দার্জিলিং, 9 জানুয়ারি: বারবার কেন লাইনচ্যুত হচ্ছে টয়ট্রেন ? এ বার তা সরেজমিনে খতিয়ে দেখলেন রেলের উচ্চপদস্থ আধকারিকরা । মঙ্গলবার সকাল থেকেই দার্জিলিং হিমালয়ান রেলের প্রতিটি খুঁটিনাটি খতিয়ে দেখতে ময়দানে নামেন আধিকারিকরা ।
জানা গিয়েছে, এ দিনের পরিদর্শনে উপস্থিত ছিলেন উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের কাটিহার ডিভিশনের ডিআরএম শুভেন্দর কুমার, সিনিয়ার কমার্শিয়াল ম্যানেজার প্রশান্ত কুমার, ডিএইচআরের আধিকারিক-সহ অন্যান্যরা । এ দিন রেলের আধিকারিকরা শালবাড়ি, রংটং থেকে শুরু করে দার্জিলিং পর্যন্ত পরিদর্শন করবেন ।
জানুয়ারি মাসেই একাধিকবার লাইনচ্যুত হয়েছে টয়ট্রেন । মাঝে তিনদিনে দু'বার ঘুম রেল স্টেশনের কাছে একই জায়গায় লাইনচ্যুত হয় পর্যটক বোঝাই টয়ট্রেন । এছাড়াও মাঝেমধ্যেই ঘটেছে টয়ট্রেনের ইঞ্জিনে যান্ত্রিক গোলযোগ বা ত্রুটির ঘটনা । ইঞ্জিন বিকল হওয়ার কারণে টয়ট্রেন থেকে নামিয়ে পর্যটকদের সড়কপথে পাঠানো হয়েছিল গন্তব্যে। বারবার এই ধরনের ঘটনায় একদিকে যেমন রেল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তেমনই পর্যটকদের মধ্যেও বিরূপ প্রতিক্রিয়া ও ক্ষোভের সঞ্চার হচ্ছিল । যে কারণে এ বার সব খতিয়ে দেখতে ময়দানে নামে রেল আধিকারিকরা ।
এ দিন পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সিনিয়র ডিসিএম প্রশান্ত কুমার বলেন, "পাহাড় এমনিতেই ভৌগোলিকভাবে খুব কঠিন । মাঝেমধ্যেই ধস ও পাথরের কারণে রেললাইনের ক্ষতি হয় । এছাড়াও মাটি দুর্বল হওয়ার কারণেও লাইনের ক্ষতি হয় ৷ সেগুলো সব খতিয়ে দেখা হচ্ছে । এছাড়াও সম্প্রতি একাধিকবার টয়ট্রেন লাইনচ্যুত হয়েছে । সেটার কারণও খতিয়ে দেখা হচ্ছে । যাত্রী নিরাপত্তা ও পরিষেবা কীভাবে উন্নত করা যায় সেদিকেও বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে ।"
ডিএইচআর সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিদর্শনের সময় চারটি ব্ল্যাক স্পট চিহ্নিত করেছেন রেল আধিকারিকরা । ধসপ্রবণ ও যেখানে দুর্ঘটনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, সেইসব জায়গাগুলোকে চিহ্নিত করে দ্রুত পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছে আধিকারিকরা । পাশাপাশি টয়ট্রেনের স্টিম ইঞ্জিন একশো বছরের পুরনো হওয়ায় সেগুলোর ত্রুটি মেরামত-সহ রক্ষণাবেক্ষণে জোর দেওয়া হবে জানা গিয়েছে ।
আরও পড়ুন: