হুগলি, 10 জুলাই : ABVP ও TMCP-র কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে জখম দুইপক্ষের 32 জন । হুগলির ধনিয়াখালি শরৎ সেন্টিনারি কলেজের ঘটনা । TMCP-র অভিযোগ, কোনও কারণ ছাড়াই ABVP-র ছাত্ররা তাদের উপর হামলা চালায় । অন্যদিকে TMCP-র ছেলেদের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের উত্যক্ত করা ও পালটা মারধরের অভিযোগ এনেছে ABVP । খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ধনিয়াখালি থানার পুলিশ ।
TMCP-র তরফে কলেজ ছাত্র শেখ শাকিব আহমেদ বলে, "কলেজে দ্বিতীয় বর্ষের ফর্ম ফিল আপ চলছিল । সেই সময় হঠাৎ ABVP-র কয়েকজন ছেলে আমাদের উপর চড়াও হয় । তাদের হাতে উইকেট ছিল। অধ্যক্ষকে বলা হয় আমাদের ফর্ম ফিল আপটা করিয়ে দিন আমরা বাইরে বেরিয়ে যাব । অধ্যক্ষ বলেন, কেউ তো এখনও মার খাওনি । কেউ কাউকে মারবে না । এই বলে তিনি বেরিয়ে যান । এরপরই ABVP-র ছেলেরা আমাদের মারধর করে । ছাত্রীদের গালিগালাজ করে । "
অন্যদিকে ABVP কর্মী তথা কলেজ ছাত্র সুদীপ্ত মৈত্র বলেন, "TMCP-র ছেলেরা এল, অফিসে ঢুকল । অফিসে প্রায় এক থেকে দেড় ঘণ্টা ওরা কথা বলছিল । আমরা বলতে গেলে বলল দরকার আছে । ABVP-র ছাত্রীদের ওরা উত্যক্ত করছিল । আমরা প্রতিবাদ করতে গেলে ওরা পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় আমাদের মারধর করেছে । আমরা কারও গায়ে হাত দিইনি । কিচ্ছু করিনি । পুলিশ প্রশাসন ওদের হয়ে কাজ করছে । "
ঘটনায় আহত এক ছাত্রী অভিযোগ করে, সে রাজনীতি করে না । কলেজে ফর্ম ফিল আপ করতে গিয়েছিল । ABVP-র এক ছাত্র তাকে টেবিলে মাথা ঠুকে দিয়েছে । সেই সঙ্গে ধর্ষণের হুমকিও দিয়েছে ।
খবর পেয়ে হাসপাতালে যান মন্ত্রী তথা ধনিয়াখালির বিধায়ক অসীমা পাত্র । তিনি বলেন, "দ্বিতীয় বর্ষে ভরতির ফর্ম ফিল আপ চলছিল । যারা ভরতি হতে গিয়েছিল তাদের উপর কয়েকজন দুষ্কৃতী অতর্কিতে হামলা চালায় । ঘটনায় মোট 32 জন জখম হয়েছেন। অধ্যক্ষের ঘরের CCTV ক্যামেরা বন্ধ করে দিয়ে যারা ভরতি হতে গিয়েছিল তাদের উপর হামলা চালানো হয় । প্রশাসনকে বলা হয়েছে যারা হামলা চালিয়েছে তাদের চিহ্নিত করতে । প্রশাসন বিষয়টা দেখছে । "
অন্যদিকে, স্থানীয় BJP নেতা স্বপন সাঁতরা অভিযোগ করেন, "পরিকল্পনা করে আমাদের ছাত্র সংগঠনের উপর হামলা চালায় TMCP-র ছাত্ররা । এতে আমাদের 8 ছাত্র জখম হয়েছে । কয়েকজনের বাইক ভাঙচুর করা হয়েছে । পুলিশ বিনা অপরাধে আমাদের কয়েকজন ছাত্রকে আটক করেছে । সবই হয়েছে অসীমা পাত্রের নির্দেশে । আমরা এর প্রতিবাদে ধনেখালি থানা ঘেরাও করে অবস্থান করব ।"
আহতরা ধনেখালি গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন । আহতদের মধ্যে দুই ছাত্র ও এক ছাত্রীকে পরে SSKM হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে ।