শিলিগুড়ি, 3 জুলাই: মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক পালাবদলের প্রেক্ষাপটে বাংলার ছবি দেখছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ৷ তাঁর দাবি, এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার তাঁর কন্যা সুপ্রিয়া সুলেকে রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছেন ৷ আর বাংলায় ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে সেই একই চেষ্টা চালাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার সোমবার সকালে ট্রেনে কলকাতা থেকে শিলিগুড়ির নিউ জলপাইগুড়ি রেলস্টেশনে পৌঁছন । সেখান থেকে নির্বাচনী প্রচারের জন্য সড়কপথে কোচবিহারের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি । এ দিন নিউ জলপাইগুড়ি রেল স্টেশনে তাঁকে স্বাগত জানান দলীয় নেতা কর্মী ও সমর্থকেরা । সেখানেই সুকান্ত মহারাষ্ট্রের রাজনীতির সঙ্গে বাংলার তুলনা টেনে বলেন, "মহারাষ্ট্র আর পশ্চিমবঙ্গের ছবিটা একই । শরদ পাওয়ার নিজের মেয়েকে আর মুখ্যমন্ত্রী নিজের ভাইপোকে রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছেন ।"
রবিবারই দু'ডজনেরও বেশি বিধায়ককে নিয়ে শিবসেনা-বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন শরদ পাওয়ারের ভাইপো তথা বিদ্রোহী এনসিপি বিধায়ক অজিত পাওয়ার । শিণ্ডের সরকারে উপমুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন তিনি ৷ জোট শরিক নেতা শরদ পাওয়ারের ভাইপোর এই সিদ্ধান্তে ব্যথিত এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । এই নিয়ে তিনি শরদ পাওয়ারকে ফোনও করেন ।
এনজেপি রেল স্টেশনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ওই বিষয়েই প্রথম তৃণমূল নেত্রীকে আক্রমণ শানান সুকান্ত মজুমদার । তিনি বলেন, "এ রাজ্যেও ছবিটা এক । শরদ পাওয়ার নিজের মেয়েকে আর মুখ্যমন্ত্রী নিজের ভাইপোকে রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছেন । সে জন্য দলে অনেকেই রেগে আছেন, অনেকে বিক্ষুব্ধ । পঞ্চায়েত নির্বাচন ঠিকঠাক শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হলে তৃণমূল ভোটে হারবে আর সবাই দল ছাড়বে । এই দলটাই আর থাকবে না । ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যাবে ।"
আরও পড়ুন: অজিতের 'পাওয়ার' বদলে ধাক্কা বিরোধী জোটে ! উচ্ছ্বসিত বিজেপি
অন্যদিকে, এ দিন রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও রাজ্য পুলিশকেও একহাত নেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি । পঞ্চায়েত নির্বাচনে বুথের নিরাপত্তায় থাকবে পুলিশ এবং স্পর্শকাতর বুথে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী । এই বিষয়ে তিনি বলেন, "এই রাজ্য পুলিশ ও রাজ্য নির্বাচন কমিশন দুটোই তৃণমূল কংগ্রেসের দলদাসে পরিণত হয়েছে । আমাদের আইনজীবীরা আদালতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন । প্রত্যেক বুথের বাইরে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে ।"
পাশাপাশি এ দিন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ওমপ্রকাশ মিশ্রর বিরুদ্ধে রাজভবনের তদন্তের নির্দেশ প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, "তৃণমূল কংগ্রেসের লোক, দুর্নীতি ছাড়া থাকবে না । কিছু করেছেন, সেজন্যই তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল । এর আগে তো শ্লীলতাহানির অভিযোগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে মার খেয়েছিলেন তিনি ।"