃহশিক্ষক রাখতে পারেনি মহসিনার বাবা শেখ কালাম ৷

12 বছর আগে টাইফয়েডে আক্রান্ত হয়ে চলাফেরার ক্ষমতা হারিয়েছে মহসিনা খাতুন ৷ স্কুলে যাতায়াতের জন্য একমাত্র ভরসা তার বাবা শেখ কালাম ৷ কিন্তু, তিনি খেত মজুর হওয়ায় রোজ মেয়েকে স্কুলে দিয়ে আসতে পারতেন না ৷ তাও যে কদিন স্কুলে যেত, সেই দিনগুলিতে মহসিনা ক্লাসের পড়াশোনাগুলি বন্ধুদের থেকে যেনে নিত ৷ এভাবেই সে মাধ্যমিক পাশ করেছে ৷ স্কুলের পড়াশোনাকেই বাড়িতে এসে ঝালিয়ে নিত সে ৷ কারণ, তাঁর বাবার সামর্থ ছিল না গৃহশিক্ষক দিয়ে পড়াশোনা করানোর ৷

বর্তমানে মহসিনা খাতুনের চিকিৎসা চলছে ৷ পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে চিকিৎসার জন্য প্রতিদিন 1 হাজার টাকা করে খরচ পড়ে ৷ কিন্তু, টাকার অভাবে মহসিনার নিয়মিত চিকিৎসা করতে পারছেন না শেখ কালাম ৷ মহসিনার মা চিকনের সেলাইয়ের কাজ করে ৷ বাড়িতে সময় কাটানোর জন্য মায়ের সঙ্গে মাঝে মধ্যে সেলাইয়ের কাজে সেও হাত লাগায় ৷

মহসিনার মা এসমাতারা বিবি বলেন, ‘‘আমাদের পারিবারিক অবস্থা ভালো নয় ৷ ওর বাবার সেভাবে রোজগারপাতি নেই ৷ আমি চিকনের কাপড় সেলাই করে যেটুক পাই মেয়ের জন্য খরচ করি ৷ আমি চাই মেয়ের আশাপূরণ হোক ৷ চিকিৎসার খরচ প্রচুর ৷ তারকেশ্বরে মাসির বাড়ি গিয়ে চিকিৎসা করাচ্ছি ৷ এর সঙ্গে পড়াশোনা চালানো অসম্ভব হয়ে উঠছে ৷ সরকারি তরফে কিছু সাহায্য করলে আমাদের উপকার হয় ৷’’

আরও পড়ুন: হিটম্যানের ব্যাটিংয়ের ফ্যান মাধ্যমিকে তৃতীয় স্থানাধিকারী স্বরাজ পাল

মহসিনার স্কুলের শিক্ষক সনৎ মালিক বলেন, ‘‘তার ইচ্ছেপূরণের জন্য স্কুলের তরফে চেষ্টা করা হয় সর্বদা ৷ আলাদা ক্লাস নেওয়া হয় ৷ কিন্ত মেয়েটির শারীরিকভাবে দূর্বল এবং তার পরিবারের আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ ৷ ওর চলাচলের জন্য বিডিও থেকে হুইল চেয়ারে ব্যবস্থা করা হয়েছে ৷ চিকিৎসার খরচ অনেকটাই বেশি ৷ ওর বাবার পক্ষে জোগাড় করা কঠিন ৷ তাই সরকারিভাবে বা অন্য কোনও উপায়ে সেই ব্যবস্থা হলে উপকার হবে বিশেষ সক্ষম ওই ছাত্রীর ৷’’

হাজারও প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে মাধ্যমিক পাশ পোলবার মহসিনার

