শিলিগুড়ি, 18 ফেব্রুয়ারি : বহুদিন আগেই বাতিল হয়েছে রশিদ বই ৷ অভিযোগ, একবছরের বেশি সময় ধরে এই রশিদ বই ব্যবহার করছিলেন শিলিগুড়ি পৌরনিগমের অধীনে এক নম্বর বোরো অফিসের এক কর্মী ৷ সাধারণ মানুষের কাছ থেকে বিল্ডিং প্ল্যান পাশ করানোর নাম টাকা নিচ্ছিলেন তিনি ৷ খবর প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসে বোরো অফিস ৷ ঘটনায় তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন বোরো চেয়ারম্যান স্নিগ্ধা হাজরা ৷ তবে, ঘটনায় CPI(M) যোগ আছে বলে মনে করছেন পৌরনিগমের বিরোধী দলনেতা রঞ্জন সরকার ৷
বিল্ডিং প্ল্যান পাশ করানোর নামে টাকা নেওয়ার সময় ব্যবহার করা হচ্ছিল বাতিল হয়ে যাওয়া রশিদ ৷ আজ সকালে বিষয়টি সামনে আসতেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে বোরো চেয়ারম্যানের ভূমিকা নিয়ে ৷ বোরো অফিস সূত্রে খবর, বাতিল বইগুলি সরিয়ে ফেলা হয়েছিল ৷ পরবর্তীতে অডিটের সময় দেখা যায়, বেশ কিছু রশিদ বই উধাও ৷ কোনও খোঁজ নেই ৷ জানা যায়, ওই বইগুলি এখনও ব্যবহার করা হচ্ছে ৷ এ বিষয়ে বোরো চেয়ারম্যান স্নিগ্ধা হাজরা বলেন, "রশিদ বই ব্যবহারে অসংগতি ধরা পড়েছে ৷ অডিট করতে গিয়ে জানা যায় বিষয়টি ৷ পৌরনিগমে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে ৷ একজন কর্মী এর সঙ্গে জড়িত মনে করা হচ্ছে ৷ দোষ প্রমাণ হলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে ৷ দোষীকে আড়াল করা হবে না ৷"
পৌরনিগমের বিরোধী দলনেতা রঞ্জন সরকার বলেন, "যে কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তাঁর বিরুদ্ধে আগেও টাকা তছরুপের অভিযোগ উঠেছিল । সে সময় একবার সাসপেন্ড করা হয়েছিল । কিন্তু, বিশেষ দল করার সুবাদে আবার নিযুক্ত হন তিনি । দীর্ঘদিন ধরে রশিদ বইয়ের হদিস না থাকলে সে সময় থানায় অভিযোগ দায়ের হয়নি কেন ? এখন কেন ? আমরা এই ঘটনায় উপযুক্ত তদন্ত চাই ৷ যারা জড়িত রয়েছে, সবার শাস্তি চাই ৷" তবে, অভিযুক্ত কর্মী সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে জানিয়ে দেন ৷