চুঁচুড়া, 11 জুন: রাজ্যে নির্বাচনের নামে প্রহসন চলছে। মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়া নিয়ে সন্ত্রাস চলছে। মনোনয়ন পত্র জমা দিতে গিয়ে কাটোয়াতে একজন মহিলাকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এসে বিরোধীদের মনোনয়ন জমা করার ব্যবস্থা করিয়ে দিন। জনজোয়ারের মধ্যে উনি জন লুটের ট্রেনিং দিয়ে এসেছেন। সেই ট্রেনিংয়ের ফল আমরা এখন দেখতে পারছি। পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে এই ভাষাতেই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন হুগলির বিজেপি সাসংদ লকেট চট্টোপাধ্যায় ।
শনিবার চুঁচুড়ার দলীয় কর্যালয়ে এসে সিভিক ভলেন্টিয়ার নিয়েও মন্তব্য করেন লকেট। তিনি জানান, সিভিক ভলেন্টিয়ারদের সমাজসেবা মানে মহিলাদের সঙ্গে অসভ্যতা করা । তৃণমূল চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে এদেরকে নামিয়েছে। ওরা ভয় পেয়েছে তাই এত তাড়াতাড়ি পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণা করেছে। গায়ের জোরে নির্বাচন করাতে চাইছে। মানুষ সব বুঝে গিয়েছে আর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূলকে ভোট দেবে না। অবাধ ভোট হলে তৃণমূলের ফল খারাপ হবে।
নির্বাচনের দিন ঘোষণা নিয়ে কমিশনকেও কটাক্ষ করেন বিজেপির এই নেত্রী। তিনি বলেন, " নির্বাচনের দিন ঘোষণার আগে সর্বদলীয় বৈঠক করা উচিত ছিল। এখানে সব উল্টো হচ্ছে কারণ রাজ্যে আইন শৃঙ্খলা নেই। পিসি আর ভাই পো মিলে সরকারটাকে চালাচ্ছে।" অন্যদিকে, রাজ্যজুড়ে মনোনয়ন নিয়ে বিশৃঙ্খলতা বরদাস্ত করা হবে না বলে বার্তা দিয়েছেন রাজ্যপাল।
আরও পড়ুন: তৃণমূল প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র 'হোম ডেলিভারি' হচ্ছে ! টুইটারে দাবি শুভেন্দুর
এ কথা উল্লেখ করে লকেট বলেন, " রাজ্যপাল আমাদের রাজ্যের অভিভাবক । ওঁর কথাকে আমরা সম্মান করি। উনি যে জায়গা থেকে এসেছেন সেখানে দেখেছেন ভোট সুষ্ঠুভাবে হয়। আর বাংলায় এসে অবাক হয়ে গিয়েছেন। ওঁর কথা যদি মানলে রাজ্যের ভালো হবে। রাজ্যপাল নিজের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি অন্যায়কে প্রশ্রয় দেন না । এর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের প্রশ্নেও রাজ্য সরকারের তুমুল সমালোচনা করেন লকেট । সাংসদের কটাক্ষ, আধা সামরিক বাহিনীর নাম শুনলেই তৃণমূল ভয় পায় ।