ETV Bharat / state

মানসিক ভারসাম্যহীনদের নিয়ে আজও ক্ষ্যাপা কালীর শরণাপন্ন হন ভক্তরা - Arambag

প্রতিবছর নিষ্ঠার সঙ্গে পূজিত হন মা । তবে, এই পুজোয় রয়েছে বেশ কিছু বিশেষত্ব । মায়ের প্রিয় নহবৎ বা সানাই বাজানো হয় পুজোয় ।

arambagh
ক্ষ্যাপা কালী
author img

By

Published : Nov 5, 2020, 10:09 PM IST

আরামবাগ, 5 নভেম্বর : হুগলির আরামবাগের তিরোলের ক্ষ্যাপা কালী । আজ থেকে প্রায় পাঁচশো বছর আগে এলাকার চক্রবর্তী জমিদার বাড়িতে সিদ্ধেশ্বরী মায়ের পুজোর প্রচলন শুরু হয় । পুজো শুরু করেন চক্রবর্তী জমিদার বাড়ির পূর্বপুরুষেরা । পরে এই সিদ্ধেশ্বরী মা ক্ষ্যাপা কালী নামে লোকমুখে প্রচলিত হন ।

বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছোটো গল্প "তিরোলের বালা"-তে উল্লেখ রয়েছে এই ক্ষ্যাপা কালীর । কথিত আছে, মা সারদার বউদি এক সময় মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন । তখন মা সারদা ক্ষ্যাপা কালী মা-এর শরণাপন্ন হন । মায়ের আশীর্বাদে মানসিক ভারসাম্য ফিরে পান তিনি । এখানেই শেষ নয় । এই ঘটনার ঠিক পরেই মানসিক ভারসাম্য হারান মা সারদার এক ভাইঝি । আবারও তিনি ক্ষ্যাপা কালী মা-য়ের শরণাপন্ন হন । কথিত আছে, সেক্ষেত্রেও তিনি তাঁর ভারসাম্য ফিরে পান । এরপর থেকেই মা ক্ষ্যাপা কালী রূপেই পূজিত হয়ে আসছেন । আজও রাজ্যের নানান প্রান্ত থেকে মানসিক ভারসাম্যহীনদের নিয়ে ক্ষ্যাপা কালী মায়ের দ্বারস্থ হন ভক্তরা । তাঁদের বিশ্বাস, মায়ের আশীর্বাদে মানসিক ভারসাম্য ফিরে পাবেন তাঁরা ।

প্রতিবছর নিষ্ঠার সঙ্গে পূজিত হন মা । দীপাবলিতে মায়ের পুজো করা হয় । তবে, এই পুজোতে রয়েছে বেশ কিছু বিশেষত্ব । মায়ের প্রিয় নহবৎ বা সানাই বাজানো হয় পুজোয় । বংশানুক্রমে একই পরিবারের লোকেরা প্রতিবছর নহবৎ বাজান পুজোয় । কোনও আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয় না তাঁদের । নিজেদের উদ্যোগেই প্রতিবছর পুজোর আগে চলে আসেন তাঁরা । পুজোর কয়েকদিন নহবৎ বাজান । পারিবারিক রীতি মেনে বছরের পর বছর মায়ের পুজোয় নহবৎ বাজাচ্ছেন তাঁরা । এছাড়াও এই পুজোয় রয়েছে আরও একটি বৈশিষ্ট্য । প্রতিবছর পুজোর সময় পরিবর্তন করা হয় মায়ের মাথার মুকুট । প্রতিবছরই এই মুকুট আসে ধনিয়াখালির বিশ্বাস বাড়ি থেকে । বিশ্বাস বাড়ির দুর্গা প্রতিমার মুকুট শোভা পায় ক্ষ্যাপা কালীর মাথায় । কথিত আছে, দুই পরিবারের কেউ এক স্বপ্নে এই আদেশ পান । এরপর থেকেই বংশানুক্রমে তাঁরা এই রীতি মেনে আসছেন । প্রতি মঙ্গলবার পশু বলি দেওয়ার রীতি চালু রয়েছে । আজও সেই রীতি পালন করা হয় । দীপাবলির দিনে প্রচুর পশু বলি হয় এখানে । ভক্তদের মধ্যে তা প্রসাদ হিসেবে বিলি করা হয় ।

ভিডিয়োয় দেখুন ক্ষ্যাপা কালী মায়ের স্থান

এবিষয়ে চক্রবর্তী পরিবারের সদস্য নির্মাল্য চক্রবর্তী বলেন, "জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সকলেই এই পুজোয় অংশ নেন । আজও মানসিক ভারসাম্যহীনদের এখানে নিয়ে আসা হয় । মায়ের প্রতি বিশ্বাস থেকেই এখানে হাজির হন অনেকে । কালীপুজোর বিশেষ দিনে রাজ্যের নানান প্রান্ত থেকে তো বটেই, দেশ বিদেশ থেকেও লোকে পুজো দিতে আসেন এখানে । "

