ETV Bharat / state

বঙ্গ ভোটে সিঙ্গুরে জমি দখল করবে কে?

author img

By

Published : Apr 9, 2021, 11:01 PM IST

রাত পোহালেই সিঙ্গুরে ভোটগ্রহণ ৷ ইভিএমবন্দী হবে মানুষের রায় ৷ জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী প্রতিটি শিবির ৷ সিঙ্গুরের রায় শেষ পর্যন্ত কার মুখে হাসি ফোটাবে ?

West Bengal Assembly Election 2021
ছবি

সিঙ্গুর, 9 এপ্রিল : হুগলির লড়াইটা প্রতিটি দলের কাছেই কঠিন ৷ আর এই লড়াইটাকে আরও কঠিন করে তুলেছে সিঙ্গুর ৷

সিঙ্গুর ৷ বাংলার তখতে মমতার এক দশকে নিঃসন্দেহে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল সিঙ্গুর ৷ তৈরি হয়েছিল কৃষি জমি রক্ষা কমিটি ৷ দানা বেধেছিল আন্দোলন । নেতৃত্ব দিয়েছিলেন রাজ্যের তৎকালীন বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । আর সেই সময় তাঁর বিশ্বস্ত সঙ্গী ছিলেন সিঙ্গুরের মাস্টারমশাই রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য ৷ আরও একজন ছিলেন সেইসময় ৷ বেচারাম মান্না ৷ সিঙ্গুরের নাম বাংলার রাজনীতিতে যতবার উঠে এসেছে, ততবার মমতার পাশাপাশি মাস্টারমশাই আর বেচারামের নামও উঠে এসেছে ৷

এগারোর পালাবদলের পর থেকে বিভিন্ন সময়ে সিঙ্গুরের এই দুই নেতার দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছিল ৷ মমতাকে পর্যন্ত হস্তক্ষেপ করতে হয়েছিল দ্বন্দ্ব কমাতে ৷ কিন্তু বোঝাই যেত ক্ষত মেটেনি ৷ মমতা শুধু সাময়িক প্রলেপ লাগাতেন ৷ কিছুদিন যেতে না যেতেই আবার মাস্টারমশাই আর তাঁর শিষ্যের মধ্যে দূরত্ব ৷ সিঙ্গুরের মা-মাটি-মানুষ বিগত এক দশকে এরকমই চড়াই-উতরাইয়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে ৷

উনিশের ভোটে সিঙ্গুরে গুরু-শিষ্যের এই লড়াইয়ের ফায়দা তুলল বিজেপি ৷ লোকসভা ভোটের নিরিখে সিঙ্গুর থেকে প্রায় 11 হাজার ভোটে এগিয়ে ছিল বিজেপি । শিল্পের জিগির তুলে হুগলি থেকে সাংসদ হলেন লকেট চট্টোপাধ্যায় ৷ যে সিঙ্গুরের মাটি মমতাকে মহাকরণের অলিন্দে পৌঁছে দিয়েছিল, সেই সিঙ্গুরই যেন কিছুটা মুখ ফেরিয়ে নিয়েছিল ৷

সিঙ্গুরের রায় শেষ পর্যন্ত কার মুখে হাসি ফোটাবে ?

সিঙ্গুরে তৃণমূলের মুখ মাস্টারমশাই ৷ তিনবারের বিধায়ক ৷ তিনিই এখন জার্সি বদলে বিজেপিতে ৷ বিজেপিও বাজি ধরেছে তাঁর উপর ৷ সিঙ্গুর থেকে প্রার্থী করেছে ৷ আর মাস্টারমশাইয়ের উল্টোদিকে তৃণমূলের বাজি বেচারাম ৷ 2006 সালে কৃষি জমি রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন বেচারাম ৷ অন্যদিকে সিঙ্গুরের নতুন করে শিল্প ও কর্মসংস্থানের বার্তা নিয়ে মহারণে নেমেছেন সংযুক্ত মোর্চার বাম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য ।

আরও পড়ুন : ভোট আসে-যায়, সিঙ্গুর রয়ে যায় সিঙ্গুরেই

রাজনৈতিক দল থেকে অরাজনৈতিক সংগঠন, সকলেরই পাখির চোখ সিঙ্গুর । প্রতিটি দল প্রচারে এসে বলছে সিঙ্গুর জন্য শিল্প ও কর্মসংস্থানের কথা । সিঙ্গুরে শিল্প হওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন মমতাও । দিল্লির কৃষক আন্দোলনের নেতা রাকেশ টিকাইতও সভা করে গিয়েছেন । এসেছিলেন মেধা পাঠকরও ৷

জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী প্রতিটি শিবির ৷ তৃণমূল প্রার্থী বেচারাম মান্না বলেছেন, সিঙ্গুর হচ্ছে কৃষক আন্দোলনের পীঠস্থান ৷ সারা ভারতকে পথ দেখিয়েছে সিঙ্গুর ৷ বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করার মত একমাত্র তৃণমূল কংগ্রেসই আছে বলে মনে করছেন তিনি ৷

সদ্য বিজেপিতে যোগ দিয়ে প্রার্থী হওয়া রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যও সমান আত্মবিশ্বাসী ৷ বলেন, "মানুষের প্রতি আমার আস্থা আছে ৷ তৃণমূলের দুর্নীতির জন্যই আমি তৃণমূল থেকে বিজেপিতে এসেছি ৷ এক্ষেত্রে আমার বয়সটা বয়স কোনও বাধা হতে পারে না ৷ আমি অথর্ব বা অক্ষম হয়ে পড়িনি ৷ বেচারাম দুর্নীতিগ্রস্থ তাই জন্যেই আমার বিজেপিতে যাওয়া ।"

