শিলিগুড়ি, 14 ফেব্রুয়ারি: মার্চ মাসেই চা বাগান শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধির জন্য ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের উদ্যোগ নিতে চলেছে রাজ্য সরকার । পাশাপাশি জয়েন্ট ফোরাম, চা বাগান শ্রমিক সংগঠন ও মালিকপক্ষের মধ্যে বেতন বৃদ্ধি সংক্রান্ত বৈঠকের সিদ্ধান্ত বের হলেই বেতন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য সরকার । মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গের শাখা সচিবালয় উত্তরকন্যায় বৈঠকের পর এমনটাই জানালেন রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক । এদিন উত্তরকন্যায় টি অ্যাডভাইজারি কাউন্সিলের বৈঠক হয় (Tea Advisory Council)। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী মলয় ঘটক, বুলুচিক বরাইক, ডিভিশনাল কমিশনার অজিত রঞ্জন বর্ধন, দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক এস পুন্নমবলম, জিটিএ'র চিফ এগজিকিউটিভ অনিত থাপা ও রাজ্যসভার সাংসদ শান্তা ছেত্রী-সহ অন্যান্যরা ।
মূলত এদিনের বৈঠকে চা বাগানে ক্রেস ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র নির্মাণের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয় । বৈঠকের পর মন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন,"উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন চা বাগান এলাকায় 70টি ক্রেস ও 43টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরি করা হবে । তার জন্য প্রথম ভাগের টেন্ডারের কাজ সম্পন্ন হয়েছে । উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের পক্ষ থেকে ওই টেন্ডারের কাজ করা হয়েছে । ন্যূনতম মজুরি নিয়ে কমিটি তৈরি হয়েছে যেখানে বিরোধীরাও রয়েছে । ইতিমধ্যেই 14টি বৈঠক করেছে ওই কমিটি । আগামী মাসে ফের বৈঠক রয়েছে । বিরোধী ও মালিকপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকারকে বললে সরকার মজুরি দিয়ে দেবে ।"
বর্তমানে চা বাগান শ্রমিকদের 276 টাকা ন্যূনতম মজুরি দেওয়া হচ্ছে । আগামীতে 300 টাকারও বেশি বেতনের দাবি রেখেছে জয়েন্ট ফোরাম ৷ তবে মজুরি বৃদ্ধির জন্য আগে চা বাগানের শ্রমিক সংগঠন ও মালিকপক্ষকে একটা সিদ্ধান্তে আসতে হবে । পাশাপাশি একই কারণে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকও আটকে রেখেছে বিরোধী শ্রমিক সংগঠনগুলো । ফলে মার্চ মাসে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের মাধ্যমে সেই সমস্যা সমাধান করার উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার । অন্যদিকে, পাহাড়ের পাঁচটি রুগ্ন চা বাগান পুনরুদ্ধারের উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার । সেই পাঁচটি চা বাগানের সমস্যা সমাধানে 17 ফেব্রুয়ারি শ্রমিক ভবনে জিটিএ, মালিকপক্ষ ও শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে বসতে চলেছে শ্রম দফতর ।
আরও পড়ুন : চা শ্রমিকের একাধিক দাবিতে শিলিগুড়িতে আইএনটিটিইউসি'র বিক্ষোভ