ETV Bharat / state

শিয়রে নির্বাচন : মিলন মেলা হচ্ছে না ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে

জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রে আগামী 18 এপ্রিল ভোট হওয়ায় সীমান্তের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে এই বছর জলপাইগুড়ি জেলার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে মিলন মেলা হচ্ছে না বলে জানানো হয় প্রশাসনের তরফে।

মিলন মেলা
author img

By

Published : Apr 13, 2019, 9:38 PM IST

জলপাইগুড়ি, 13 এপ্রিল : নির্বাচনের জেরে এবছর জলপাইগুড়ি জেলার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের মিলন মেলা হচ্ছে না। প্রতি বছর সংক্রান্তির দিন ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ার দু'পাশে হাজার হাজার মানুষ ভিড় করেন ভাব বিনিময়ের জন্য। কিন্তু জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রে আগামী 18 এপ্রিল ভোট হওয়ায় সীমান্তের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই মিলন মেলার অনুমতি দিল না প্রশাসন।

রাজগঞ্জ ব্লকের গাডরা, ভোলাপাড়া, শুখানি, খালপাড়া এলাকায় প্রতিবছর মিলন মেলা হয়। কাঁটাতারের বেড়ার দুপাশে হাজার হাজার মানুষ অপেক্ষা করে এই মিলন মেলার জন্য। সীমান্তে গিয়ে দুই দেশের মানুষ তাঁদের আত্মীয়দের সাথে দেখা করেন। তাঁরা একে-অপরকে উপহার সামগ্রীও দিয়ে থাকেন। এইসময় বাংলাদেশের ইলিশও বিক্রি হয়ে থাকে। দুই দেশের মানুষের জন সমাগমের সময় আইনশৃঙ্খলার অবনতি যাতে না হয় তাই বিশাল সংখ্যক BSF জওয়ান মোতায়েন করা হয়। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়, দেশে লোকসভা নির্বাচনের কারণে সীমান্তে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা জওয়ানদের ভোটের ডিউটির জন্য ভিন জেলা ও ভিন রাজ্যে পাঠানো হয়েছে। এই অবস্থায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে BSF জওয়ানদের সংখ্যা পর্যাপ্ত নয়। তাই সংক্রান্তির দিন ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে মিলন মেলার অনুমতি দেওয়া হলে নিরাপত্তার একটা বড় সমস্যা হতে পারে। সেই কারণেই জলপাইগুড়ি জেলার রায়গঞ্জ ব্লকের সীমান্ত ও বাংলাদেশের পঞ্চগড় জেলার মাঝে মিলন মেলা স্থগিত রাখা হয়েছে।

সূত্রের খবর, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের রাজগঞ্জ ব্লকের 155 নম্বর ব্যাটালিয়ান সীমান্তের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন। ইতিমধ্যেই এই ব্যাটেলিয়নের 3 কম্পানি ফোর্স ভোটের কারণে অন্যত্র চলে গেছে। ফলে এই মুহূর্তে মিলন মেলার জন্য ফোর্স দিতে পারবে না BSF। তাই বর্ডারের নিরাপত্তা এবং মিলন মেলার জনতার সিকিউরিটি দিতে পারবে না BSF।

সীমান্তের BSF-এর চারটি BOP ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা দিয়ে থাকে। বাংলাদেশের পঞ্চগড় জেলায় BGB 56 নম্বর ব্যাটেলিয়ন নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকে। ইতিমধ্যেই জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনের নির্দেশ মত BGB-কে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে আগামীকাল মিলন মেলা হচ্ছে না ভোটের কারণে।

জলপাইগুড়ি, 13 এপ্রিল : নির্বাচনের জেরে এবছর জলপাইগুড়ি জেলার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের মিলন মেলা হচ্ছে না। প্রতি বছর সংক্রান্তির দিন ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ার দু'পাশে হাজার হাজার মানুষ ভিড় করেন ভাব বিনিময়ের জন্য। কিন্তু জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রে আগামী 18 এপ্রিল ভোট হওয়ায় সীমান্তের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই মিলন মেলার অনুমতি দিল না প্রশাসন।