সিঙ্গুর, 9 এপ্রিল : হুগলির লড়াইটা প্রতিটি দলের কাছেই কঠিন ৷ আর এই লড়াইটাকে আরও কঠিন করে তুলেছে সিঙ্গুর ৷

সিঙ্গুর ৷ বাংলার তখতে মমতার এক দশকে নিঃসন্দেহে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল সিঙ্গুর ৷ তৈরি হয়েছিল কৃষি জমি রক্ষা কমিটি ৷ দানা বেধেছিল আন্দোলন । নেতৃত্ব দিয়েছিলেন রাজ্যের তৎকালীন বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । আর সেই সময় তাঁর বিশ্বস্ত সঙ্গী ছিলেন সিঙ্গুরের মাস্টারমশাই রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য ৷ আরও একজন ছিলেন সেইসময় ৷ বেচারাম মান্না ৷ সিঙ্গুরের নাম বাংলার রাজনীতিতে যতবার উঠে এসেছে, ততবার মমতার পাশাপাশি মাস্টারমশাই আর বেচারামের নামও উঠে এসেছে ৷

এগারোর পালাবদলের পর থেকে বিভিন্ন সময়ে সিঙ্গুরের এই দুই নেতার দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছিল ৷ মমতাকে পর্যন্ত হস্তক্ষেপ করতে হয়েছিল দ্বন্দ্ব কমাতে ৷ কিন্তু বোঝাই যেত ক্ষত মেটেনি ৷ মমতা শুধু সাময়িক প্রলেপ লাগাতেন ৷ কিছুদিন যেতে না যেতেই আবার মাস্টারমশাই আর তাঁর শিষ্যের মধ্যে দূরত্ব ৷ সিঙ্গুরের মা-মাটি-মানুষ বিগত এক দশকে এরকমই চড়াই-উতরাইয়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে ৷

উনিশের ভোটে সিঙ্গুরে গুরু-শিষ্যের এই লড়াইয়ের ফায়দা তুলল বিজেপি ৷ লোকসভা ভোটের নিরিখে সিঙ্গুর থেকে প্রায় 11 হাজার ভোটে এগিয়ে ছিল বিজেপি । শিল্পের জিগির তুলে হুগলি থেকে সাংসদ হলেন লকেট চট্টোপাধ্যায় ৷ যে সিঙ্গুরের মাটি মমতাকে মহাকরণের অলিন্দে পৌঁছে দিয়েছিল, সেই সিঙ্গুরই যেন কিছুটা মুখ ফেরিয়ে নিয়েছিল ৷

সিঙ্গুরের রায় শেষ পর্যন্ত কার মুখে হাসি ফোটাবে ?

সিঙ্গুরে তৃণমূলের মুখ মাস্টারমশাই ৷ তিনবারের বিধায়ক ৷ তিনিই এখন জার্সি বদলে বিজেপিতে ৷ বিজেপিও বাজি ধরেছে তাঁর উপর ৷ সিঙ্গুর থেকে প্রার্থী করেছে ৷ আর মাস্টারমশাইয়ের উল্টোদিকে তৃণমূলের বাজি বেচারাম ৷ 2006 সালে কৃষি জমি রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন বেচারাম ৷ অন্যদিকে সিঙ্গুরের নতুন করে শিল্প ও কর্মসংস্থানের বার্তা নিয়ে মহারণে নেমেছেন সংযুক্ত মোর্চার বাম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য ।

আরও পড়ুন : ভোট আসে-যায়, সিঙ্গুর রয়ে যায় সিঙ্গুরেই

রাজনৈতিক দল থেকে অরাজনৈতিক সংগঠন, সকলেরই পাখির চোখ সিঙ্গুর । প্রতিটি দল প্রচারে এসে বলছে সিঙ্গুর জন্য শিল্প ও কর্মসংস্থানের কথা । সিঙ্গুরে শিল্প হওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন মমতাও । দিল্লির কৃষক আন্দোলনের নেতা রাকেশ টিকাইতও সভা করে গিয়েছেন । এসেছিলেন মেধা পাঠকরও ৷

জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী প্রতিটি শিবির ৷ তৃণমূল প্রার্থী বেচারাম মান্না বলেছেন, সিঙ্গুর হচ্ছে কৃষক আন্দোলনের পীঠস্থান ৷ সারা ভারতকে পথ দেখিয়েছে সিঙ্গুর ৷ বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করার মত একমাত্র তৃণমূল কংগ্রেসই আছে বলে মনে করছেন তিনি ৷

সদ্য বিজেপিতে যোগ দিয়ে প্রার্থী হওয়া রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যও সমান আত্মবিশ্বাসী ৷ বলেন, "মানুষের প্রতি আমার আস্থা আছে ৷ তৃণমূলের দুর্নীতির জন্যই আমি তৃণমূল থেকে বিজেপিতে এসেছি ৷ এক্ষেত্রে আমার বয়সটা বয়স কোনও বাধা হতে পারে না ৷ আমি অথর্ব বা অক্ষম হয়ে পড়িনি ৷ বেচারাম দুর্নীতিগ্রস্থ তাই জন্যেই আমার বিজেপিতে যাওয়া ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.