আরামবাগ, 5 নভেম্বর : হুগলির আরামবাগের তিরোলের ক্ষ্যাপা কালী । আজ থেকে প্রায় পাঁচশো বছর আগে এলাকার চক্রবর্তী জমিদার বাড়িতে সিদ্ধেশ্বরী মায়ের পুজোর প্রচলন শুরু হয় । পুজো শুরু করেন চক্রবর্তী জমিদার বাড়ির পূর্বপুরুষেরা । পরে এই সিদ্ধেশ্বরী মা ক্ষ্যাপা কালী নামে লোকমুখে প্রচলিত হন ।

বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছোটো গল্প "তিরোলের বালা"-তে উল্লেখ রয়েছে এই ক্ষ্যাপা কালীর । কথিত আছে, মা সারদার বউদি এক সময় মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন । তখন মা সারদা ক্ষ্যাপা কালী মা-এর শরণাপন্ন হন । মায়ের আশীর্বাদে মানসিক ভারসাম্য ফিরে পান তিনি । এখানেই শেষ নয় । এই ঘটনার ঠিক পরেই মানসিক ভারসাম্য হারান মা সারদার এক ভাইঝি । আবারও তিনি ক্ষ্যাপা কালী মা-য়ের শরণাপন্ন হন । কথিত আছে, সেক্ষেত্রেও তিনি তাঁর ভারসাম্য ফিরে পান । এরপর থেকেই মা ক্ষ্যাপা কালী রূপেই পূজিত হয়ে আসছেন । আজও রাজ্যের নানান প্রান্ত থেকে মানসিক ভারসাম্যহীনদের নিয়ে ক্ষ্যাপা কালী মায়ের দ্বারস্থ হন ভক্তরা । তাঁদের বিশ্বাস, মায়ের আশীর্বাদে মানসিক ভারসাম্য ফিরে পাবেন তাঁরা ।

প্রতিবছর নিষ্ঠার সঙ্গে পূজিত হন মা । দীপাবলিতে মায়ের পুজো করা হয় । তবে, এই পুজোতে রয়েছে বেশ কিছু বিশেষত্ব । মায়ের প্রিয় নহবৎ বা সানাই বাজানো হয় পুজোয় । বংশানুক্রমে একই পরিবারের লোকেরা প্রতিবছর নহবৎ বাজান পুজোয় । কোনও আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয় না তাঁদের । নিজেদের উদ্যোগেই প্রতিবছর পুজোর আগে চলে আসেন তাঁরা । পুজোর কয়েকদিন নহবৎ বাজান । পারিবারিক রীতি মেনে বছরের পর বছর মায়ের পুজোয় নহবৎ বাজাচ্ছেন তাঁরা । এছাড়াও এই পুজোয় রয়েছে আরও একটি বৈশিষ্ট্য । প্রতিবছর পুজোর সময় পরিবর্তন করা হয় মায়ের মাথার মুকুট । প্রতিবছরই এই মুকুট আসে ধনিয়াখালির বিশ্বাস বাড়ি থেকে । বিশ্বাস বাড়ির দুর্গা প্রতিমার মুকুট শোভা পায় ক্ষ্যাপা কালীর মাথায় । কথিত আছে, দুই পরিবারের কেউ এক স্বপ্নে এই আদেশ পান । এরপর থেকেই বংশানুক্রমে তাঁরা এই রীতি মেনে আসছেন । প্রতি মঙ্গলবার পশু বলি দেওয়ার রীতি চালু রয়েছে । আজও সেই রীতি পালন করা হয় । দীপাবলির দিনে প্রচুর পশু বলি হয় এখানে । ভক্তদের মধ্যে তা প্রসাদ হিসেবে বিলি করা হয় ।

ভিডিয়োয় দেখুন ক্ষ্যাপা কালী মায়ের স্থান

এবিষয়ে চক্রবর্তী পরিবারের সদস্য নির্মাল্য চক্রবর্তী বলেন, "জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সকলেই এই পুজোয় অংশ নেন । আজও মানসিক ভারসাম্যহীনদের এখানে নিয়ে আসা হয় । মায়ের প্রতি বিশ্বাস থেকেই এখানে হাজির হন অনেকে । কালীপুজোর বিশেষ দিনে রাজ্যের নানান প্রান্ত থেকে তো বটেই, দেশ বিদেশ থেকেও লোকে পুজো দিতে আসেন এখানে । "

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.