দার্জিলিং ও কালিম্পং, 8 জুলাই: সারা রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ঘিরে যেখানে সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটছে, সেখানে পাহাড়ে ঠিক তার বিপরীত ছবি। পাহাড়ে সকাল থেকে হালকা ও মাঝারি বৃষ্টিপাত চলছে। কিন্তু বৃষ্টি শুরু হলেও তা উপেক্ষা করেই পাহাড়বাসীকে উৎসবের মেজাজে ভোট দিতে দেখা যায়। তার কারণ একটাই। 22 বছর পর পঞ্চায়েত নির্বাচন হচ্ছে পাহাড়ে। তবে ত্রিস্তরীয় নয় দ্বিস্তরীয়। পাহাড়ের রাজনৈতিক সমীকরণটাও রাজ্যের সমীকরণ থেকে একদমই আলাদা।
সেখানে লড়াইটা ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা ও তৃণমূল কংগ্রেসের জোটের সঙ্গে প্রধান বিরোধী বিজেপি-সহ আটটি আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলের জোটের সঙ্গে। শেষ পঞ্চায়েত নির্বাচনে পাহাড়ে একছত্র রাজ ছিল জিএনএলএফের। আর এখন পাহাড়ের রাশ অনিতের বিজিপিএমের হাতে। তবে পঞ্চায়েত নির্বাচনে গ্রামের রাশ কার ক্ষমতায় থাকে সেটাই দেখার বিষয়। কালিঝোরার বাসিন্দা নমিতা ছেত্রী বলেন, "পাহাড়ে বহু বছর পর ভোট হচ্ছে। এবার গ্রামের উন্নয়ন হবে।" সুরেশ প্রধান বলেন, "বহুদিন বাদে পঞ্চায়েত নির্বাচন হচ্ছে পাহাড়ে। গ্রামের নাগরিক পরিষেবা উন্নত হবে। খুব ভালো ভোট হচ্ছে।"
জানা গিয়েছে, দার্জিলিং জেলায় মোট ব্লক পাঁচটি। রয়েছে পাঁচটি পঞ্চায়েত সমিতি, 70টি গ্রাম পঞ্চায়েত। মোট ভোটগ্রহণ কেন্দ্র 514 ও স্পর্শকাতর বুথ 27টি। প্রতিটি বুথেই রয়েছে সিসি ক্যামেরা। জেলার মোট ভোটার 3 লক্ষ 87 হাজার 952 জন আর মোট ভোটকর্মী 2 হাজার 500। কেন্দ্রীয় বাহিনী 10 কোম্পানি মোতায়েন রাখা হয়েছে। জেলায় মোট গ্রাম পঞ্চায়েত আসন 598, মোট পঞ্চায়েত সমিতি 156 ও মোট প্রার্থী 2004 জন। গ্রাম পঞ্চায়েত আসনে মোট প্রার্থী 1 হাজার 576 জন ও পঞ্চায়েত সমিতি আসনে মোট প্রার্থী 428। অন্যদিকে, কালিম্পং জেলার মোট ব্লক তিনটি রয়েছে পঞ্চায়েত সমিতি চারটি, মোট গ্রাম পঞ্চায়েত 42টি।
মোট ভোটগ্রহণ কেন্দ্র 263 মোট ভোটার 1 লক্ষ 75 হাজার 932 জন, মোট ভোটকর্মী 1 হাজার 500 জন। কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঁচ কোম্পানি মোতায়েন রাখা হয়েছে। জেলায় মোট গ্রাম পঞ্চায়েত আসন 281 টি ৷ মোট পঞ্চায়েত সমিতি 76টি ৷ মোট প্রার্থী 1 হাজার 47 জন ৷ গ্রাম পঞ্চায়েত আসনে মোট প্রার্থী 814 ও পঞ্চায়েত সমিতি আসনে মোট প্রার্থী 233 জন।
আরও পড়ুন: ফের রক্তাক্ত পঞ্চায়েত ভোট! মানিকচকে তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু