শিলিগুড়ি, 19 ডিসেম্বর: বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ অনুসারে গায়েব হওয়া বিল্ডিং প্ল্যান খুঁজতে কালঘাম ছুটেছে শিলিগুড়ি পৌরনিগম কর্তৃপক্ষ ও সিআইডির। দ্রুত ওই প্ল্যান খুঁজতে 20 জনের বিশেষ কমিটি তৈরি করেছে পৌরনিগম। পাশাপাশি তদন্তের স্বার্থে পৌরনিগমের সহযোগিতা চেয়েছে সিআইডি। তবে টিম গঠন করা হলেও ওই বিল্ডিং প্ল্যান খোঁজা আসলেই খড়ের গাদায় সুঁচ খোঁজার মতোই পরিস্থিতি বলে মনে করছে পৌরনিগম।
এই বিষয়ে শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব বামেদের কোর্টে বল ঠেলে বলেন, "34 বছর আগের রেকর্ড। আমরা ক্ষমতায় এসেছি মাত্র দেড় বছর হয়েছে। এর আগে অবশ্য তিন বছর পর্যন্ত বিল্ডিং প্ল্যান সংরক্ষণের ব্যবস্থা ছিল ৷ কিন্তু আমরা এসে তা 10 বছর করেছি এবং সম্পূর্ণটাই ডিজিটালভাবে।" পৌরনিগমের কমিশনার সোনম ওয়াংদি ভুটিয়া বলেন, "একটি বিশেষ টিম গঠন করা হয়েছে। তারাই প্ল্যান খোঁজার কাজ করছে।" তবে এই বিষয়ে খোলাখুলি কিছু বলতে চাননি উত্তরবঙ্গের সিআইডির আধিকারিক শিবপ্রসাদ পাত্র।
জানা গিয়েছে, 1989 সালে শিলিগুড়ি পৌরনিগম ছিল না। তখন শিলিগুড়ি পৌরসভা ছিল। সেই সময় মূলত বিল্ডিং প্ল্যান পাশ হত শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি উন্নয়ন পর্ষদের মাধ্যমে। বর্তমানে শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বলে পরিচিত। সেই ক্ষেত্রে গায়েব হয়ে যাওয়া ওই বেসরকারি নথি পেতে এসজেডিএ'র উপর ভরসা রাখছে পুলিশ। প্রসঙ্গত, শিলিগুড়ি বর্ধমান রোডের একটি ভবনের সংস্কার ও মেরামতি নিয়ে ঝামেলা বাঁধে। ভবনের প্রাক্তন ও বর্তমান বোর্ডের মধ্যে বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়।
এরপরই জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেন। উল্লেখ্য, বেআইনি নির্মাণ ভাঙা নিয়ে আগেই কঠোর মনোভাব দেখাতে দেখা গিয়েছিল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে। সূত্রের খবর, শিলিগুড়ি বর্ধমান রোডের ওই ভবনের নকশা চেয়ে পাঠিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, তা না-পাওয়াতেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। তারপরই পৌরনিগমের রেকর্ড রুম সিল করার নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে কমিশনার-সহ পৌরকর্তাদের ভূমিকা খতিয়ে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেন তিনি। তা নিয়েই শোরগোল শুরু হয়েছে শিলিগুড়ির নাগরিক মহলে।
আরও পড়ুন: