ETV Bharat / state

হুগলিতে কোরোনা পরিকাঠামো কি পর্যাপ্ত? খতিয়ে দেখতে পরিদর্শন

হুগলির কোরোনা পরিকাঠামো খতিয়ে দেখলেন জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকরা । কোরোনা সংক্রমণ রোধে বেশ কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে । নতুন কোয়ারান্টাইন ও আইসোলেশন ওয়ার্ড খোলা হয়েছে ।

hooghly
হুগলি
author img

By

Published : Apr 17, 2020, 7:50 AM IST

হুগলি, 17 এপ্রিল: হুগলিতে কোরোনা নিয়ে পরিকল্পনা কী? কোরোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখলেন হুগলি জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিকরা । সরকারি রিপোর্ট অনুযায়ী, হুগলিতে আক্রান্তের সংখ্যা সাত জন হলেও চিকিৎসকদের ধারণা এপ্রিলের শেষের দিকে বাড়বে এই সংখ্যা । সংক্রমণ রোধে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ কী কী পরিকাঠামো তৈরি করেছে? তা কি জনসংখ্যা অনুযায়ী পর্যাপ্ত ? বিষয়গুলি নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন । জুটমিল ও কলোনি এলাকায় গোষ্ঠী সংক্রমণের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। সেক্ষত্রে কীভাবে ঠেকানো যেতে পারে সংক্রমণ ?

ETV ভারতের কাছে এই তথ্য উঠে এসেছে, কোরোনা পরিস্থিতি নিয়ে চিরুনি তল্লাশি করছে হুগলি জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ । সরকারি তরফে ANM ও আশা কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে কোরোনার লক্ষণ আছে কি না তা খতিয়ে দেখছেন । তাছাড়াও ফোন নম্বর সমেত রিপোর্ট সংগ্রহ করে জমা দিচ্ছেন ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকদের কাছে । স্বাস্থ্য বিভাগের দাবি, এই পদ্ধতিতে কোনও গাফিলতি না থাকলে কোরোনা যুদ্ধে জয় লাভ করা সম্ভব । হুগলিতে প্রতিটি ব্লক স্তরে এই পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে । কোরোনা সংক্রমণের লক্ষণ দেখা গেলে বা জানা গেলেই তাঁদের আইসলেশনে সেন্টারে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা থাকবে । বর্তমানে কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা জেলায় সাত জন । আক্রান্তের পরিসংখ্যানের নিরিখে হুগলিকে অরেঞ্জ জ়োন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে ।

হুগলির পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোর মধ্যে রয়েছে হাওড়া, বর্ধমান ও মেদিনীপুর । তাই সংক্রমণ যাতে না ছড়ায় তার জন্য সমস্ত রকম পদক্ষেপ করা হচ্ছে । হুগলি জেলায় দু'টি কোভিড হাসপাতাল খোলা হচ্ছে । এছাড়াও জেলায় 30-এর অধিক ছোটো-বড় কোয়ারান্টাইন সেন্টার তৈরি করা হয়েছে । হুগলিতে আইসোলেশন সেন্টার আছে মোট তিনটি হাসপাতালে । তার মধ্যে একটি চুঁচুড়া ইমামবাড়া সদর হাসপাতাল । অন্য দু'টি শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতাল ও আরামবাগ মহকুমা হাসপাতাল । জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে খবর, বর্তমান পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে এখন কোভিড হাসপাতাল রূপে গড়ে তোলা হচ্ছে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে । যার মধ্যে রয়েছে শ্রীরামপুর শ্রমজীবী হাসপাতাল, (100 বেড), ব্যান্ডেল ESI হাসপাতাল (125 বেড), আরামবাগে ব্লু ভিউ নার্সিংহোম (30) । প্রত্যেকটিতেই CCU-এর ব্যবস্থা থাকবে । অর্থাৎ কোরোনা আক্রান্ত রোগীদের ভেন্টিলেশনের সমস্যা হলে এই হাসপাতালগুলি থেকে সেটা পূরণ করা সম্ভব হবে ।

শ্রীরামপুর শ্রমজীবীতে আপাতত 100 বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে পরে তা আরও 50 বেড পর্যন্ত বাড়ানো হতে পারে । ব্যান্ডেল ESI বর্তমানে 125 বেডের ব্যবস্থা আছে । আরামবাগে ব্লু ভিউতে 30 বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে । সবকটি হাসপাতালকে তিনটি জোনে ভাগ করা হয়েছে । রোগীদের পরিস্থিতি অনুযায়ী রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে । কোরোনা সংক্রমিত রোগীদের জন্য এখনও পর্যন্ত ছ'টি অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা চালু করা হয়েছে । তার মধ্যে চুঁচুড়া সদর হাসপাতাল, শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতাল , সিঙ্গুর কোয়ারান্টাইন সেন্টারে, আরামবাগ মহকুমা হাসপাতাল, চন্দননগর মহকুমা হাসপাতাল ও উত্তরপাড়া স্টেট জেনেরাল হাসপাতাল রয়েছে ।

কয়েকদিনের মধ্যেই 200 বেডের কোয়ারান্টাইন সেন্টার চালু করা হবে হিন্দ মোটর টিটাগড় ওয়াগন কারখানাতে । গতকাল এই সেন্টারকে খতিয়ে দেখতে হাজির হয়েছিলেন শ্রীরামপুর মহকুমা শাসক, উত্তরপাড়া হাসপাতালের সুপার, উত্তরপাড়ার চেয়ারম্যান । এই কোয়ারান্টাইন সেন্টারগুলিতে কোরোনা সন্দেহে রাখা মানুষদের খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা থাকছে । প্রতিটি সেন্টারে অভিজ্ঞ চিকিৎসকরা রাউন্ডে থাকবেন । সেইসঙ্গে আপৎকালীন চিকিৎসার জন্য চিকিৎসক মোতায়েন থাকবেন ।


