ETV Bharat / state

সুপ্রিম নির্দেশিকায় পূজার আগেই নিয়োগ মামলাকারী PTTI প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের, আশায় চাকরিপ্রার্থীরা

2006 সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর 2009 সালে পরীক্ষা হয় । এক বছরের প্রশিক্ষণ প্রাপ্তদের সার্টিফিকেটের বৈধতা নেই জানিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের ওই প্রশিক্ষণের জন্য বরাদ্দ 22 নম্বর দেয়নি রাজ্য সরকার ৷ 2010 সালে হাইকোর্টে মামলা করেন পরীক্ষার্থীরা ৷ সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে মামলাকারী PTTI প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের পুজোর আগেই প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিযোগ করতে হবে ৷

Supreme Court
author img

By

Published : Sep 1, 2019, 1:05 PM IST

Updated : Sep 1, 2019, 4:57 PM IST

শিলিগুড়ি, 1 সেপ্টেম্বর : মামলাকারী PTTI প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের পুজোর আগেই প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিযোগ করতে পারে সরকার । নিয়োগের সময়সীমা ঠিক করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট৷ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর আবেদনকারী প্রাথমিক শিক্ষকদের নথিপত্র নিয়ে প্রত্যেক জেলায় প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের অফিসে তালিকা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে । 6 সেপ্টেম্বরের মধ্যে তা রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট ।

2006 সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর 2009 সালে পরীক্ষা হয় । কিছু চাকরিপ্রার্থীর এক বছরের প্রশিক্ষণ ছিল ৷ তাঁদের প্রশিক্ষণের সার্টিফিকেট বৈধ নয় জানিয়ে নিয়োগ পরীক্ষায় তাঁদের জন্য বরাদ্দ 22 নম্বর দেয়নি রাজ্য সরকার ৷ 2010 সালে হাইকোর্টে এনিয়ে মামলা করেন চাকরিপ্রার্থীরা ৷ সরকারের সিদ্ধান্তের অনুকূলে রায় দেন হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দার । এরপর ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেন চাকরিপ্রার্থীরা । ডিভিশন বেঞ্চের রায় চাকরিপ্রার্থীদের অনুকূলে গেলে 2012 সালে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য সরকার । পরে 2015-তে রাজ্য সরকার সেই মামলা তুলে নেয় ।

কিন্তু তারপরেও চাকরি পাননি মামলাকারীরা ৷ তাই তারা ফের মামলা করেন হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাকের এজলাসে । হাইকোর্ট রাজ্যকে নির্দেশ দেয় আবেদনকারীদের প্রাপ্য 22 নম্বর দিতে হবে । রাজ্য সরকার তখন হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে যায় ৷ 2016 সালে দেবাংশু বসাকের নির্দেশ খারিজ করে ডিভিশন বেঞ্চ । তখন সুপ্রিম কোর্টে যান চাকরিপ্রার্থীরা । সুপ্রিমকোর্টের রায় চাকরিপ্রার্থীদের পক্ষে যায় । এরপরেও নিয়োগ না হওয়ায় সুপ্রিম কোর্টে অভিযোগ জানান চাকরিপ্রার্থীরা । সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট জানায় 30 সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাঁদের চাকরিতে নিয়োগ করতে হবে । শূন্যপদ না থাকলে প্রয়োজনে পদ তৈরি করে নিয়োগ সম্পন্ন করতে হবে ।

অন্যান্য জেলার পাশাপাশি দার্জিলিং জেলার শিলিগুড়িতেও তালিকা তৈরির কাজ চলছে । এজন্য শনিবার ছুটির দিন হলেও সংসদের অফিস খোলা ছিল ৷ সেখানে আবেদনকারীর সংখ্যা ও নথি যাচাই এর কাজ হয়েছে । চূড়ান্ত তালিকা 6 সেপ্টেম্বরের মধ্যে স্কুল শিক্ষা দপ্তরে পাঠানো হবে ।

