আরামবাগ, 2 অক্টোবর : ডিভিসি এখনও ২ লক্ষ কিউসেক জল ধরে রাখতে পারে যদি গভীরতা বাড়ায়। আমাদের বন্ধু রাজ্য ঝাড়খণ্ডকেও অনুরোধ করব তারা বাঁধগুলো যেন সংস্কার করে ৷ না-হলে এমন দিন আসবে যখন ডিভিসির কাছে ক্ষতিপূরণ চাইতে হবে ৷ বছরে চারবার করে জল এলে কী করা যাবে । সব টাকা জলেই চলে যাচ্ছে ৷ মানুষ কী করবে, ঘর সারাচ্ছে আবার ভাঙছে ৷ চাষের জমিতে চাষ করছে আর জলে ডুবে যাচ্ছে ৷ শনিবার রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে এই মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷
রবিবার আকাশপথে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বন্যা-কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ আরামবাগের কালীপুরের হোরপুরে জলে নেমে দূর থেকেই বন্যা দুর্গতদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের আশ্বস্ত করার পাশাপাশি মমতা অভিযোগ করেন, রাজ্য সরকারকে না-জানিয়েই জল ছেড়েছে ডিভিসি। মাইথন ও পাঞ্চেত জলাধার থেকেও জল ছাড়া হয়েছে। রাজ্যকে না-জানিয়ে গত 30 সেপ্টেম্বর বেলা 12টায় মাইথন এবং পাঞ্চেত জলাধার থেকে 49,000 কিউসেক জল ছাড়া হয়েছিল বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন : মাইথন-পাঞ্চেত থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ কমাল ডিভিসি
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "আমি ঝাড়খণ্ড সরকারকে বলব, আমাদের সঙ্গে বসে একটা পরিকল্পনা করতে।" এর পাশাপাশি কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে মমতা বলেন, "কেন্দ্র সরকার মাস্টার প্ল্যান করুক আর টাকা দিক। রাজ্যের টাকা খরচ হবে কেন? ক্ষোভ কিন্তু বাড়ছে। আমি চাই না এমনটা হোক ৷ সব রাজ্য মিলেমিশে থাকতে চাই। আমি বলব ঝাড়খণ্ডকে কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলতে এবং প্রয়োজনে ডিভিসি-র সঙ্গেও কথা বলতে হবে। আমরাও কথা বলব। তোমার যখন জল কম থাকবে তখন অল্প করে জল ছাড় ৷ তা না-করে একবারে অনেক জল ছেড়ে দিলে আর সলিল সমাধি করে দিলে ৷ রাত তিনটের সময় সবাই ঘুমন্ত অবস্থায় জলে ভেসে যাবে। এটা খুব বড় ক্রাইম ৷ আমরা এর প্রতিবাদ জানিয়ে চিঠি লিখব ৷ ফিরে গিয়ে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে মিটিং করব।" পাশাপাশি পুজোতে সবাই ব্যাস্ত থাকলেও উৎসবের মধ্যে বন্যাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।