ডানকুনি, 17 মার্চ : গো-মূত্র বিক্রির অভিযোগে মামুদ আলিকে গ্রেপ্তার করল ডানকুনি থানার পুলিশ ৷ গতকাল ডানকুনিতে ওই ব্যক্তি কোরোনা ভাইরাস রোধ করতে গো-মূত্র ও গোবর বিক্রি করছিল বলে অভিযোগ ৷ তাঁর বিরুদ্ধে ধর্মীয় আবেগে আঘাত করার অভিযোগ দায়ের হয়েছে ৷ অভিযুক্তকে আজ শ্রীরামপুর আদালতে তোলা হয় ৷
কোরোনা ভাইরাস নিয়ে গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে স্বাস্থ্য দপ্তর ৷ প্রশাসনের সেই নির্দেশিকা উড়িয়ে দিয়ে কোরোনা রোধে গো-মূত্র ও গোবর বিক্রির অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ৷ মামুদ আলি নামে ওই ব্যক্তি গতকাল ডানকুনিতে গো-মূত্র ও গোবর বিক্রি করছিলেন ৷ এই দুই জিনিস সেবনে কোরোনা রোধ সম্ভব বলে তিনি দাবিও করেন বলে অভিযোগ ৷ ঘটনাটি জানাজানি হতেই সমালোচনার ঝড় ওঠে ৷ নিন্দায় সরব হন বিজ্ঞান মঞ্চের সদস্য থেকে চিকৎসকরা ৷ যেখানে WHO-এর পক্ষ থেকে কোরোনাকে ‘এপিডেমিক’ ঘোষণা করেছে ৷ কেন্দ্র ও রাজ্যের তরফে আতঙ্ক না ছড়িয়ে সতর্ক থাকতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ৷ তারপর কীভাবে কেউ কোরোনা রোধে কুসংস্কারাচ্ছন্ন হতে পারেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে বিভিন্ন মহল ৷ আজ 295 (এ), 120 (বি) ও 5/7 ধারায় মামুদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ৷ ধৃতকে শ্রীরামপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁর 14 দিনের জেল হেপাজতের নির্দেশ দেন ৷ আজ আদালতে ধৃত অভিযুক্ত মামুদ দ াবি করেন, ‘‘ওটা গো-মূত্র ছিল না ৷ বাতাসার জল ছিল ৷ মজা করে করা হয়েছিল ৷’’
আরও পড়ুন : কোরোনা আতঙ্কে দেদার বিকোচ্ছে গোবর, গোমূত্র
পালটা পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের পক্ষ থেকে একটি প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থানে গিয়ে সচেতনতামূলক বার্তা দেন সাধারণ মানুষকে ৷ প্রতিনিধি দলের সদস্য চন্দন দেবনাথ বলেন, ‘‘আমরা জানতে পেরেছি এই জায়গায় গো-মূত্র বিক্রি করা হচ্ছিল ৷ যেখানে মন্দির-মসজিদ-চার্চ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সাধারণ মানুষের জন্য, সেখানে বিজ্ঞানকেই আঁকড়ে ধরে মানুষ বাঁচতে চাইছে ৷ এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে কীভাবে কেউ কোরোনা রোধের নাম করে গো-মূত্র ও গোবর বিক্রি করতে পারে? এটা সমাজের লজ্জা ৷ আমরা মানুষকে সচেতন করতে এসেছি ৷ সাধারণ মানুষ যেন প্রলোভনে পা দিয়ে এমন অবৈজ্ঞানিক কাজে যুক্ত না হন ৷’’