দার্জিলিং, 15 এপ্রিল : কারও গাড়িতে শেষকৃত্যের স্টিকার তো কারও গাড়িতে এমার্জেন্সি সার্ভিস । আবার কেউ বলছেন জরুরি কাজে এসেছেন । এভাবেই লকডাউন ভেঙে ভিড় বাড়ছে দার্জিলিঙের রাস্তায় । ফলে এদিন কার্যত বাধ্য হয়ে মানুষকে ঘরে ফেরাতে আসরে নামল মোর্চা । কিন্তু লাভ হল না বিশেষ । মানুষের মধ্যে খুব একটা হেলদোল দেখা গেল না ।
দেশে দিন দিন বাড়ছে কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা । এর ফলে 3 মে পর্যন্ত গোটা দেশে লকডাউন বাড়ানো হয়েছে । রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ও বলেছেন, একান্ত প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে বেরোলেও মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক । রাজ্যের নির্দেশিকার সূত্র ধরে GTA-র তরফেও পাহাড়ের প্রত্যেককে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক বলে নির্দেশিকা জারি করেছে । এছাড়া দার্জিলিঙে একের পর এক কোরোনা আক্রান্তের খবর মিলছে ।
কিন্তু পাহাড়ে কেমন চলছে লকডাউন? আজ দার্জিলিং শহরের ছবি দেখলে বোঝার উপায় নেই পাহাড় এখন লকডাউনে নাকি স্বাভাবিক ছন্দে । অন্য স্বাভাবিক দিনের সঙ্গে বিশেষ ফারাক পাওয়া গেল না এদিনের । পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝতে পেরে বাজার এবং পথে চলা লোকজনদের ঘরে ফেরাতে আসরে নামে মোর্চার বিনয়পন্থীরা । মোর্চার দার্জিলিং টাউন কমিটির তরফে দেখা যায় সাধারণ মানুষকে বোঝাতে । তারা যেন ঘরে থাকে । বিনা কারণে ঘর ছেড়ে না বের হয়, তার জন্য অনুরোধও করা হয় । কিন্তু এরপরও মানুষের মধ্যে বিশেষ কোনও হেলদোল দেখা যায়নি ।
মোর্চার টাউন কমিটির সম্পাদক জাহিদ আলি বলেন, "দার্জিলিং শহরে অনেকেই লকডাউন মানছেন না । এজন্য পুলিশ-প্রশাসনের চোখে ধুলো দিতে অনেকেই শেষকৃত্য সম্পন্ন করার স্টিকার গাড়িতে লাগিয়ে শহরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ।" আজ এমনই একটি গাড়িকে ধরেছেন তাঁরা । তাতে দেখা গিয়েছে, অনেকদিন আগেই ওই শেষকৃত্য হয়ে গেছে । কিন্তু সেই স্টিকার গাড়িতে লাগিয়ে লকডাউনে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ওই এলাকার কিছু লোক । এভাবেই বিভিন্ন অজুহাত এবং পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে ভিড় বাড়ছে পাহাড়ে ।