শিলিগুড়ি, 1 সেপ্টেম্বর : মামলাকারী PTTI প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের পুজোর আগেই প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিযোগ করতে পারে সরকার । নিয়োগের সময়সীমা ঠিক করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট৷ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর আবেদনকারী প্রাথমিক শিক্ষকদের নথিপত্র নিয়ে প্রত্যেক জেলায় প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের অফিসে তালিকা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে । 6 সেপ্টেম্বরের মধ্যে তা রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট ।
2006 সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর 2009 সালে পরীক্ষা হয় । কিছু চাকরিপ্রার্থীর এক বছরের প্রশিক্ষণ ছিল ৷ তাঁদের প্রশিক্ষণের সার্টিফিকেট বৈধ নয় জানিয়ে নিয়োগ পরীক্ষায় তাঁদের জন্য বরাদ্দ 22 নম্বর দেয়নি রাজ্য সরকার ৷ 2010 সালে হাইকোর্টে এনিয়ে মামলা করেন চাকরিপ্রার্থীরা ৷ সরকারের সিদ্ধান্তের অনুকূলে রায় দেন হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দার । এরপর ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেন চাকরিপ্রার্থীরা । ডিভিশন বেঞ্চের রায় চাকরিপ্রার্থীদের অনুকূলে গেলে 2012 সালে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য সরকার । পরে 2015-তে রাজ্য সরকার সেই মামলা তুলে নেয় ।
কিন্তু তারপরেও চাকরি পাননি মামলাকারীরা ৷ তাই তারা ফের মামলা করেন হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাকের এজলাসে । হাইকোর্ট রাজ্যকে নির্দেশ দেয় আবেদনকারীদের প্রাপ্য 22 নম্বর দিতে হবে । রাজ্য সরকার তখন হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে যায় ৷ 2016 সালে দেবাংশু বসাকের নির্দেশ খারিজ করে ডিভিশন বেঞ্চ । তখন সুপ্রিম কোর্টে যান চাকরিপ্রার্থীরা । সুপ্রিমকোর্টের রায় চাকরিপ্রার্থীদের পক্ষে যায় । এরপরেও নিয়োগ না হওয়ায় সুপ্রিম কোর্টে অভিযোগ জানান চাকরিপ্রার্থীরা । সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট জানায় 30 সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাঁদের চাকরিতে নিয়োগ করতে হবে । শূন্যপদ না থাকলে প্রয়োজনে পদ তৈরি করে নিয়োগ সম্পন্ন করতে হবে ।
অন্যান্য জেলার পাশাপাশি দার্জিলিং জেলার শিলিগুড়িতেও তালিকা তৈরির কাজ চলছে । এজন্য শনিবার ছুটির দিন হলেও সংসদের অফিস খোলা ছিল ৷ সেখানে আবেদনকারীর সংখ্যা ও নথি যাচাই এর কাজ হয়েছে । চূড়ান্ত তালিকা 6 সেপ্টেম্বরের মধ্যে স্কুল শিক্ষা দপ্তরে পাঠানো হবে ।