ETV Bharat / state

তৃণমূল নেতার বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠানে হামলা, অভিযুক্ত BJP - panchayat pradhan

তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠান চলাকালীন হামলার অভিযোগ BJP-র বিরুদ্ধে ।

তৃণমূল নেতার বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠানে হামলা, অভিযুক্ত BJP
author img

By

Published : Jul 2, 2019, 3:23 PM IST

তারকেশ্বর, 2 জুলাই : তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়িতে হামলার অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে। পাশাপাশি বিয়ে পণ্ড করে ভাঙচুর ও মারধরের অভিযোগও আনা হয় বিজেপির বিরুদ্ধে।
বিয়ের অনুষ্ঠানে আসা অতিথি এবং নব দম্পতিকে মারধরও করে অভিযোগ BJP আশ্রিত দুষ্কৃতীরা, তৃণমূলের অভিযোগ এমনটাই । দুষ্কৃতীরা নবদম্পতির গয়না লুট করেছে বলেও অভিযোগ । ঘটনাটি হুগলির তারকেশ্বরের দত্তপুর গ্রামের । আস্তারা দত্তপুর গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান কেশব ঘোষের অভিযোগ, BJP নেতা গণেশ চক্রবর্তীর মদতে এই হামলা চলে ।

রবিবার পঞ্চায়েত প্রধানের আত্মীয়ের বিয়ে ছিল। তাঁর বাড়িতে নববধূকে বরণের অনুষ্ঠান হচ্ছিল। তখন কেশববাবুর বাড়িতে হামলা চালিয়ে তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে মারধর করা হয়, অভিযোগ এমনটাই । ঘটনায় জখম হয়েছেন গ্রামপ্রধান কেশব ঘোষ, তাঁর আত্মীয় সৌভিক ঘোষ, নবদম্পতি ভাইপো কৌশিক ঘোষ, অনিন্দিতা ঘোষ-সহ পরিবারের সদস্য ও বিয়ে বাড়িতে আসা কয়েকজন অতিথিও। তাঁদেরকে স্থানীয় তারকেশ্বর ব্লক গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় ।

এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে নবদম্পতিও তারকেশ্বর থানায় আসে । তাঁদের সঙ্গে অবস্থান বিক্ষোভ করেন তৃণমূলের বহু কর্মী-সমর্থক । অবিলম্বে দোষীদের গ্রেপ্তার করার দাবি জানান তারা । ঘটনার খবর পেয়ে তারকেশ্বর আসেন আরামবাগ লোকসভার দলীয় পর্যবেক্ষক দিলীপ যাদব । তাঁর উপস্থিতিতে তারকেশ্বর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয় । দিলীপবাবু চিকিৎসাধীনদের সঙ্গে দেখা করতে হাসপাতালেও যান ।

কেশব বাবুর কথায়, "ভারতের ইতিহাসে এরকম ঘটনা ঘটেনি । বাড়িতে নববধূ বরণের সময় BJP-র গুন্ডারা এই রকম ভাবে হামলা করল । এই ঘটনা নরেন্দ্র মোদি দেখুক । এসব কী হচ্ছে? তীব্র ধিক্কার জানাচ্ছি ।"

অন্য দিকে BJP-র আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা সম্পাদক গণেশ চক্রবর্তী বলেন, "আমি খোঁড়া মানুষ । তৃণমূলই আমাকে মেরে খোঁড়া করেছে । আমি বাড়ি থেকে বের হতেও পারি না । সেটা পুলিশও জানে । আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ এনেছেন ওঁরা ।"

তারকেশ্বর, 2 জুলাই : তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়িতে হামলার অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে। পাশাপাশি বিয়ে পণ্ড করে ভাঙচুর ও মারধরের অভিযোগও আনা হয় বিজেপির বিরুদ্ধে।
বিয়ের অনুষ্ঠানে আসা অতিথি এবং নব দম্পতিকে মারধরও করে অভিযোগ BJP আশ্রিত দুষ্কৃতীরা, তৃণমূলের অভিযোগ এমনটাই । দুষ্কৃতীরা নবদম্পতির গয়না লুট করেছে বলেও অভিযোগ । ঘটনাটি হুগলির তারকেশ্বরের দত্তপুর গ্রামের । আস্তারা দত্তপুর গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান কেশব ঘোষের অভিযোগ, BJP নেতা গণেশ চক্রবর্তীর মদতে এই হামলা চলে ।