রাজগঞ্জ ব্লকের গাডরা, ভোলাপাড়া, শুখানি, খালপাড়া এলাকায় প্রতিবছর মিলন মেলা হয়। কাঁটাতারের বেড়ার দুপাশে হাজার হাজার মানুষ অপেক্ষা করে এই মিলন মেলার জন্য। সীমান্তে গিয়ে দুই দেশের মানুষ তাঁদের আত্মীয়দের সাথে দেখা করেন। তাঁরা একে-অপরকে উপহার সামগ্রীও দিয়ে থাকেন। এইসময় বাংলাদেশের ইলিশও বিক্রি হয়ে থাকে। দুই দেশের মানুষের জন সমাগমের সময় আইনশৃঙ্খলার অবনতি যাতে না হয় তাই বিশাল সংখ্যক BSF জওয়ান মোতায়েন করা হয়। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়, দেশে লোকসভা নির্বাচনের কারণে সীমান্তে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা জওয়ানদের ভোটের ডিউটির জন্য ভিন জেলা ও ভিন রাজ্যে পাঠানো হয়েছে। এই অবস্থায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে BSF জওয়ানদের সংখ্যা পর্যাপ্ত নয়। তাই সংক্রান্তির দিন ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে মিলন মেলার অনুমতি দেওয়া হলে নিরাপত্তার একটা বড় সমস্যা হতে পারে। সেই কারণেই জলপাইগুড়ি জেলার রায়গঞ্জ ব্লকের সীমান্ত ও বাংলাদেশের পঞ্চগড় জেলার মাঝে মিলন মেলা স্থগিত রাখা হয়েছে।

সূত্রের খবর, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের রাজগঞ্জ ব্লকের 155 নম্বর ব্যাটালিয়ান সীমান্তের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন। ইতিমধ্যেই এই ব্যাটেলিয়নের 3 কম্পানি ফোর্স ভোটের কারণে অন্যত্র চলে গেছে। ফলে এই মুহূর্তে মিলন মেলার জন্য ফোর্স দিতে পারবে না BSF। তাই বর্ডারের নিরাপত্তা এবং মিলন মেলার জনতার সিকিউরিটি দিতে পারবে না BSF।

সীমান্তের BSF-এর চারটি BOP ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা দিয়ে থাকে। বাংলাদেশের পঞ্চগড় জেলায় BGB 56 নম্বর ব্যাটেলিয়ন নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকে। ইতিমধ্যেই জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনের নির্দেশ মত BGB-কে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে আগামীকাল মিলন মেলা হচ্ছে না ভোটের কারণে।

Intro:

জলপাইগুড়িঃদির্ঘদিন ধরেই বিদ্যুৎ নেই। তাই রাস্তায় পথবাতির আলোয় পড়াশুনো করতে হচ্ছে গ্রাসমোড় চা বাগানের ছাত্রছাত্রীদের। বিদ্যুৎ এর দাবিতে জলপাইগুড়ির নাগরাকাটার গ্রাসমোড় চা বাগানের স্টাফ এবং তাদের পরিবারের ছাত্রছাত্রীরা বিদ্যুৎ বন্টন কোম্পানির রিজিওনাল ম্যানেজারকে ঘেরাও করে রাখল। নাগরাকাটার গ্রাসমোড় চা বাগানের ১৫ টি স্টাফ এর পরিবার এদিন জলপাইগুড়ি বিদ্যুৎ বন্টন কোম্পানীর দপ্তরে এসে বিক্ষোভ দেখান এবং রিজিওনাল ম্যানেজারকে ঘেরাও করে রাখেন। 

