ETV Bharat / state

একশো দিনের প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ, অভিযুক্ত তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত - hooghly

জব কার্ডের বদলে ছোটো ডায়েরি ব্যবহার করে লক্ষাধিক টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠল তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে ৷ পঞ্চায়েতের আর্থিক দুর্নীতির প্রতিবাদে ডেপুটেশন দিয়েছে BJP ৷

অভিযোগকারী কার্ড হোল্ডাররা
author img

By

Published : Sep 1, 2019, 11:44 AM IST

Updated : Sep 1, 2019, 1:06 PM IST

গুড়াপ, 1 সেপ্টেম্বর : কার্ডের বদলে চটি খাতা বা ছোটো ডায়েরি জব কার্ড হিসেবে ব্যবহার করে লক্ষাধিক টাকা আত্মসাৎ৷ অভিযোগ উঠল তৃণমূল পরিচালিত গুড়াপ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে ৷

গুড়াপের চামট গ্রামের 30 নম্বর বুথে প্রায় আড়াইশো জন জব কার্ড হোল্ডার রয়েছেন ৷ পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ অমিত ঘোড়ুইয়ের নেতৃত্বে গুড়াপ পঞ্চায়েতে একশো দিনের কাজ পরিচালিত হত ৷ অভিযোগ, পুকুর কাটা থেকে রাস্তা মেরামতি সবক্ষেত্রেই শ্রমিকদের টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে ৷ স্থানীয়দের বক্তব্য, গুড়াপ পঞ্চায়েতের স্ট্যাম্প দিয়ে ছোটো ডায়েরি বা খাতাতে সই করে দিত সুপার ভাইজ়াররা ৷ 2018 সালে একশো দিনের কাজের নামে মাত্র 17 দিন কাজ করিয়ে বাকি দিনের টাকা শ্রমিকদের অ্যাকাউন্ট থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে৷ যদিও পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ অমিত ঘোড়ুইয়ের দাবি, হিসেবের জন্য ছোটো ডায়েরি বা চটি খাতা তিনিই ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছিলেন ৷ কিন্ত তিনি বা সুপার ভাইজ়াররা কোনও আর্থিক দুর্নীতি করেননি ৷

আরও পড়ুন : লকেটের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ BJP-র

Gurap
গুড়াপ পঞ্চায়েত অফিস

চামট গ্রামের জব কার্ড হোল্ডার বিষহরি গুছাইত বলেন, "আমাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে 65 দিনের টাকাও জমা পড়েছে ৷ কিন্তু সুপারভাইজ়াররা জানায়, তোমরা 17 দিনের টাকা তুলে নাও ৷ বাকি টাকা JCB-র টাকা বলে কেটে নিয়েছে ৷ অর্থাৎ JCB ব্যবহার করে মাটি কাটা হয়েছে ৷ এর প্রতিবাদ করলে আমাদের কাজ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেয় ৷ " বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়রা পঞ্চায়েত BDO-তে অভিযোগ দায়ের করলেও কোনও কাজ হয়নি ৷ পঞ্চায়েতের আর্থিক দুর্নীতির প্রতিবাদে গতকাল গুড়াপ পঞ্চায়েতে ডেপুটেশন জমা করেছে স্থানীয় BJP নেতৃত্ব ৷ হুগলির জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন ৷

দেখুন ভিডিয়ো

এই নিয়ে BJP-র মণ্ডল সভাপতি সন্দীপ মুখার্জি বলেন, "তৃণমূল নেতাদের নির্দেশে একশো দিনের কাজের সুপারভাইজ়াররা বেশকিছু বয়স্ক মানুষের জব কার্ড নিয়ে রেখেছে ৷ বদলে ছোটো ডায়েরিতে পঞ্চায়েতের স্ট্যাম্প দিয়ে সমস্ত টাকার লেনদেন হয়েছে ৷ গুড়াপ GP-তে বেশ কয়েকটি রাস্তা নির্মাণে শ্রমিকদের টাকা দেওয়া হয়ে গেছে ৷ কিন্তু একটা রাস্তাও নির্মাণ হয়নি ৷ JCB দিয়ে 6টি বুথের পুকুর কাটার 1700 টাকা করে নিয়ে নিয়েছে সুপার ভাইজ়াররা ৷ পঞ্চায়েতে প্রধান কাছে গিয়েও কোনও প্রতিকার হচ্ছে না ৷ আমাদের দাবি ওরা পঞ্চায়েত চালাতে না পারলে প্রশাসক নিয়োগ করুক ৷"

