চন্দননগর, 19 অগস্ট: চার বছরের শিশুকে ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করল চন্দননগর আদালত। চারবছর আগে খেলা করার সময় এক ব্যক্তি ওই বাচ্চাটিকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ ওঠে। শনিবার চন্দননগর মহকুমা আদালতের বিচারক অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করেন।
2019 সালের 12 নভেম্বর বিকাল সাড়ে চারটে নাগাদ চন্দননগর এলাকায় চার বছরের শিশুটি খেলতে বেরোয় ৷ দীর্ঘক্ষণ বাড়ি না-ফেরার খোঁজাখুঁজি শুরু করে তার পরিবার। সেই সময় তাকে খুঁজে না-পেলেও সন্ধ্যার সময় ফিরে আসে মেয়েটি। তাকে সিক্ত দেখে সন্দেহ হয় পরিবারের। এরপরই জানতে পারে এলাকারই 48 বছর বয়সি ওই ব্যক্তি তাদের মেয়েকে ধর্ষণ করে। প্রমাণ লোপাটের জন্য তার গায়ে জল ঢেলে দেয় ওই ব্যক্তি। সেই দিনই ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে চন্দননগর থানায় লিখিত অভিযোগ করে পরিবার।
পুলিশ ধর্ষণ ও পকসো আইনে মামলা রুজু করে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। চার্জশিট জমা দেওয়ার পর মামলার ট্রায়াল শুরু হয়। প্রায় চার বছর পরে শুক্রবার চন্দননগর আদালতের অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক অভিযুক্ত দোষী সাব্যস্ত করেন। আজ বিচারক 376 AB এবং 4 পকসো আইনে যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করেন। এই মামলায় সরকারি আইনজীবী গোপাল পাত্র ও স্পেশাল পিপি হিসাবে অন্নপূর্ণা চক্রবর্তী নাবালিকার হয়ে এই মামলা লড়েছেন।
আইনজীবী অন্নপূর্ণা চক্রবর্তী বলেন, "আজ চন্দননগর আদালতে একটি ধর্ষণের মামলা হয়। যার কেস নম্বর চন্দননগর থানার 189/19। 2019 সালে চন্দননগরে চার বছরের একটি মেয়েকে তার প্রতিবেশী দোষী বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। ওনার বাড়িতে কেউ না-থাকার সুযোগে নাবালিকার সঙ্গে শারীরিক নির্যাতন করে। তথ্য লোপাটের জন্য মেয়েটিকে স্নান করিয়ে দেওয়া হয়। নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে দু'টি ধারায় মামলা হয়। প্রথমটি 376 AB 10 বছর জেল ও 10 হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিনমাস জেল। দ্বিতীয়টি, 4 পকসো ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও 50 হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে 6 মাসের জেল হবে। সমস্তরকম সাক্ষী ও প্রমাণের ভিত্তিতে বিচারক আজ সাজা ঘোষণা করেন।"
আরও পড়ুন: নাবালিকাকে ধর্ষণের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত বাবা, 35 বছরের কারাদণ্ডের সাজা শোনাল আদালত