ETV Bharat / state

ওঠেনি ছাদ, জমিজটে আটকে স্কুলের কাজ

70 বছরের পুরোনো স্কুল ৷ কিন্তু এখনও পাকা ছাদ ওঠেনি স্কুলের ৷ মাটির দেওয়াল ৷ টালির ছাদ ৷ এর মধ্যেই চলছে ক্লাস ৷

Sheoraphuli
শ্যামনগর কলোনি এস জি এফ পি প্রাথমিক বিদ্যালয়
author img

By

Published : Feb 12, 2020, 10:19 PM IST

শেওড়াফুলি, 12 ফেব্রুয়ারি : শেওড়াফুলির শ্যামনগর কলোনি এস জি এফ পি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৷ স্থাপিত হয়েছিল 1950 সালে ৷ সেই থেকে এখনও পর্যন্ত স্কুলের উপর পাকা ছাদ ওঠেনি ৷ টালির চালেই চলছে পড়াশোনা ৷

স্কুলে এখন পড়ুয়ার সংখ্যা রয়েছে 100 ৷ শিক্ষকও রয়েছে পাঁচজন ৷ ক্লাসও হয় নিয়মিত ৷ নেই শুধু সুস্থ পরিবেশ ৷ মাটির দেওয়াল ৷ টালির চাল ৷ এরকমই ছোটো ছোটো ঘরেই কোনওরকমে চলছে প্রথম শ্রেণী থেকে চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত ক্লাস ৷ বর্ষাকালে চরম ভোগান্তি হয় ৷ অল্প বৃষ্টি হলেই জলমগ্ন হয়ে যায় ক্লাস । নেই আলাদা শৌচালয়ও ৷ একটিমাত্র শৌচালয় ৷ আর সেটাই সম্বল ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অশিক্ষক কর্মীদের ৷

প্রশাসনের কাছে বারবার জানিয়েও কোনও সুরাহা মেলেনি । প্রধান শিক্ষিকার মৃদুলা মিত্র দত্ত বলছেন, "পড়াশোনা বা গান-বাজনায় আমাদের স্কুল অনেকটাই এগিয়ে । কিন্তু স্কুলের জায়গা কম থাকায় ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে মাঝে মধ্যেই সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে । তার ওপর বৃষ্টি নামলে তো কথাই নেই । বর্ষার জলে ভরে যায় ক্লাস । নানা সমস্যার মধ্যেও পড়াশোনা চালিয়ে যেতে হচ্ছে । আমাদের হুগলি জেলার শিক্ষা দপ্তরের কার্যালয়ে জানিয়েও আজ পর্যন্ত কোনো ফল হয়নি ।"

জানা গেছে, জমি সংক্রান্ত সমস্যার কারণেই আটকে আছে স্কুলের উন্নয়নের কাজ ৷ স্কুলটি যে জমির উপর স্থাপিত, সেটি স্কুলের নিজস্ব জমি নয় ৷ জমিটি অন্য মালিকাধীন হওয়ায় সরকারি কাজে বেশ কিছু সমস্যার দেখা দিচ্ছে ৷ প্রধান শিক্ষিকা জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে বারাবার প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করা হলেও কোনও সুরাহা মেলেনি ৷

শেওড়াফুলি, 12 ফেব্রুয়ারি : শেওড়াফুলির শ্যামনগর কলোনি এস জি এফ পি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৷ স্থাপিত হয়েছিল 1950 সালে ৷ সেই থেকে এখনও পর্যন্ত স্কুলের উপর পাকা ছাদ ওঠেনি ৷ টালির চালেই চলছে পড়াশোনা ৷

স্কুলে এখন পড়ুয়ার সংখ্যা রয়েছে 100 ৷ শিক্ষকও রয়েছে পাঁচজন ৷ ক্লাসও হয় নিয়মিত ৷ নেই শুধু সুস্থ পরিবেশ ৷ মাটির দেওয়াল ৷ টালির চাল ৷ এরকমই ছোটো ছোটো ঘরেই কোনওরকমে চলছে প্রথম শ্রেণী থেকে চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত ক্লাস ৷ বর্ষাকালে চরম ভোগান্তি হয় ৷ অল্প বৃষ্টি হলেই জলমগ্ন হয়ে যায় ক্লাস । নেই আলাদা শৌচালয়ও ৷ একটিমাত্র শৌচালয় ৷ আর সেটাই সম্বল ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অশিক্ষক কর্মীদের ৷

প্রশাসনের কাছে বারবার জানিয়েও কোনও সুরাহা মেলেনি । প্রধান শিক্ষিকার মৃদুলা মিত্র দত্ত বলছেন, "পড়াশোনা বা গান-বাজনায় আমাদের স্কুল অনেকটাই এগিয়ে । কিন্তু স্কুলের জায়গা কম থাকায় ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে মাঝে মধ্যেই সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে । তার ওপর বৃষ্টি নামলে তো কথাই নেই । বর্ষার জলে ভরে যায় ক্লাস । নানা সমস্যার মধ্যেও পড়াশোনা চালিয়ে যেতে হচ্ছে । আমাদের হুগলি জেলার শিক্ষা দপ্তরের কার্যালয়ে জানিয়েও আজ পর্যন্ত কোনো ফল হয়নি ।"

জানা গেছে, জমি সংক্রান্ত সমস্যার কারণেই আটকে আছে স্কুলের উন্নয়নের কাজ ৷ স্কুলটি যে জমির উপর স্থাপিত, সেটি স্কুলের নিজস্ব জমি নয় ৷ জমিটি অন্য মালিকাধীন হওয়ায় সরকারি কাজে বেশ কিছু সমস্যার দেখা দিচ্ছে ৷ প্রধান শিক্ষিকা জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে বারাবার প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করা হলেও কোনও সুরাহা মেলেনি ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.