গুড়াপ, 1 সেপ্টেম্বর : কার্ডের বদলে চটি খাতা বা ছোটো ডায়েরি জব কার্ড হিসেবে ব্যবহার করে লক্ষাধিক টাকা আত্মসাৎ৷ অভিযোগ উঠল তৃণমূল পরিচালিত গুড়াপ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে ৷

গুড়াপের চামট গ্রামের 30 নম্বর বুথে প্রায় আড়াইশো জন জব কার্ড হোল্ডার রয়েছেন ৷ পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ অমিত ঘোড়ুইয়ের নেতৃত্বে গুড়াপ পঞ্চায়েতে একশো দিনের কাজ পরিচালিত হত ৷ অভিযোগ, পুকুর কাটা থেকে রাস্তা মেরামতি সবক্ষেত্রেই শ্রমিকদের টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে ৷ স্থানীয়দের বক্তব্য, গুড়াপ পঞ্চায়েতের স্ট্যাম্প দিয়ে ছোটো ডায়েরি বা খাতাতে সই করে দিত সুপার ভাইজ়াররা ৷ 2018 সালে একশো দিনের কাজের নামে মাত্র 17 দিন কাজ করিয়ে বাকি দিনের টাকা শ্রমিকদের অ্যাকাউন্ট থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে৷ যদিও পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ অমিত ঘোড়ুইয়ের দাবি, হিসেবের জন্য ছোটো ডায়েরি বা চটি খাতা তিনিই ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছিলেন ৷ কিন্ত তিনি বা সুপার ভাইজ়াররা কোনও আর্থিক দুর্নীতি করেননি ৷

আরও পড়ুন : লকেটের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ BJP-র

Gurap
গুড়াপ পঞ্চায়েত অফিস

চামট গ্রামের জব কার্ড হোল্ডার বিষহরি গুছাইত বলেন, "আমাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে 65 দিনের টাকাও জমা পড়েছে ৷ কিন্তু সুপারভাইজ়াররা জানায়, তোমরা 17 দিনের টাকা তুলে নাও ৷ বাকি টাকা JCB-র টাকা বলে কেটে নিয়েছে ৷ অর্থাৎ JCB ব্যবহার করে মাটি কাটা হয়েছে ৷ এর প্রতিবাদ করলে আমাদের কাজ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেয় ৷ " বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়রা পঞ্চায়েত BDO-তে অভিযোগ দায়ের করলেও কোনও কাজ হয়নি ৷ পঞ্চায়েতের আর্থিক দুর্নীতির প্রতিবাদে গতকাল গুড়াপ পঞ্চায়েতে ডেপুটেশন জমা করেছে স্থানীয় BJP নেতৃত্ব ৷ হুগলির জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন ৷

দেখুন ভিডিয়ো

এই নিয়ে BJP-র মণ্ডল সভাপতি সন্দীপ মুখার্জি বলেন, "তৃণমূল নেতাদের নির্দেশে একশো দিনের কাজের সুপারভাইজ়াররা বেশকিছু বয়স্ক মানুষের জব কার্ড নিয়ে রেখেছে ৷ বদলে ছোটো ডায়েরিতে পঞ্চায়েতের স্ট্যাম্প দিয়ে সমস্ত টাকার লেনদেন হয়েছে ৷ গুড়াপ GP-তে বেশ কয়েকটি রাস্তা নির্মাণে শ্রমিকদের টাকা দেওয়া হয়ে গেছে ৷ কিন্তু একটা রাস্তাও নির্মাণ হয়নি ৷ JCB দিয়ে 6টি বুথের পুকুর কাটার 1700 টাকা করে নিয়ে নিয়েছে সুপার ভাইজ়াররা ৷ পঞ্চায়েতে প্রধান কাছে গিয়েও কোনও প্রতিকার হচ্ছে না ৷ আমাদের দাবি ওরা পঞ্চায়েত চালাতে না পারলে প্রশাসক নিয়োগ করুক ৷"