রবিবার পঞ্চায়েত প্রধানের আত্মীয়ের বিয়ে ছিল। তাঁর বাড়িতে নববধূকে বরণের অনুষ্ঠান হচ্ছিল। তখন কেশববাবুর বাড়িতে হামলা চালিয়ে তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে মারধর করা হয়, অভিযোগ এমনটাই । ঘটনায় জখম হয়েছেন গ্রামপ্রধান কেশব ঘোষ, তাঁর আত্মীয় সৌভিক ঘোষ, নবদম্পতি ভাইপো কৌশিক ঘোষ, অনিন্দিতা ঘোষ-সহ পরিবারের সদস্য ও বিয়ে বাড়িতে আসা কয়েকজন অতিথিও। তাঁদেরকে স্থানীয় তারকেশ্বর ব্লক গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় ।

এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে নবদম্পতিও তারকেশ্বর থানায় আসে । তাঁদের সঙ্গে অবস্থান বিক্ষোভ করেন তৃণমূলের বহু কর্মী-সমর্থক । অবিলম্বে দোষীদের গ্রেপ্তার করার দাবি জানান তারা । ঘটনার খবর পেয়ে তারকেশ্বর আসেন আরামবাগ লোকসভার দলীয় পর্যবেক্ষক দিলীপ যাদব । তাঁর উপস্থিতিতে তারকেশ্বর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয় । দিলীপবাবু চিকিৎসাধীনদের সঙ্গে দেখা করতে হাসপাতালেও যান ।

কেশব বাবুর কথায়, "ভারতের ইতিহাসে এরকম ঘটনা ঘটেনি । বাড়িতে নববধূ বরণের সময় BJP-র গুন্ডারা এই রকম ভাবে হামলা করল । এই ঘটনা নরেন্দ্র মোদি দেখুক । এসব কী হচ্ছে? তীব্র ধিক্কার জানাচ্ছি ।"

অন্য দিকে BJP-র আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা সম্পাদক গণেশ চক্রবর্তী বলেন, "আমি খোঁড়া মানুষ । তৃণমূলই আমাকে মেরে খোঁড়া করেছে । আমি বাড়ি থেকে বের হতেও পারি না । সেটা পুলিশও জানে । আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ এনেছেন ওঁরা ।"

