চুঁচুড়া, 16 সেপ্টেম্বর: জন্মদিনের পার্টি করার নামে হোটেলে নিয়ে গিয়ে নাবালিকাকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ৷ চুঁচুড়া থানার পুলিশ পকসো আইনে হোটেল ম্যানেজার-সহ পাঁচ যুবককে গ্রেফতার করেছে। চুঁচুড়া আদালত অভিযুক্তদের পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় ৷
পুলিশ সূত্রে খবর, চুঁচুড়ার কাপাসডাঙা এলাকার এক যুবকের সঙ্গে সেখানের একটি হোটেলে যায়, বছর 14-র এক নাবালিকা। নাবালিকারও বাড়ি একই এলাকায় । স্কুলপড়ুয়ার যুবকটির সঙ্গে আলাপ সোশাল মিডিয়ায়। সেখান থেকেই বন্ধুত্বের সম্পর্ক। বুধবার, সকালের দিকে 13 সেপ্টেম্বর নাবালিকাকে বন্ধুর জন্মদিনের নাম করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় ওই বন্ধু। রাত দশটা বেজে গেলেও বাড়ি না-ফেরায় সন্দেহ হয় নাবালিকার পরিবারের। যুবক ও তার বন্ধুরা অসৎ উদ্দেশ্যে মেয়েকে কোথাও আটকে রেখেছে, এমন সন্দেহ হয় নাবালিকার মায়ের।
চুঁচুড়া থানায় অপহরণের অভিযোগ করে পরিবার। পুলিশ তদন্তে নেমে ওইদিনই চুঁচুড়া বাসস্ট্যান্ডের সামনের একটি নামী হোটেল থেকে নাবালিকাকে উদ্ধার করে। ওই বন্ধু ছাড়া তার আরও তিন বন্ধুকে আটক করে পুলিশ। তদন্তে নেমে পুলিশ চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। এরপরই তাদের গ্রেফতার করা হয় ৷ শুক্রবার ধৃতদের চুঁচুড়া আদালতে পেশ করার পর পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। নাবালিকার গোপন জবানবন্দির ভিত্তিতে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ ওঠে যুবকদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার রাতে হোটেলের ম্যানেজারকে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷
ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ নিশ্চিত হয় অভিযোগ সত্য। এরপরই হোটেল ম্যানেজারকে জেরা শুরু করে। শনিবার হোটেল ম্যানেজারকে আদালতে তোলা হলে তাকেও পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতে নির্দেশ দেওয়া হয় ৷ ম্যানেজারের দাবি, 13 সেপ্টেম্বর রাতে হোটেলের ঘর ভাড়া নিয়েছিল।নাবালিকা মেয়েটির ভুয়ো পরিচয় পত্র দিয়েছিল আমাকে। পরে পুলিশ বলে সে নাবালিকা। দু'জন মেয়ে ও চার যুবক ছিল একই সঙ্গে। জন্মদিন পার্টি বলে ছয়টি পরিচয় পত্র দেখিয়েছিল।
সরকারি আইনজীবী, শঙ্কর গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, "চারজন যুবক যৌন নির্যাতন করে। পকসো আইনে মামলা রুজু হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করে ম্যানেজার-সহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে।"
আরও পড়ুন: চোরাপথে ভারতে প্রবেশের পর গণধর্ষণের শিকার বাংলাদেশি নাবালিকা ! গ্রেফতার চার