Intro:একশো দিনের কাজে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে।জব কার্ড হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে চটি খাতাই জব কার্ড।গুড়াপ পঞ্চায়েতের নামে স্টাম মেরে সই করে দিত সুপার ভাইজাররা।17 দিন কাজ করিয়ে বাকি টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ সুপার ভাইজারদের বিরুদ্ধে।একশো দিনের কাজের নামে JCB দিয়ে কাজ করিয়ে জব কার্ডের হিসাব দেখতো।কিছু টাকা শ্রমিকদের দিয়ে বাকি টাকা শ্রমিকদের একাউন্ট থেকে তুলে নেওয়া হত।এর প্রতিবাদ করতে গেলে মেরে ফেলার ও কাজ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিত শ্রমিকদের।স্থানীয় মানুষের ও বিজেপির অভিযোগ রাস্তার দুর্নীতি থেকে একশো দিনের কাজ সবই করত তৃণমূল নেতারা।পঞ্চায়েত সমিতির পুর্ত কর্মাদক্ষ অমিত ঘুরুই নেতৃত্বে গুড়াপ পঞ্চায়েতে এই কাজ হত।পুকুর কাটা থেকে জব কার্ডের শ্রমিকদের টাকার দুর্নীতি নাম উঠে এসেছে পলাশীর চামট গ্রামের।তবে সুপার ভাইসার থেকে অমিত ঘুরুই গ্রাম থেকে সবাই পালিয়ে বেড়াচ্ছে।অবশ্য অমিত বাবুর দাবি চটি খাতা হিসাবের জন্য আমি বলেছিলাম করতে ।আরো কোন দুর্নীতি করিনি।আর সুপার ভাইসাররা বা আমি কিছু দুর্নীতি করে থাকি মাথা পেতে নেব।
গুরাপের চামট গ্রামের 30 নম্বর বুথে প্রায় আড়াইশো জব কার্ড হোল্ডার।সেখানে একশো দিনের কাজের নামে টাকা তুলে নেওয়া হত অভিযোগ।প্রথমে গ্রামবাসীরা তৃণমূলের ভয়ে কিছু বলতে পারেনি।ইদানিং পঞ্চায়েত বিডিওতে জানিয়ে কোন ফল হয়নি।বিজেপির তরফে গতকাল গুরাপ পঞ্চায়েতে ডেপুটেশনে জমা দেওয়া হয়েছে।পঞ্চায়েতের প্রধান এবিষয়ে মুখে খোলেনি।এবিষয়ে হুগলির DM ওয়াই রত্নাকর খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।
বিজেপির মন্ডল সভাপতি সন্দীপ মুখার্জী বলেন তৃণমূল নেতাদের নির্দেশে বয়স্ক মানুষের জব কার্ড নিয়ে চটি খাতা দিয়ে জব কার্ড করা হয়েছে।MGNREGA পঞ্চায়েতের স্ট্যাম্প দিয়ে খাতায় লিখে টাকার লেনদেন হয়েছে।গুরাপ জিপিতে বেশ কয়েকটি রাস্তা একশো দিনের পেমেন্ট হয়ে গেছে।আমাদের দাবি রাস্তা তৈরি হওয়ার পরই তো শ্রমিকদের পেমেন্ট হয়।এখানে রাস্তা হয়নি অথচ সব পেমেন্ট হয়ে গেল কি করে।আবাস যোজনার বাড়ি টাকা নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে।তৃণমূলের নেতারা সুপার ভাইজারদের দিয়ে টাকা তুলে ভাগ নিয়েছে।JCB দিয়ে 6টি বুথের পুকুর কাটার 1700 টাকা করে নিয়ে নিয়েছে।শ্রমিকদের বলা হয়েছে তোরা পুকুর কাটাতে পারবি না।পঞ্চায়েতে প্রধান কাছে যাচ্ছি কোন প্রতিকার হচ্ছে না।কেউ আসছে না।আমাদের দাবি ওরা পঞ্চায়েত না চালাতে পারলে অফিসার বসিয়ে পঞ্চায়েত চালাক।

WB_HGL_GURAP MGNREGA PROBLEM_7203418

Body:WB_HGL_GURAP MGNREGA PROBLEM_7203418
Conclusion:
Last Updated : Sep 1, 2019, 1:06 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.