ETV Bharat / state

"ইংরেজি বলতে না পারায়" আত্মহত্যা ঋষিকের ! মানতে পারছে না বন্ধুরা - St. Xaviers Student

ইংরেজি ভালো বলতে না পারার জন্য আত্মহত্যা করেছে ৷ ঋষিকের মৃত্যুর কারণ হিসেবে এই তত্ত্ব উঠে এসেছে ৷ তবে ঋষিকের বন্ধুরা বলছে, ইংরেজিতে ভালোই ছিল ঋষিক ৷ একই বক্তব্য ঋষিকের স্কুলের শিক্ষকেরও ৷

সিঙ্গুর
author img

By

Published : Aug 3, 2019, 6:02 PM IST

Updated : Aug 3, 2019, 6:53 PM IST

সিঙ্গুর, 3 জুলাই : ঋষিকের মৃত্যু কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না স্কুলের শিক্ষক ও বন্ধুরা ৷ ঋষিকের মতো মেধাবী ছাত্রের এই পরিণতি মেনে নেওয়া সম্ভব নয়, বলছে সবাই । বেলুড় GRP-র তরফে জানা গেছে, সুইসাইড নোটে পড়াশোনার চাপের কথা লেখা ছিল । তবে ঋষিকের বাবা-মা এনিয়ে মুখ খোলেনি ৷

সিঙ্গুর মহামায়া হাইস্কুলের মেধাবী ছাত্র ছিল ঋষিক । চলতি বছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় 472 নম্বর পেয়ে পাশ করে ঋষিক । এরপর কলকাতার সেন্ট জ়েভিয়ার্স কলেজে ফিজি়ক্স অনার্স নিয়ে ভর্তি হয় । বৃহস্পতিবার সকালে হস্টেল থেকে বেরিয়ে যায় ঋষিক । সেদিনই বেলা সাড়ে 12টায় পর উত্তরপাড়া ও হিন্দমোটর রেল স্টেশনের মাঝে রেললাইন থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয় । ঋষিকের প্যান্টের পকেট থেকে উদ্ধার হয় সুইসাইড নোট । গতকাল তাঁর পরিবার মৃতদেহ শনাক্ত করে ।

সিঙ্গুর মহামায়া হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আশিস সিনহা বলেন, "ঋষিক ভদ্র ছেলে ছিল । ও প্রথম থেকেই মেধাবী ছাত্র ছিল । ওর এই মৃত্যু সম্পূর্ণ মনস্তাত্ত্বিক ব্যাপার । তবে শারীরিক নির্যাতনের জন্য যদি ঋষিক এই সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে তাহলে সেটা আলাদা ব্যাপার । ইংরেজিতে বরাবরই ভালো ছিল সে । ইংরেজি মাধ্যমে ঋষিকের মতো মেধাবী ছাত্রের অসুবিধা হওয়ার কথা নয় ৷ প্রাথমিকভাবে বাংলা মাধ্যম থেকে ইংরেজি মাধ্যমে গেলে একটু অসুবিধা হতে পারে । তবে তার জন্য ঋষিকের মতো এরকম একটি মেধাবী ছাত্র এত কঠিন সিদ্ধান্ত নেবে ভাবা যায় না । "

ঋষিকের বন্ধু তপোব্র্ত ভট্টাচার্যের কথায়, "ইংরেজিতে বেশ ভালোই রেজ়াল্ট করত ঋষিক । তবে ইংরেজিতে কথোপকথনের ক্ষেত্রে কিছুটা সমস্যা হতেই পারে । কিন্তু তার জন্য ও এরকম করবে আমরা ভাবতে পারিনি । ও যখন নিখোঁজ ছিল ভেবেছিলাম কিডন্যাপ হয়েছে ।"

ঋষিকের আর এক বন্ধু অর্ণব দে বলে, "ইংরেজি ভাষার জন্য এভাবে ঋষিক আত্মহত্যা করবে সেটা মেনে নেওয়া যায় না । আমার মনে হয় হস্টেলে অন্য কোনও সমস্যার জন্য ও নিজেকে শেষ করে দিল ৷"

সিঙ্গুর, 3 জুলাই : ঋষিকের মৃত্যু কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না স্কুলের শিক্ষক ও বন্ধুরা ৷ ঋষিকের মতো মেধাবী ছাত্রের এই পরিণতি মেনে নেওয়া সম্ভব নয়, বলছে সবাই । বেলুড় GRP-র তরফে জানা গেছে, সুইসাইড নোটে পড়াশোনার চাপের কথা লেখা ছিল । তবে ঋষিকের বাবা-মা এনিয়ে মুখ খোলেনি ৷

সিঙ্গুর মহামায়া হাইস্কুলের মেধাবী ছাত্র ছিল ঋষিক । চলতি বছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় 472 নম্বর পেয়ে পাশ করে ঋষিক । এরপর কলকাতার সেন্ট জ়েভিয়ার্স কলেজে ফিজি়ক্স অনার্স নিয়ে ভর্তি হয় । বৃহস্পতিবার সকালে হস্টেল থেকে বেরিয়ে যায় ঋষিক । সেদিনই বেলা সাড়ে 12টায় পর উত্তরপাড়া ও হিন্দমোটর রেল স্টেশনের মাঝে রেললাইন থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয় । ঋষিকের প্যান্টের পকেট থেকে উদ্ধার হয় সুইসাইড নোট । গতকাল তাঁর পরিবার মৃতদেহ শনাক্ত করে ।