     চা বাগানের শেখর ভুজেল বলেন আমাদের এই চা বাগানটি ২০১৮ সালের জুলাই মাসে বন্ধ হয়ে ১ অক্টোবর গ্রাসমোড় চা বাগানটি খুলে যায়।ফের চা বাগানটি জানুয়ারি মাসে বন্ধ করে দেয় ম্যানেজমেন্ট। গত জুলাই মাস থেকেই চা বাগানের বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেয় বিদ্যুৎ বন্টন কোম্পানী। এরপর বাগানের ছাত্রছাত্রীরা মোমবাতির আলোতেও পড়াশুনো করে।তাতে করে তাদের রেজাল্ট খুব একটা ভালো হয়নি।এরপর  ১৫ জন স্টাফ তাদের ছেলেমেয়েদের পড়াশুনোর কথা চিন্তা করা বিদ্যুৎ বন্টন কোম্পানীর কাছে আলাদা আলাদা বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য আবেদন করেন।বাগান কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়েই বিদ্যুৎ নেওয়া হলেও যখন বিল আসে তারা দেখতে পান কমার্শিয়াল বিল এসেছে।১৫ টি পরিবারের বিল এসেছে ৩৫ হাজার টাকা।কিন্তু বিদ্যুৎ সংযোগ দেবার সময় তাদের জানানো হয়নি এটা কমার্শিয়াল লাইন।এরপর বিল দিতে না পারায় ফের বিদ্যুৎ কেটে দেওয়া হয়। বন্ধ গ্রাসমোড় চা বাগানের বাসিন্দা পায়েল সরকার বলেন বিদ্যুৎ দপ্তর আমাদের কাছে যে সমস্ত কাগজ চেয়েছে সেই সমস্ত কাগজ এবং বাগানের মালিকপক্ষের অনুমতি পত্র সহ সব কাগজ বিদ্যুৎ দপ্তরে জমা দেওয়া হয়েছে তার পরও আমাদের ডোমেস্টিক বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হচ্ছেনা।         


এদিন গ্রাসমোড় চা বাগানের ছাত্র প্রাঞ্জল রসাইলি,প্রিয়াংশু রসাইলি জানান আজ আমরা এই যুগেও বিদ্যুৎ বিহীন অবস্থায় আছি।আমাদের মোমবাতির আলোতে পড়তে হয়েছে। আমাদের বাগানের লাইট কেটে দেওয়া হয়েছে।আমরা চাই ঠিকমত বিদ্যুৎ আমরা পড়াশুনো ভাল করে করতে চাই তাই আমরা সবাই মিলে আজ জলপাইগুড়ি এসেছি। আমাদের মোবাইল এর আলোতে লাইট জ্বালিয়ে রাখি চার্জ শেষ হবার ভয়ে আমরা মোবাইলের আলোও জ্বালাতে পারিনা।এই অবস্থায় আমরা কি করব বুঝে উঠতে পারছি না।আমরা পড়াশোনা করতে চাই আমাদের বিদ্যুৎ চাই।এই যুগে আমাদের বিদ্যুৎ না থাকাটা লজ্জার।   



ছেলে মেয়ে দের নিয়ে বাগান থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দুরে বিডিও অফিসের রাস্তার পথবাতির নিচে পরাশোনা করাচ্ছেন অভিভাবকরা। নিজেরদের আলাদা বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়ার জন্য বিদ্যুৎ দপ্তরে বারং আবেদন করলেও মেলেনি বিদ্যুতের ডোমেস্টিক সংযোগ।

বাগানে মোট ১২৩০জন শ্রমিক রয়েছে। বাগান বন্ধের পরথেকেই বাগানের বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেওয়া হয়।এতেই সমস্যায় পরেছে বাগানের কর্মীদের পরিবারের ছাত্র ছাত্রীরা। 


                        


          




Body:WB_JAL_13APR_LIGHT_PROBLEM_ABHIJIT_7203427


Conclusion:WB_JAL_13APR_LIGHT_PROBLEM_ABHIJIT_7203427

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.