চুঁচুড়া, 23 মার্চ: নিজের পরিবারের লোকজন-সহ 17 জনকে চাকরি দিয়েছে তৃণমূল কাউন্সিলর (TMC Councillor) । এমনই অভিযোগ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এরপরই রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি কাউন্সিলররা। বৃহস্পতিবার দুপুরে চুঁচুড়া পৌরসভার মধ্যে চেয়ারম্যানের সামনেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে বিজেপি। এরপর অভিযুক্ত কাউন্সিলরের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দেন তারা।
চুঁচুড়া পৌরসভার (Chinsura Municipality) 4 নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সরস্বতী পালের বিরুদ্ধে চাকরিতে স্বজন-পোষণের অভিযোগ করেছিল বিজেপি । এদিন পৌরসভায় তাঁর ঘরের সামনে এসে ক্ষোভ উগরে দেয় বিজেপি কর্মীরা। স্থায়ী বা অস্থায়ী যাই হোক না কেন, একজন কাউন্সিলর কীভাবে নিজের পরিবার বা দলের কর্মীদের পৌরসভায় নিয়োগ করে এদিন সেই প্রশ্নই তোলে বিজেপি। সেই নিয়ে পৌরসভার চেয়ারম্যান অমিত রায়কে ডেপুটেশনও জমা দেয় তারা।
চাকরি-সহ একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে এদিন পৌরসভা ঘেরাও করে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। সে সময় পৌরসভায় ছিলেন না পৌরপ্রধান। কিছুক্ষণ পর ঘেরাও চলাকালীন পৌরসভায় প্রবেশ করেন পৌরপ্রধান অমিত রায়। তাঁকে দেখে ঘিরে ধরে 'চোর' স্লোগান দিতে থাকে বিজেপি কর্মীরা। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে পৌরপ্রধানকে তাঁর ঘরে পৌঁছে দিয়ে আসেন।
সম্প্রতি দিল্লিতে এক বিবৃতি জারি করে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার অভিযোগ করেছিলেন, তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর পৌরসভার চাকরির ক্ষেত্রে স্বজনপোষণ করেছেন । এরপরই পৌরসভায় নানা গুঞ্জন শুরু হয়ে যায় । সাধারণ মানুষের পাশাপাশি কর্মীদের মধ্যেও চাপানউতোর শুরু হয়ে যায়। এর আগে অবশ্য় পৌরসভার স্থায়ী কর্মী নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। তা এখন বিচারাধীন অবস্থায় আছে।
আরও পড়ুন: টিভি চ্যানেলের মালিক হওয়ার স্বপ্ন ছিল অয়নের, দিল্লিতে হয়েছিল বৈঠক
বিজেপির অভিযোগের ভিত্তিতে চুঁচুড়া পৌরসভার চেয়ারম্যান অমিত রায় বলেন, "অস্থায়ী পদে নির্মল বন্ধু ও সাথী নেওয়া হয়েছে। এর জন্য কাউন্সিলরদের নাম দিতে বলা হয়েছিল। কে কার আত্মীয়কে পাঠিয়েছেন সেটা আমার জানা সম্ভব নয়। আর নিয়োগ নিয়ে যখন অভিযোগ উঠেছিল সেই সময় আমি প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম। তখন আমাকে কমিটি থেকে সরে যেতে হয়েছিল। সুতরাং কোনও দুর্নীতির সঙ্গে আপোষ করি না ।" সেইসঙ্গে, পৌরমন্ত্রী-সহ সাংসদকেও অভিযোগ জানিয়ে ছিলেন বলে এদিন জানান তিনি।