ETV Bharat / state

মিড ডে মিলে নুন-ভাত; শিক্ষিকারা আদৌ সাসপেন্ড ? - DM visit at hoogly school

মিড ডে মিলে দুর্নীতির অভিযোগে প্রশাসন সাসপেন্ড করেছে তিন শিক্ষিকাকে ৷ কিন্তু 48 ঘণ্টা পরেও সেই সাসপেনশন কার্যকর হয়নি ৷ উলটে জেলাশাসক ও স্কুল পরিদর্শকের বিবৃতি নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে ৷

বলাগড়ের এই স্কুলেই পরিদর্শন করেন জেলাশাসক
author img

By

Published : Aug 22, 2019, 11:32 AM IST

হুগলি, 22 অগাস্ট: মিড ডে মিলে দুর্নীতির অভিযোগে প্রশাসন সাসপেন্ড করেছে তিন শিক্ষিকাকে ৷ তারপরেও তিন জনেই বহাল তবিয়তে স্কুলে আসছেন ৷ তিন শিক্ষিকাদের সাসপেনশন নিয়ে জেলাশাসক ও স্কুল পরিদর্শকদের বক্তব্য ঘিরে শুরু হয়েছে জল্পনা ৷

চুঁচুড়ার বাণীমন্দির স্কুলে মিড ডে মিলে ছাত্রীদের নুন, তেল-ভাত দেওয়ার অভিযোগে জেলা প্রশাসন সাসপেন্ড করে স্কুলের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষিকা শমিতা কুশারী, শর্মিষ্ঠা ঘোষ ও পূর্বা মুখার্জিকে ৷ কিন্তু প্রশাসনের নির্দেশের 48 ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও অভিযুক্ত ওই তিন শিক্ষিকার সাসপেনশন কার্যকর হয়নি ৷ শিক্ষিকাদের সাসপেনশন প্রসঙ্গে জেলা স্কুল পরিদর্শক সুব্রত সেন জানিয়েছেন, শমিতা কুশরী এবং শর্মিষ্ঠা ঘোষকে সাসপেন্ড করা হয়েছে ৷ তবে পূর্বা মুর্খাজিকে সাসপেন্ড করার কথা তাঁর জানা নেই ৷ তবে সাসপেনশনের প্রক্রিয়া চলছে ৷ খুব দ্রুত ওই শিক্ষিকারা সেই অর্ডার হাতে পাবেন ৷ আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই প্রধান শিক্ষিকা নিয়োগের ব্যবস্থা করা হবে ৷ অন্যদিকে, জেলশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও বলাগড়ের BDO অফিসে এক বিবৃতিতে জানান, মিড ডে মিল দুর্নীতিতে অভিযুক্ত শিক্ষিকা পূর্বা মুর্খাজিকে অন্যত্র বদলি করে দেওয়া হবে ৷ জেলাশাসক ও স্কুল পরিদর্শকের বিবৃতি নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে ৷ তবে বাণীমন্দিরের অন্যান্য শিক্ষিকাদের মতে, সবটাই শুধুমাত্র লোক দেখানো ৷

আরও পড়ুন : খবর প্রকাশের পর রাতারাতি মেনুর পরিবর্তন, পড়ুয়াদের পাতে ডিম, ভাত

এদিকে মিড ডে মিলের দুর্নীতি সামনে আসার পর গতকাল একাধিক স্কুল পরিদর্শনে যান খোদ হুগলির জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও ৷ মিড ডে মিলের মান পরীক্ষা করতে ওয়াই রত্নাকর রাও বলাগড়ের অক্ষয় অম্বিকা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে পড়ুয়াদের জন্য রান্না করা ভাত, আলুর তরকারি, ডিম সেদ্ধ খান ৷ DM ছাড়াও ADM, SDO ও BDO-দের মতো সাড়ে তিনশো আধিকারিক গোটা জেলার স্কুলগুলো পরিদর্শন করেন ৷ স্কুলের পাশাপাশি রেশন দোকানগুলো পরিদর্শন করেন তাঁরা ৷ স্টক মেলানো থেকে শুরু করে সোয়াইপ মেশিন পরীক্ষা করে দেখেন ৷ পাশাপাশি সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের প্রাপকদের (যেমন কন্যাশ্রী,বিধবা ভাতা ) সঙ্গেও দেখা করেন জেলাশাসক ৷

