হুগলি, 3 অগস্ট: দ্বারকেশ্বর নদীতে বাড়ছে জল । তাতেই আতঙ্কিত হয়ে পড়ছে নদীবাঁধ সংলগ্ন এলাকার মানুষজন । হুগলি জেলার সবচেয়ে বন্যাপ্রবণ অঞ্চল আরামবাগ । 2021 সালে বন্যার জেরে এতটাই ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেনাও নামানো হয়েছিল । এই বছরও ফুঁসছে দ্বারকেশ্বর নদী ৷ তাতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন খানাকুল, গোঘাট এলাকার বাসিন্দারা ৷
ইতিমধ্যেই আরামবাগ মহকুমার খানাকুল এক ও দুই নম্বর ব্লক থেকে শুরু করে গোঘাট ও আরামবাগের কিছু অংশে নদীর জল বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেশ কয়েকটি সেতুও ভেঙে গিয়েছে । খানাকুলের 2 ব্লকের ধান্যঘোরী ও মনসুখার মাঝের সেতুটিও ইতিমধ্যেই জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে ৷ এই সেতুটি খানাকুল ও মেদিনীপুরের মধ্যে সংযোগকারী একমাত্র সেতু । যার জরেই সমস্যা পড়েছেন এলাকাবাসী ৷
অন্যদিকে গোঘাটের জগৎপুর ও আরামবাগের বড় ডোঙ্গলের মধ্যে সংযোগকারী কাঠের সেতুটি ভেঙে পড়েছে জলের স্রোতের দাপটে । পাশাপাশি খানাকুলের গড়েরঘাটের জগৎপুর ও ঘাটালের মধ্যে সংযোগকারী বাঁশের সেতুটি ভেঙে হুগলি ও মেদিনীপুরের মধ্যে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে । এখন ভরসা বলতে নৌকা ৷
আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যাচ্ছে প্রতিনিধি দল, জানালেন মমতা
জগৎপুরের এক বাসিন্দা রমেশ দোলুই বলেন, "এই সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় নৌকা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই । প্রবল জলের স্রোত ও কচুরিপানার কারণেই সেতুটি ভেঙে পড়েছে । দুই জেলার মধ্যে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে ।" স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, জলের স্রোতের সঙ্গে কয়েক লক্ষ পানা নদীতে ভেসে আসে। সেই চাপেই সেতুগুলো ভেঙে পড়ে।
আরও পড়ুন: পাহাড়ে ফুলফর্মে বর্ষা ! তিস্তা ও জলঢাকা নদীর অসংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সতর্কতা
এই পরিস্থিতির কারণে চিন্তিত নদী তীরবর্তী এলাকায় থাকা মানুষজন । একে ফুঁসছে নদী ৷ তার উপর নিন্মচাপের প্রভাবে রয়েছে রাজ্যে । ডিভিসি থেকে জল ছাড়লে নদীর জলস্তর আর বাড়বে ৷ তাই সরকারি তরফে আগে থেকেই সতর্কতা জারি করা হয়েছে । ইতিমধ্যেই আরামবাগ ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে সতর্ক বার্তা প্রচার করা হচ্ছে । নিরাপত্তার কারণে এলাকাবাসীকে বাঁশের দুর্বল সেতুর উপর দিয়ে চলাচল করতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে । প্রতিনিয়ত পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে প্রশাসন ৷