পোলবা (হুগলি), 24 মে: 12 বছর আগে টাইফয়েড হয় হুগলির পোলবার কালারা গ্রামের মহসিনা খাতুনের ৷ তার জেরে পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হয়ে চলাফেরার শক্তি হারিয়েছে সে ৷ দরিদ্র খেত মজুরের মেয়ে মহসিনা এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় থার্ড ডিভিশন নম্বরে পাশ করেছে ৷ তার প্রাপ্তনম্বর 245 ৷ কাশ্বাড়া ইয়াসিন মণ্ডল শিক্ষানিকেতন স্কুলে ছাত্রী সে ৷ তবে, এটা তার কাহিনী নয় ৷ এমনকি ডান হাতের জোর হারিয়েছে মহসিনা ৷ বাঁ-হাতে লিখে পরীক্ষা দিয়েছে সে ৷ এমনকি বাড়তি সময় বা কোনও সুযোগ পরীক্ষার কেন্দ্রে পায়নি ৷ আর তাতেই 245 নম্বর পেয়েছে মহসিনা ৷ দারিদ্রের কারণে কোনও গৃহশিক্ষক রাখতে পারেনি মহসিনার বাবা শেখ কালাম ৷

12 বছর আগে টাইফয়েডে আক্রান্ত হয়ে চলাফেরার ক্ষমতা হারিয়েছে মহসিনা খাতুন ৷ স্কুলে যাতায়াতের জন্য একমাত্র ভরসা তার বাবা শেখ কালাম ৷ কিন্তু, তিনি খেত মজুর হওয়ায় রোজ মেয়েকে স্কুলে দিয়ে আসতে পারতেন না ৷ তাও যে কদিন স্কুলে যেত, সেই দিনগুলিতে মহসিনা ক্লাসের পড়াশোনাগুলি বন্ধুদের থেকে যেনে নিত ৷ এভাবেই সে মাধ্যমিক পাশ করেছে ৷ স্কুলের পড়াশোনাকেই বাড়িতে এসে ঝালিয়ে নিত সে ৷ কারণ, তাঁর বাবার সামর্থ ছিল না গৃহশিক্ষক দিয়ে পড়াশোনা করানোর ৷

বর্তমানে মহসিনা খাতুনের চিকিৎসা চলছে ৷ পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে চিকিৎসার জন্য প্রতিদিন 1 হাজার টাকা করে খরচ পড়ে ৷ কিন্তু, টাকার অভাবে মহসিনার নিয়মিত চিকিৎসা করতে পারছেন না শেখ কালাম ৷ মহসিনার মা চিকনের সেলাইয়ের কাজ করে ৷ বাড়িতে সময় কাটানোর জন্য মায়ের সঙ্গে মাঝে মধ্যে সেলাইয়ের কাজে সেও হাত লাগায় ৷

মহসিনার মা এসমাতারা বিবি বলেন, ‘‘আমাদের পারিবারিক অবস্থা ভালো নয় ৷ ওর বাবার সেভাবে রোজগারপাতি নেই ৷ আমি চিকনের কাপড় সেলাই করে যেটুক পাই মেয়ের জন্য খরচ করি ৷ আমি চাই মেয়ের আশাপূরণ হোক ৷ চিকিৎসার খরচ প্রচুর ৷ তারকেশ্বরে মাসির বাড়ি গিয়ে চিকিৎসা করাচ্ছি ৷ এর সঙ্গে পড়াশোনা চালানো অসম্ভব হয়ে উঠছে ৷ সরকারি তরফে কিছু সাহায্য করলে আমাদের উপকার হয় ৷’’

আরও পড়ুন: হিটম্যানের ব্যাটিংয়ের ফ্যান মাধ্যমিকে তৃতীয় স্থানাধিকারী স্বরাজ পাল

মহসিনার স্কুলের শিক্ষক সনৎ মালিক বলেন, ‘‘তার ইচ্ছেপূরণের জন্য স্কুলের তরফে চেষ্টা করা হয় সর্বদা ৷ আলাদা ক্লাস নেওয়া হয় ৷ কিন্ত মেয়েটির শারীরিকভাবে দূর্বল এবং তার পরিবারের আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ ৷ ওর চলাচলের জন্য বিডিও থেকে হুইল চেয়ারে ব্যবস্থা করা হয়েছে ৷ চিকিৎসার খরচ অনেকটাই বেশি ৷ ওর বাবার পক্ষে জোগাড় করা কঠিন ৷ তাই সরকারিভাবে বা অন্য কোনও উপায়ে সেই ব্যবস্থা হলে উপকার হবে বিশেষ সক্ষম ওই ছাত্রীর ৷’’

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.