সিঙ্গুর মহামায়া হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আশিস সিনহা বলেন, "ঋষিক ভদ্র ছেলে ছিল । ও প্রথম থেকেই মেধাবী ছাত্র ছিল । ওর এই মৃত্যু সম্পূর্ণ মনস্তাত্ত্বিক ব্যাপার । তবে শারীরিক নির্যাতনের জন্য যদি ঋষিক এই সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে তাহলে সেটা আলাদা ব্যাপার । ইংরেজিতে বরাবরই ভালো ছিল সে । ইংরেজি মাধ্যমে ঋষিকের মতো মেধাবী ছাত্রের অসুবিধা হওয়ার কথা নয় ৷ প্রাথমিকভাবে বাংলা মাধ্যম থেকে ইংরেজি মাধ্যমে গেলে একটু অসুবিধা হতে পারে । তবে তার জন্য ঋষিকের মতো এরকম একটি মেধাবী ছাত্র এত কঠিন সিদ্ধান্ত নেবে ভাবা যায় না । "

ঋষিকের বন্ধু তপোব্র্ত ভট্টাচার্যের কথায়, "ইংরেজিতে বেশ ভালোই রেজ়াল্ট করত ঋষিক । তবে ইংরেজিতে কথোপকথনের ক্ষেত্রে কিছুটা সমস্যা হতেই পারে । কিন্তু তার জন্য ও এরকম করবে আমরা ভাবতে পারিনি । ও যখন নিখোঁজ ছিল ভেবেছিলাম কিডন্যাপ হয়েছে ।"

ঋষিকের আর এক বন্ধু অর্ণব দে বলে, "ইংরেজি ভাষার জন্য এভাবে ঋষিক আত্মহত্যা করবে সেটা মেনে নেওয়া যায় না । আমার মনে হয় হস্টেলে অন্য কোনও সমস্যার জন্য ও নিজেকে শেষ করে দিল ৷"

Intro:সেন্ট জেভিয়ার্সের ছাত্র হৃষেক কোলের আত্নহত্যা কথা মানতে পারছে না তার গ্রামের স্কুলের শিক্ষক থেকে বন্ধু বান্ধবরা।মেধাবী ছাত্রের এই পরিণতি মানা কারুর পক্ষেই সম্ভব নয় বলে দাবি সকলেরই।বেলুড় GRP তরফে জানা গেছে সুসাইড নোটে পড়াশোনার চাপের কথা লেখা ছিল।তবে পরিবারের বাবা মা এবিষয়ে মুখ খুলতে চাইছেন না।পড়াশোনায় ভালো ছাত্র হয়েও তার এই মৃত্যু নিয়ে উঠে বহু প্রশ্ন।

সিঙ্গুর মহামায় হাই স্কুলের খুবই মেধাবী ছাত্রছিল সে।এবারে উচ্চ মাধ‍্যমিক পরীক্ষায় 472 নম্বর পেয়ে পাশ করে।কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্সে দ্বিতীয় লিস্টে নাম ওঠে তার।সে ফিজিক্স অনার্স নিয়ে ভর্তি হয়।বৃহস্পতিবার হোস্টেল থেকে সকালে বেরিয়ে আর ফেরেনি এই ছাত্র।ফোন ও বন্ধ করে দেয়।তারপরই সাড়ে 12টায় পর হৃষেকের মৃতদেহ উদ্ধার হয় রেল লাইন থেকে।বেলুড় GRP র পুলিশ তদন্তে নেমে প্যান্টের পকেট থেকে সুসাইড নোট উদ্ধার করে।কিন্তু তার নিজেস্ব মোবাইল উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।একথা স্বীকার করতে চায় না তার বাবা ও মা।সিঙ্গুর মহামায়া স্কুলের শিক্ষকরা পড়াশোনার চাপে মৃত্যু মানতে চাইছেন না।হৃষেকের এই মৃত্যুতে শোকার্ত পরিবার থেকে স্কুল ও বন্ধু বান্ধবরা।

এবিষয়ে প্রধান শিক্ষক আশীষ সিনহা বলেন হৃষেক ভদ্র সভ্য অশান্ত ছেলে।সে উচ্চ মেধাবী ছাত্র।তারই এই আকস্মিক মৃত্যু সম্পূর্ণ মনস্তাত্বিক ব্যাপার।কিংবা শারিরিক নির্যাতনের পরিপ্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত নেলেও সেটা পুরো আলাদা ব্যাপার।ইংরেজিতে ভালো ছিল সে।ইংরেজি মাধ্যমে গেছে বলে তার মত মেধাবী ছাত্রের অসুবিধা হবে না।তবে প্রাথমিক ভাবে বাংলা মাধ্যম থেকে ইংরেজি গেলে ।ক্লাসে পড়াশোনার ক্ষেত্রে একটু অসুবিধা হতে পারে।তারজন্য এরকম একটা কঠিন সিদ্ধান্ত নেবে ভাবা যায় না।
এক বন্ধু তপব্র্ত ভট্টাচার্য বলেন ইংরেজি ভালো রেজাল্ট করত হৃষেক।তবে ইংরেজি ভাষা কথোপকথনের ক্ষেত্রের সমস্যা হতেই পারে।কিন্তু তার জন্য এরকম করবে আমরা ভাবতে পারিনি।ও যখন নিখোঁজ ছিল ভেবে ছিলাম কিডন্যাপ হয়েছে।এই ঘটনা সত্যি খুব খারাপ লাগছে আমাদের।
আরেক বন্ধু অর্নব দে বলে ইংরেজি ভাষার জন্য এভাবে আত্মহত্যা করবে সেটা মেনে নেওয়া যায় না।আমার মনে হয় হোস্টেলে কোন সমস্যা থেকে এটা হতে পারে।

Body:WB_HGL_SINGUR STUDENT DEATH FOLLOW UP_7203418Conclusion:
Last Updated : Aug 3, 2019, 6:53 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.