হুগলি, 17 এপ্রিল: হুগলিতে কোরোনা নিয়ে পরিকল্পনা কী? কোরোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখলেন হুগলি জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিকরা । সরকারি রিপোর্ট অনুযায়ী, হুগলিতে আক্রান্তের সংখ্যা সাত জন হলেও চিকিৎসকদের ধারণা এপ্রিলের শেষের দিকে বাড়বে এই সংখ্যা । সংক্রমণ রোধে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ কী কী পরিকাঠামো তৈরি করেছে? তা কি জনসংখ্যা অনুযায়ী পর্যাপ্ত ? বিষয়গুলি নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন । জুটমিল ও কলোনি এলাকায় গোষ্ঠী সংক্রমণের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। সেক্ষত্রে কীভাবে ঠেকানো যেতে পারে সংক্রমণ ?

ETV ভারতের কাছে এই তথ্য উঠে এসেছে, কোরোনা পরিস্থিতি নিয়ে চিরুনি তল্লাশি করছে হুগলি জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ । সরকারি তরফে ANM ও আশা কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে কোরোনার লক্ষণ আছে কি না তা খতিয়ে দেখছেন । তাছাড়াও ফোন নম্বর সমেত রিপোর্ট সংগ্রহ করে জমা দিচ্ছেন ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকদের কাছে । স্বাস্থ্য বিভাগের দাবি, এই পদ্ধতিতে কোনও গাফিলতি না থাকলে কোরোনা যুদ্ধে জয় লাভ করা সম্ভব । হুগলিতে প্রতিটি ব্লক স্তরে এই পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে । কোরোনা সংক্রমণের লক্ষণ দেখা গেলে বা জানা গেলেই তাঁদের আইসলেশনে সেন্টারে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা থাকবে । বর্তমানে কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা জেলায় সাত জন । আক্রান্তের পরিসংখ্যানের নিরিখে হুগলিকে অরেঞ্জ জ়োন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে ।

হুগলির পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোর মধ্যে রয়েছে হাওড়া, বর্ধমান ও মেদিনীপুর । তাই সংক্রমণ যাতে না ছড়ায় তার জন্য সমস্ত রকম পদক্ষেপ করা হচ্ছে । হুগলি জেলায় দু'টি কোভিড হাসপাতাল খোলা হচ্ছে । এছাড়াও জেলায় 30-এর অধিক ছোটো-বড় কোয়ারান্টাইন সেন্টার তৈরি করা হয়েছে । হুগলিতে আইসোলেশন সেন্টার আছে মোট তিনটি হাসপাতালে । তার মধ্যে একটি চুঁচুড়া ইমামবাড়া সদর হাসপাতাল । অন্য দু'টি শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতাল ও আরামবাগ মহকুমা হাসপাতাল । জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে খবর, বর্তমান পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে এখন কোভিড হাসপাতাল রূপে গড়ে তোলা হচ্ছে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে । যার মধ্যে রয়েছে শ্রীরামপুর শ্রমজীবী হাসপাতাল, (100 বেড), ব্যান্ডেল ESI হাসপাতাল (125 বেড), আরামবাগে ব্লু ভিউ নার্সিংহোম (30) । প্রত্যেকটিতেই CCU-এর ব্যবস্থা থাকবে । অর্থাৎ কোরোনা আক্রান্ত রোগীদের ভেন্টিলেশনের সমস্যা হলে এই হাসপাতালগুলি থেকে সেটা পূরণ করা সম্ভব হবে ।

শ্রীরামপুর শ্রমজীবীতে আপাতত 100 বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে পরে তা আরও 50 বেড পর্যন্ত বাড়ানো হতে পারে । ব্যান্ডেল ESI বর্তমানে 125 বেডের ব্যবস্থা আছে । আরামবাগে ব্লু ভিউতে 30 বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে । সবকটি হাসপাতালকে তিনটি জোনে ভাগ করা হয়েছে । রোগীদের পরিস্থিতি অনুযায়ী রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে । কোরোনা সংক্রমিত রোগীদের জন্য এখনও পর্যন্ত ছ'টি অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা চালু করা হয়েছে । তার মধ্যে চুঁচুড়া সদর হাসপাতাল, শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতাল , সিঙ্গুর কোয়ারান্টাইন সেন্টারে, আরামবাগ মহকুমা হাসপাতাল, চন্দননগর মহকুমা হাসপাতাল ও উত্তরপাড়া স্টেট জেনেরাল হাসপাতাল রয়েছে ।

কয়েকদিনের মধ্যেই 200 বেডের কোয়ারান্টাইন সেন্টার চালু করা হবে হিন্দ মোটর টিটাগড় ওয়াগন কারখানাতে । গতকাল এই সেন্টারকে খতিয়ে দেখতে হাজির হয়েছিলেন শ্রীরামপুর মহকুমা শাসক, উত্তরপাড়া হাসপাতালের সুপার, উত্তরপাড়ার চেয়ারম্যান । এই কোয়ারান্টাইন সেন্টারগুলিতে কোরোনা সন্দেহে রাখা মানুষদের খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা থাকছে । প্রতিটি সেন্টারে অভিজ্ঞ চিকিৎসকরা রাউন্ডে থাকবেন । সেইসঙ্গে আপৎকালীন চিকিৎসার জন্য চিকিৎসক মোতায়েন থাকবেন ।


ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.