হুগলি, 22 অগাস্ট: মিড ডে মিলে দুর্নীতির অভিযোগে প্রশাসন সাসপেন্ড করেছে তিন শিক্ষিকাকে ৷ তারপরেও তিন জনেই বহাল তবিয়তে স্কুলে আসছেন ৷ তিন শিক্ষিকাদের সাসপেনশন নিয়ে জেলাশাসক ও স্কুল পরিদর্শকদের বক্তব্য ঘিরে শুরু হয়েছে জল্পনা ৷
চুঁচুড়ার বাণীমন্দির স্কুলে মিড ডে মিলে ছাত্রীদের নুন, তেল-ভাত দেওয়ার অভিযোগে জেলা প্রশাসন সাসপেন্ড করে স্কুলের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষিকা শমিতা কুশারী, শর্মিষ্ঠা ঘোষ ও পূর্বা মুখার্জিকে ৷ কিন্তু প্রশাসনের নির্দেশের 48 ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও অভিযুক্ত ওই তিন শিক্ষিকার সাসপেনশন কার্যকর হয়নি ৷ শিক্ষিকাদের সাসপেনশন প্রসঙ্গে জেলা স্কুল পরিদর্শক সুব্রত সেন জানিয়েছেন, শমিতা কুশরী এবং শর্মিষ্ঠা ঘোষকে সাসপেন্ড করা হয়েছে ৷ তবে পূর্বা মুর্খাজিকে সাসপেন্ড করার কথা তাঁর জানা নেই ৷ তবে সাসপেনশনের প্রক্রিয়া চলছে ৷ খুব দ্রুত ওই শিক্ষিকারা সেই অর্ডার হাতে পাবেন ৷ আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই প্রধান শিক্ষিকা নিয়োগের ব্যবস্থা করা হবে ৷ অন্যদিকে, জেলশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও বলাগড়ের BDO অফিসে এক বিবৃতিতে জানান, মিড ডে মিল দুর্নীতিতে অভিযুক্ত শিক্ষিকা পূর্বা মুর্খাজিকে অন্যত্র বদলি করে দেওয়া হবে ৷ জেলাশাসক ও স্কুল পরিদর্শকের বিবৃতি নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে ৷ তবে বাণীমন্দিরের অন্যান্য শিক্ষিকাদের মতে, সবটাই শুধুমাত্র লোক দেখানো ৷
আরও পড়ুন : খবর প্রকাশের পর রাতারাতি মেনুর পরিবর্তন, পড়ুয়াদের পাতে ডিম, ভাত
এদিকে মিড ডে মিলের দুর্নীতি সামনে আসার পর গতকাল একাধিক স্কুল পরিদর্শনে যান খোদ হুগলির জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও ৷ মিড ডে মিলের মান পরীক্ষা করতে ওয়াই রত্নাকর রাও বলাগড়ের অক্ষয় অম্বিকা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে পড়ুয়াদের জন্য রান্না করা ভাত, আলুর তরকারি, ডিম সেদ্ধ খান ৷ DM ছাড়াও ADM, SDO ও BDO-দের মতো সাড়ে তিনশো আধিকারিক গোটা জেলার স্কুলগুলো পরিদর্শন করেন ৷ স্কুলের পাশাপাশি রেশন দোকানগুলো পরিদর্শন করেন তাঁরা ৷ স্টক মেলানো থেকে শুরু করে সোয়াইপ মেশিন পরীক্ষা করে দেখেন ৷ পাশাপাশি সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের প্রাপকদের (যেমন কন্যাশ্রী,বিধবা ভাতা ) সঙ্গেও দেখা করেন জেলাশাসক ৷