জলপাইগুড়ি, 13 এপ্রিল : নির্বাচনের জেরে এবছর জলপাইগুড়ি জেলার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের মিলন মেলা হচ্ছে না। প্রতি বছর সংক্রান্তির দিন ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ার দু'পাশে হাজার হাজার মানুষ ভিড় করেন ভাব বিনিময়ের জন্য। কিন্তু জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রে আগামী 18 এপ্রিল ভোট হওয়ায় সীমান্তের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই মিলন মেলার অনুমতি দিল না প্রশাসন।
রাজগঞ্জ ব্লকের গাডরা, ভোলাপাড়া, শুখানি, খালপাড়া এলাকায় প্রতিবছর মিলন মেলা হয়। কাঁটাতারের বেড়ার দুপাশে হাজার হাজার মানুষ অপেক্ষা করে এই মিলন মেলার জন্য। সীমান্তে গিয়ে দুই দেশের মানুষ তাঁদের আত্মীয়দের সাথে দেখা করেন। তাঁরা একে-অপরকে উপহার সামগ্রীও দিয়ে থাকেন। এইসময় বাংলাদেশের ইলিশও বিক্রি হয়ে থাকে। দুই দেশের মানুষের জন সমাগমের সময় আইনশৃঙ্খলার অবনতি যাতে না হয় তাই বিশাল সংখ্যক BSF জওয়ান মোতায়েন করা হয়। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়, দেশে লোকসভা নির্বাচনের কারণে সীমান্তে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা জওয়ানদের ভোটের ডিউটির জন্য ভিন জেলা ও ভিন রাজ্যে পাঠানো হয়েছে। এই অবস্থায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে BSF জওয়ানদের সংখ্যা পর্যাপ্ত নয়। তাই সংক্রান্তির দিন ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে মিলন মেলার অনুমতি দেওয়া হলে নিরাপত্তার একটা বড় সমস্যা হতে পারে। সেই কারণেই জলপাইগুড়ি জেলার রায়গঞ্জ ব্লকের সীমান্ত ও বাংলাদেশের পঞ্চগড় জেলার মাঝে মিলন মেলা স্থগিত রাখা হয়েছে।
সূত্রের খবর, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের রাজগঞ্জ ব্লকের 155 নম্বর ব্যাটালিয়ান সীমান্তের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন। ইতিমধ্যেই এই ব্যাটেলিয়নের 3 কম্পানি ফোর্স ভোটের কারণে অন্যত্র চলে গেছে। ফলে এই মুহূর্তে মিলন মেলার জন্য ফোর্স দিতে পারবে না BSF। তাই বর্ডারের নিরাপত্তা এবং মিলন মেলার জনতার সিকিউরিটি দিতে পারবে না BSF।
সীমান্তের BSF-এর চারটি BOP ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা দিয়ে থাকে। বাংলাদেশের পঞ্চগড় জেলায় BGB 56 নম্বর ব্যাটেলিয়ন নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকে। ইতিমধ্যেই জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনের নির্দেশ মত BGB-কে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে আগামীকাল মিলন মেলা হচ্ছে না ভোটের কারণে।