ETV Bharat / state

Civic Volunteer Arrested: স্ত্রীকে খুন করে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা ! গ্রেফতার সিভিক ভলান্টিয়ার

author img

By

Published : Nov 11, 2022, 7:13 PM IST

স্ত্রীকে খুনের পর প্রমাণ লোপাটের চেষ্টার অভিযোগে (Murder Charge) গ্রেফতার করা হল এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে (Civic Volunteer Arrested) ৷ হুগলির (Hooghly) বলাগর থানা (Balagarh Police Station) এলাকার ঘটনা ৷

Civic Volunteer Arrested in Hooghly for Murder Charge
Civic Volunteer Arrested: স্ত্রীকে খুন করে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা ! গ্রেফতার সিভিক ভলান্টিয়ার

বলাগড় (হুগলি), 11 নভেম্বর: স্ত্রীকে খুন করে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করার অভিযোগ (Murder Charge) উঠল এক সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে ৷ ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার (Civic Volunteer Arrested) করেছে হুগলির (Hooghly) বলাগর থানার (Balagarh Police Station) পুলিশ ৷ তবে এই ঘটনা সত্যিই খুন নাকি আত্মহত্যা, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে ৷ ঘটনার তদন্ত চলছে ৷

মৃতার নাম মামনি বিশ্বাস ৷ বয়স 29 বছর ৷ মামনির বাপের বাড়ির সদস্যদের অভিযোগ, তাঁকে খুন করে দেহ পুড়িয়ে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করা হয়েছে ৷ অভিযোগের একই সুর শোনা গিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের গলাতেও ৷ আর এর জন্য মৃতার স্বামী, পেশায় সিভিক ভলান্টিয়ার বাবলু বিশ্বাসকেই দায়ী করছেন সকলে ৷

Civic Volunteer Arrested in Hooghly for Murder Charge
প্রয়াত মামনি বিশ্বাস ৷

আরও পড়ুন: অটো কেনার টাকা দেননি শ্বশুর, 'রাগে' স্ত্রী'কে খুন মালদার যুবকের

বাবলু বলাগড় থানা এলাকার চর কৃষ্ণবাটি পঞ্চায়েতের ছোলার ডাঙা গ্রামের বাসিন্দা ৷ প্রায় 7 বছর আগে নদিয়া জেলার শান্তিপুরের বাসিন্দা মামনির সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয় ৷ এই দম্পতির একটি সন্তানও রয়েছে ৷ মামনির বাপের বাড়ির সদস্যদের দাবি, তাঁর উপর নিয়মিত অত্য়াচার চালাতেন বাবলু ৷ বৃহস্পতিবার রাতে তা চরমে ওঠে ৷ আর তার জেরেই বাবলু তাঁর স্ত্রীকে খুন করেন বলে অভিযোগ করেন মামনির মা ও দিদি ৷ তাঁদের আশঙ্কা, বৃহস্পতিবার রাতে কাজ থেকে ফেরার পর স্ত্রীর সঙ্গে অশান্তিতে জড়িয়ে পড়েন বাবলু ৷ তখনই স্ত্রীকে থাপ্পড় মারেন তিনি ৷ তাতেই হয়তো প্রাণ যায় মামনির ৷ এরপর তাঁর দেহ ঘরের বাইরে উঠোনের কুয়ো পাড়ে নিয়ে আসা হয় ৷ সেখানেই মামনির শরীরে জ্বালানি তেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় ৷

কাঠগড়ায় মৃতার স্বামী ৷

এরপর ফোনে মামনির বাপের বাড়িতে খবর দেওয়া হয় ৷ তাঁদের বলা হয়, মামনির গায়ের আগুন লেগেছে ৷ মৃতার দিদির দাবি, তাঁরা আসার আগেই মামনির দেহ পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল ৷ কিন্তু, তাতে সফল হননি বাবলু ৷ পরে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷ শুক্রবার সকালে মামনি বিশ্বাসের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয় ৷