হুগলি, 22 অগাস্ট: মিড ডে মিলে দুর্নীতির অভিযোগে প্রশাসন সাসপেন্ড করেছে তিন শিক্ষিকাকে ৷ তারপরেও তিন জনেই বহাল তবিয়তে স্কুলে আসছেন ৷ তিন শিক্ষিকাদের সাসপেনশন নিয়ে জেলাশাসক ও স্কুল পরিদর্শকদের বক্তব্য ঘিরে শুরু হয়েছে জল্পনা ৷

চুঁচুড়ার বাণীমন্দির স্কুলে মিড ডে মিলে ছাত্রীদের নুন, তেল-ভাত দেওয়ার অভিযোগে জেলা প্রশাসন সাসপেন্ড করে স্কুলের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষিকা শমিতা কুশারী, শর্মিষ্ঠা ঘোষ ও পূর্বা মুখার্জিকে ৷ কিন্তু প্রশাসনের নির্দেশের 48 ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও অভিযুক্ত ওই তিন শিক্ষিকার সাসপেনশন কার্যকর হয়নি ৷ শিক্ষিকাদের সাসপেনশন প্রসঙ্গে জেলা স্কুল পরিদর্শক সুব্রত সেন জানিয়েছেন, শমিতা কুশরী এবং শর্মিষ্ঠা ঘোষকে সাসপেন্ড করা হয়েছে ৷ তবে পূর্বা মুর্খাজিকে সাসপেন্ড করার কথা তাঁর জানা নেই ৷ তবে সাসপেনশনের প্রক্রিয়া চলছে ৷ খুব দ্রুত ওই শিক্ষিকারা সেই অর্ডার হাতে পাবেন ৷ আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই প্রধান শিক্ষিকা নিয়োগের ব্যবস্থা করা হবে ৷ অন্যদিকে, জেলশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও বলাগড়ের BDO অফিসে এক বিবৃতিতে জানান, মিড ডে মিল দুর্নীতিতে অভিযুক্ত শিক্ষিকা পূর্বা মুর্খাজিকে অন্যত্র বদলি করে দেওয়া হবে ৷ জেলাশাসক ও স্কুল পরিদর্শকের বিবৃতি নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে ৷ তবে বাণীমন্দিরের অন্যান্য শিক্ষিকাদের মতে, সবটাই শুধুমাত্র লোক দেখানো ৷

আরও পড়ুন : খবর প্রকাশের পর রাতারাতি মেনুর পরিবর্তন, পড়ুয়াদের পাতে ডিম, ভাত

এদিকে মিড ডে মিলের দুর্নীতি সামনে আসার পর গতকাল একাধিক স্কুল পরিদর্শনে যান খোদ হুগলির জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও ৷ মিড ডে মিলের মান পরীক্ষা করতে ওয়াই রত্নাকর রাও বলাগড়ের অক্ষয় অম্বিকা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে পড়ুয়াদের জন্য রান্না করা ভাত, আলুর তরকারি, ডিম সেদ্ধ খান ৷ DM ছাড়াও ADM, SDO ও BDO-দের মতো সাড়ে তিনশো আধিকারিক গোটা জেলার স্কুলগুলো পরিদর্শন করেন ৷ স্কুলের পাশাপাশি রেশন দোকানগুলো পরিদর্শন করেন তাঁরা ৷ স্টক মেলানো থেকে শুরু করে সোয়াইপ মেশিন পরীক্ষা করে দেখেন ৷ পাশাপাশি সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের প্রাপকদের (যেমন কন্যাশ্রী,বিধবা ভাতা ) সঙ্গেও দেখা করেন জেলাশাসক ৷