শিলিগুড়ি, 1 সেপ্টেম্বর : মামলাকারী PTTI প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের পুজোর আগেই প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিযোগ করতে পারে সরকার । নিয়োগের সময়সীমা ঠিক করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট৷ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর আবেদনকারী প্রাথমিক শিক্ষকদের নথিপত্র নিয়ে প্রত্যেক জেলায় প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের অফিসে তালিকা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে । 6 সেপ্টেম্বরের মধ্যে তা রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট ।

2006 সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর 2009 সালে পরীক্ষা হয় । কিছু চাকরিপ্রার্থীর এক বছরের প্রশিক্ষণ ছিল ৷ তাঁদের প্রশিক্ষণের সার্টিফিকেট বৈধ নয় জানিয়ে নিয়োগ পরীক্ষায় তাঁদের জন্য বরাদ্দ 22 নম্বর দেয়নি রাজ্য সরকার ৷ 2010 সালে হাইকোর্টে এনিয়ে মামলা করেন চাকরিপ্রার্থীরা ৷ সরকারের সিদ্ধান্তের অনুকূলে রায় দেন হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দার । এরপর ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেন চাকরিপ্রার্থীরা । ডিভিশন বেঞ্চের রায় চাকরিপ্রার্থীদের অনুকূলে গেলে 2012 সালে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য সরকার । পরে 2015-তে রাজ্য সরকার সেই মামলা তুলে নেয় ।

কিন্তু তারপরেও চাকরি পাননি মামলাকারীরা ৷ তাই তারা ফের মামলা করেন হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাকের এজলাসে । হাইকোর্ট রাজ্যকে নির্দেশ দেয় আবেদনকারীদের প্রাপ্য 22 নম্বর দিতে হবে । রাজ্য সরকার তখন হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে যায় ৷ 2016 সালে দেবাংশু বসাকের নির্দেশ খারিজ করে ডিভিশন বেঞ্চ । তখন সুপ্রিম কোর্টে যান চাকরিপ্রার্থীরা । সুপ্রিমকোর্টের রায় চাকরিপ্রার্থীদের পক্ষে যায় । এরপরেও নিয়োগ না হওয়ায় সুপ্রিম কোর্টে অভিযোগ জানান চাকরিপ্রার্থীরা । সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট জানায় 30 সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাঁদের চাকরিতে নিয়োগ করতে হবে । শূন্যপদ না থাকলে প্রয়োজনে পদ তৈরি করে নিয়োগ সম্পন্ন করতে হবে ।

অন্যান্য জেলার পাশাপাশি দার্জিলিং জেলার শিলিগুড়িতেও তালিকা তৈরির কাজ চলছে । এজন্য শনিবার ছুটির দিন হলেও সংসদের অফিস খোলা ছিল ৷ সেখানে আবেদনকারীর সংখ্যা ও নথি যাচাই এর কাজ হয়েছে । চূড়ান্ত তালিকা 6 সেপ্টেম্বরের মধ্যে স্কুল শিক্ষা দপ্তরে পাঠানো হবে ।

Intro:সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর প্রাথমিকে মামলাকারী ptti প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের পূজার আগেই প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিযোগ করতে পারে সরকার।
এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের তরফে সময়সীমকে বেঁধে দেওয়ার পর এবার মামলাকরীদের নথিপত্র নিয়ে জেলায় জেলায় প্রতিটি প্রাথমিক শিক্ষা সংসদে তালিকা তৈরির কাজ শুরুও হয়েছে। আগামী 6 সেপ্টেম্বরের মধ্যে তা রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরে পাঠাতে বলা হয়েছে।