শুধুমাত্র মামনি বিশ্বাসের বাপের বাড়ির সদস্যরাই নন, এই মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পড়শিরাও ৷ সুদীপ বিশ্বাস নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা যেমন বলেন, "মেয়েটির দেহের সামান্য অংশই পুড়েছিল ৷ দেহ দেখে আমার মনে হয়নি আগুনে পুড়ে মারা গিয়েছে ৷ কারও আগে আগুন লাগলে সে বাঁচার জন্য দৌড়বে ৷ এভাবে শুয়ে থেকে পুড়ে যাবে না !" এই ঘটনা প্রসঙ্গে অবশ্য বিশ্বাস বাড়ির কেউ সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে চাননি ৷

বলাগড় (হুগলি), 11 নভেম্বর: স্ত্রীকে খুন করে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করার অভিযোগ (Murder Charge) উঠল এক সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে ৷ ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার (Civic Volunteer Arrested) করেছে হুগলির (Hooghly) বলাগর থানার (Balagarh Police Station) পুলিশ ৷ তবে এই ঘটনা সত্যিই খুন নাকি আত্মহত্যা, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে ৷ ঘটনার তদন্ত চলছে ৷

মৃতার নাম মামনি বিশ্বাস ৷ বয়স 29 বছর ৷ মামনির বাপের বাড়ির সদস্যদের অভিযোগ, তাঁকে খুন করে দেহ পুড়িয়ে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করা হয়েছে ৷ অভিযোগের একই সুর শোনা গিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের গলাতেও ৷ আর এর জন্য মৃতার স্বামী, পেশায় সিভিক ভলান্টিয়ার বাবলু বিশ্বাসকেই দায়ী করছেন সকলে ৷

Civic Volunteer Arrested in Hooghly for Murder Charge
প্রয়াত মামনি বিশ্বাস ৷

আরও পড়ুন: অটো কেনার টাকা দেননি শ্বশুর, 'রাগে' স্ত্রী'কে খুন মালদার যুবকের

বাবলু বলাগড় থানা এলাকার চর কৃষ্ণবাটি পঞ্চায়েতের ছোলার ডাঙা গ্রামের বাসিন্দা ৷ প্রায় 7 বছর আগে নদিয়া জেলার শান্তিপুরের বাসিন্দা মামনির সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয় ৷ এই দম্পতির একটি সন্তানও রয়েছে ৷ মামনির বাপের বাড়ির সদস্যদের দাবি, তাঁর উপর নিয়মিত অত্য়াচার চালাতেন বাবলু ৷ বৃহস্পতিবার রাতে তা চরমে ওঠে ৷ আর তার জেরেই বাবলু তাঁর স্ত্রীকে খুন করেন বলে অভিযোগ করেন মামনির মা ও দিদি ৷ তাঁদের আশঙ্কা, বৃহস্পতিবার রাতে কাজ থেকে ফেরার পর স্ত্রীর সঙ্গে অশান্তিতে জড়িয়ে পড়েন বাবলু ৷ তখনই স্ত্রীকে থাপ্পড় মারেন তিনি ৷ তাতেই হয়তো প্রাণ যায় মামনির ৷ এরপর তাঁর দেহ ঘরের বাইরে উঠোনের কুয়ো পাড়ে নিয়ে আসা হয় ৷ সেখানেই মামনির শরীরে জ্বালানি তেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় ৷

কাঠগড়ায় মৃতার স্বামী ৷

এরপর ফোনে মামনির বাপের বাড়িতে খবর দেওয়া হয় ৷ তাঁদের বলা হয়, মামনির গায়ের আগুন লেগেছে ৷ মৃতার দিদির দাবি, তাঁরা আসার আগেই মামনির দেহ পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল ৷ কিন্তু, তাতে সফল হননি বাবলু ৷ পরে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷ শুক্রবার সকালে মামনি বিশ্বাসের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয় ৷

শুধুমাত্র মামনি বিশ্বাসের বাপের বাড়ির সদস্যরাই নন, এই মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পড়শিরাও ৷ সুদীপ বিশ্বাস নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা যেমন বলেন, "মেয়েটির দেহের সামান্য অংশই পুড়েছিল ৷ দেহ দেখে আমার মনে হয়নি আগুনে পুড়ে মারা গিয়েছে ৷ কারও আগে আগুন লাগলে সে বাঁচার জন্য দৌড়বে ৷ এভাবে শুয়ে থেকে পুড়ে যাবে না !" এই ঘটনা প্রসঙ্গে অবশ্য বিশ্বাস বাড়ির কেউ সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে চাননি ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.