Intro:মিডে মিলের দুর্নীতি ঝামাচাপা দিতে স্কুলে পরিদর্শনে জেলা শাসক।আজ ছাত্র ছাত্রীদের সঙ্গে মিডে মিলের খাওয়া দাওয়া করলেন DM ওয়াই রত্নাকর রাও।চুঁচুড়া বালিকা বাণী মন্দির স্কুলে মিড ডে মিল কান্ডের সারা ফেলেছে রাজ্য জুড়ে।নেড়েচড়ে জেলা প্রশাসন।বাণী মন্দির স্কুলে দফায় দফায় পরিদর্শনে জেলার একাধিক দপ্তর।তবে প্রশাসন সাসপেন্ড ঘোষণা করার পরও কি ভাবে শিক্ষিকারা বহাল তবিয়তে স্কুল করছেন উঠেছে প্রশ্ন।চুঁচুড়ার স্কুলের শিক্ষিকাদের অভিযোগ সাসপেন্ড ঘোষণার 48 ঘণ্টা পেরিয়ে যাওয়ার পর কি করে স্কুলে আসছেন অভিযুক্ত শিক্ষিকারা।স্কুলের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষিকা সুমিতা কুশরী সহ শর্মিষ্ঠা ঘোষ ও পূর্বা মুখার্জী সাসপেন্ড ও বদলির অর্ডার দেয়নি জেলা শিক্ষা দপ্তর।কি খেলা চলছে স্কুলের মধ্যে প্রশ্ন শিক্ষিকাদের।তবে হুগলি জেলা শাসক অবশ্য জানিয়েছেন যাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এখনও সেই নির্দেশ বহাল থাকবে।হুগলি জেলার DI সুব্রত কুমার সেন বলেন প্রসেস চলছে সাসপেনশন অর্ডার লিখিত হাতে পেয়ে যাবে তারা।আকস্মিক একটা ঘটনা ঘটেছে।আমরা আগামী সপ্তাহের মধ্যেই প্রধান শিক্ষিকার নিয়োগের ব্যবস্থা করছি।
হুগলির এক হাজার স্কুলে ভিসিট করবে জেলা আধিকারিক রা তা আগেই জানানো হয়।আজ সেই মতো শ্রীরামপুর বৈদ্যবাটি ও বলাগরে সরজমিনে তদন্তে যান জেলা প্রশাসন।জেলা শাসক ওয়াই রত্নাকর রাও বলাগড়ের অক্ষয় অম্বিকা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে মিড ডে মিল খেলেন।বললেন বাচ্চাদের যে মানের খাবার দেওয়ার কথা তা দেওয়া হয় কিনা দেখতে সারপ্রাইজ ভিসিট করছেন তিনি।স্কুলের শিশুদের জন্য রান্না ভাত আলুর তরকারী ডিম সিদ্ধ তাদের সঙ্গেই বসে খেলেন।ডি এম ছারাও এডিএম এসডিও বিডিওদের মতো সারে তিনশ আধিকারীক গোটা জেলায় ঘুরে দেখেন কি হাল মিড ডে মিলের।স্কুলের পাশাপাশি রেশন দোকান গুলোতেও ভিসিট করেন তারা।সেখানে স্টক মেলানো থেকে সোয়াইপ মেশিন পরীক্ষা করে দেখেন।রেশনের ওজন ঠিকঠাক পাচ্ছেন কিনা তা উপভোক্তাদের জিজ্ঞাসা করেন।এরপর সরকারী বিভিন্ন প্রকল্প যেমন কন্যাশ্রী,বিধবা ভাতা প্রাপকদের সঙ্গেও দেখা করেন জেলা শাসক।টাকা পেতে কোনো অসুবিধা হচ্ছে কিনা অথবা কোনো অসুবিধা হলে স্থানীয় বিডিও অফিসে জানাতে বলেন DM।Body:WB_HGL_SCHOOL MID MILL FOLLOW UP_7203418Conclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.