Intro:তৃণমূল নেতা খুনের উঠে আসছে বিভিন্ন তথ্য।যেমন জমি কেনা বেচা প্রোমোটারি করা।ঝিল বুঝিয়ে দোকান তৈরি সহ অনেক টাকা করেছে এই তৃণমূল নেতা দিলীপ রাম।ব্যান্ডেল পঞ্চায়েতে স্ত্রী প্রধান হওয়ার সূত্রে একাধিক প্রকল্পের কাজে তার আঙ্গুলি হেলনে চলত।এসব নিয়েও এলাকার দুষ্কৃতী দের চুক্ষু শূলের কারণ হয়েছিলেন তিনি।শুধু তাই নয় ব্যান্ডেলের কুখ্যাত দুষ্কৃতী লালার সঙ্গে পুরানো শত্রুতা ছিল আগে থেকেই।সেই শত্রুতা জমি মাফিয়াদের কোপে মুখে পড়েছিলেন।
দ্বিতীয়ত্ব দলীয় সূত্রে খবর মগরা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দিলীপ দাসের পরিবর্তে প্রাক্তন সভাপতি দেবব্রত বিশ্বাসের নাম উঠে আসছিল।লোকসভা ভোটে হুগলির ভরা ডুবিতে এই সিদ্ধান্ত।কিন্তু সেটা কার্যকর করতে গেলে নেতাজী পার্ক সহ বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে তৃণমূলে দেবব্রত বিশ্বাস কে জিতিয়ে আনতে হবে।কিন্তু সেখানেও বাঁধা হয়ে দাঁড়াচ্ছিল দিলীপ রাম।তাছাড়া লোকসভা ভোটে প্রায় 7হাজার ভোটে তৃণমূলের হার ছিল এই অঞ্চল থেকে।সে ভোটকে পুনরুদ্ধার করতে তৃণমূলের মধ্যেই চলছিল জল্পনা।এমন কিছু করতে করতে হবে যাতে সহানুভূতি পাওয়া যায় মানুষের কাছে।হতে পারে যে এই খুনই তৃণমূলের দিকে ফিরবে মানুষ।
তবে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ ও ব্যান্ডেল GRP যৌথ তদন্তে আসল কি কারণ সেটা উঠে আসবে।পুলিশ দিলীপ রামের খুনের ঘটনায় ডিম্পল নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে।তবে সূত্রের খবর রাজনৈতিক কারণের চেয়ে জমি দখল কেনাবেচা,প্রমোটারী সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণেই খুন বলে অনুমান পুলিশের।দিলীপ রামের স্ত্রী নীতু সিং অবশ্য তিনি আজ জানান এর আগেও দিলীপ রামের উপর হামলা হয়।অল্পের জন্য রক্ষা পেলেও শনিবার ব্যান্ডেল স্টেশনে তাকে খুন হতে হয়েছে।লালা ও তার ভাই বিরজু পাসওয়ানের নাম বলেছেন তিনি।তৃণমূলের কোন পদে না থাকা দিলীপকে কেনই বা এভাবে খুন করবে প্রকাশ্যে।
দিলীপ রামের বাড়বাড়ন্ত 2011 সালে স্ত্রী নীতু সিং ব্যান্ডেল পঞ্চায়েতের প্রধান হওয়া পর থেকেই।এরপর থেকে তার পরিবারে একের পর এক সদস্যের রেলে চাকুরী।তিনিও কাঁচারাপাড়া ওয়ার্কশপে চাকুরী করতেন।তাছাড়াও স্ত্রী প্রধান হওয়ায় কারণে পঞ্চায়েতের অধিকাংশ কাজই তার কথা মতো চলত।যেকোনো প্রকল্প এর কাজ ভাগের ব্যাপারেই তার ছায়া কাজ করত।ব্যান্ডেল পঞ্চায়েত 80 শতাংশ রেল কলনী হওয়ায় রেলের পরিকাঠামো যথেষ্ট ছিল।সেক্ষেত্রে ব্যান্ডেল পঞ্চায়েতে খরচের পরিমান সেরকম ভাবে হত না।
একবছর আগে দিঘা তে একটি হোটেল ও কিনেছেন এই তৃণমূল নেতা।ইদানীং ব্যান্ডেলের অন্যপূর্ণা বাজারে পাশে ঝিল বুজিয়ে দোকান করে বিক্রি করছেন তিনি।দুষ্কৃতীদের তোলা আদায়ের ক্ষেত্রে বাঁধা হয়ে দাঁড়াচ্ছিলেন তিনি ।তাই তাকে সরাতেই এই খুন বলে প্রাথমিক অনুমান।
আজ বিজেপির সাংসদ লকেট চ্যাটার্জী অভিযোগ এনেছেন তৃণমূলের এই নেতার সঙ্গে দুষ্কৃতী দের শত্রুতা জন্যই এই ঘটনা ঘটেছে।কাটমানি ও তোলাবাজি ভাগ বাটোয়ার থেকেই নিজের মধ্যে গন্ডগোল।তৃণমূলের নিজেদের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বও এর পিছনে কারণ বলে জানিয়েছেন তিনি।
তৃণমূলের প্রতি বিরূপ হওয়া প্রকাশ্যে এনেছেন দিলীপ রামের পরিবার ও অনুগামীরাও।তার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের পর তৃণমূলের বিধায়ক থেকে নেতা কাউকে কাছে ঘেঁষতে দেওয়া হয়নি।এমনকি তৃণমূলের পতাকাও দেহে জড়াতে দেয়নি অনুগামীরা।এরপরই দোষীদের শাস্তির দাবিতে দীর্ঘক্ষণ ব্যান্ডেল জিটি রোড মোড় অবরোধ করে।পরে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের ACP1 জসপ্রীত সিং এক সপ্তাহের মধ্যে দোষী দের ধরা আশ্বাস দিলে অবরোধ ওঠে।কাল 24 ঘন্টা অবরোধ থাকবে চুঁচুড়া বিধান সভা এলাকা।
এবিষয়ে অসিত মজুমদার সকাল থেকেই চুঁচুড়া থানার পুলিশের উপর দোষারোপ করে গেছেন।তিনি যে এই ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে আশঙ্কা করেছিলেন। সেটা অনেকবারই পুলিশ কে জানিয়েছিলেন তিনি।তৃণমূলের পতাকা মৃতদেহে জড়ানো নিয়ে বিধায়ক বলেন দিলীপের দুই বোন তাদের ক্ষোভ থেকেই এটা করেছে।দুঃখ জনক পরিস্থিতির জন্য আমরা কিছু বলিনি।আর বন্ধের পক্ষে না হলেও সাধারণ মানুষের ও কর্মীদের কথা মতোই আমরা কাল বন্ধ ডাকটে বাধ্য হয়েছি।Body:WB_HGL_29JUNE BANDEL MURDER UPDATE_7203418Conclusion:

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.