Body:2006 সালে প্রাথমিক নিয়োগের বিঞ্জপ্তি প্রকাশের পর 2009 সালে সেই পরীক্ষা হয়। সেই সময়ে কিছু পরীক্ষার্থীর এক বছরের প্রশিক্ষণ ছিল। এক বছরের প্রশিক্ষন প্রাপ্তদের সার্টিফিকেটের বৈধতা নেই জানিয়ে ওই প্রশিক্ষণের জন্য ধার্য 22 নম্বর চাকরিপ্রার্থী দের প্রদান করতে অস্বীকার করে রাজ্য। 2010 সালে এ নিয়ে চাকরিপ্রার্থী দের তরফে হাইকোর্টে মামলা হলে সরকারের সিদ্ধান্তের অনুকূলে রায় দেন হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দার। এরপর ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেন চাকরিপ্রার্থীরা। ডিভিশন বেঞ্চে জয় চাকরিপ্রার্থী দের অনুকূলে গেলে 2012 সালে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য সরকার। কিন্তু 2015 তে রাজ্য সরকার সেই মামলা তুলেও নেয়।
এদিকে চাকরি না পেয়ে প্রার্থীরা ফের মামলা করেন হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসকের এজলাসে। তিনিও রাজ্যকে নির্দেশ দেন আবেদনকারীদের প্রাপ্য 22 নম্বর দিতে হবে। রাজ্য ফের হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে গেলে 2016 সালে দেবাংশু বসাকের নির্দেশ খারিজ করে ডিভিশন বেঞ্চ। এরপর ফের সুপ্রিম কোর্টে যান চাকরিপ্রার্থীরা। সেখানে জয় পান চাকরিপ্রার্থীরাই। তবে তারপরেই নিয়োগ না হওয়ায় সুপ্রিম কোর্টে অভিযোগ করেন চাকরিপ্রার্থীরা। এরপরে ক্ষুব্ধ সুপ্রিম কোর্ট জানায় 30 সেপ্টেম্বরের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। শূন্যপদ না থাকলে প্রয়োজনে পদ তৈরি করে নিয়োগ সম্পন্ন করতে হবে।

সেই সময়সীমা শেষ হওয়ার আগে এবার জেলায় জেলায় ততপরতা শুরু হয়েছে স্কুল শিক্ষা দপ্তরে। শিলিগুড়িতে শনিবার ছুটির দিন হলেও আজ দপ্তর খোলা রেখে মামলাকারী আবেদনকারীর সংখ্যা ও নথি যাচাই এর কাজ চলেছে। জানা গিয়েছে যাবতীয় তালিকা চুড়ান্ত করে 6 সেপ্টেম্বরের মধ্যে তা স্কুল শিক্ষা দপ্তরে পাঠানো হবে।



Conclusion:এ নিয়ে অবশ্য মুখে কুলুপ এঁটেছেন শিক্ষা সংসদের কর্তারা। শিলিগুড়িতে জেলা স্কুল পরিদর্শক বালিকা গোলে বলেন তালিকা তৈরি হচ্ছে এটা ঠিকই। কিন্তু এ নিয়ে আর কিছু বলতে পারব না। উর্ধ্বতন কর্তাদের সাথে যোগাযোগ করুন।
মামলাকরীদের তরফে নাম না প্রকাশের শর্তে এক চাকরিপ্রার্থী বলেন মূল মামলাটি করেছিলেন আমিন খাতুন। আমরা পরে যুক্ত হই। এ নিয়ে বহু টালবাহানা হয়েছে। তবে আগামী সোমবার আমাদের প্রাথমিক শিক্ষা সংসদে আমাদের সকলকে ডাকা হয়েছে। নথিপত্র জমা দিতে বলা হয়েছে। আমরা আশাবাদী এবার সেপ্টেম্বরের মধ্যেই আমাদের নিয়োগ করতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মানবে রাজ্য।

এ নিয়ে স্কুল শিক্ষা দপ্তরের কমিশনার সৌমিত্র মোহন জানান নীতিগত বিষয়ে আমি মন্তব্য করব না। নিয়োগ পূজার আগেই হবে কিনা তা সচিবের কাছে জেনে নিন। দপ্তরের সচিব মনীশ জৈনকে বারবার ফোন করা হলেও তিনি অবশ্য ফোন ধরেন নি। উত্তর দেন নি টেক্সট ম্যাসেজেরও।

Last Updated : Sep 1, 2019, 4:57 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.