ETV Bharat / state

গণইস্তফা উত্তরবঙ্গ মেডিকেলে, গাছতলায় রোগী দেখলেন চিকিৎসকরা

উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের 119 জন চিকিৎসক ইস্তফা দিলেন, নজিরবিহীন পরিস্থিতি সামলাতে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ অধ্যক্ষ প্রবীরকুমার দেব ।

উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ
author img

By

Published : Jun 14, 2019, 11:26 PM IST

Updated : Jun 14, 2019, 11:57 PM IST

শিলিগুড়ি, 14 জুন : 119 জন চিকিৎসকের ইস্তফায় টালমাটাল উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল । আরও কয়েকজন ইস্তফা দিতে পারেন বলে খবর । সমস্ত পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে রিপোর্ট পাঠিয়েছেন অধ্যক্ষ প্রবীরকুমার দেব । তিনি বলেন, "উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে রিপোর্ট দিচ্ছি । যতক্ষণ পারব পরিষেবা স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করব ।"

গতকাল দিনভর OPD বন্ধ থাকার পর আজও OPD খোলেনি । সকাল থেকে রোগীদের ক্ষোভ কমাতে কয়েকজন চিকিৎসক OPD-র পাশে গাছতলায় রোগী দেখেন । বিভিন্ন ওয়ার্ডে কাজে যোগ দেননি জুনিয়র ডাক্তাররা । এই পরিস্থিতিতে একাধিক চিকিৎসকের ইস্তফায় হাসপাতালের সমস্ত পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে । পরিস্থিতি সামলাতে দফায় দফায় বৈঠক করেন সুপার ও অধ্যক্ষ । যদিও সমাধানসূত্র বের করা যায়নি ।

ইউরোলজি বিভাগের প্রধান বিশ্বজিৎ দাস বলেন, "আমরা জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে আছি । আমি ইস্তফা দিয়েছি । আমরা ধর্মের নামে চিকিৎসা করি না । রোগীর ধর্ম কী তাও জানতে চাই না । রাজনীতিবিদরা তাঁদের মানসিকতায় আমাদের দেখছেন। আমরা সরকারি হাসপাতালে আর পরিষেবা দিতে চাই না । সরকার আমাদের ইস্তফা গ্রহণ করুক। "

গতকাল মুখ্যমন্ত্রী কঠোর মনোভাব প্রকাশ করলেও আজ দিনভর পুলিশ কোনও কঠোর পদক্ষেপ নেয়নি । মেডিকেল কলেজের সামনে ধরনা চালিয়ে যান জুনিয়র চিকিৎসকেরা । দিনভর স্লোগান চলতে থাকে । একযোগে তাঁরা বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী আমাদের যন্ত্রণায় সমব্যথী নন । তিনি শাসাচ্ছেন । আমরা ভয় পাই না । দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে বলেই এই আন্দোলন । উনি ক্ষমা না চাইলে আন্দোলন চলবে ।"

ভিডিয়োয় শুনুন সুপারের বক্তব্য

হাসপাতাল সুপার কৌশিক সমাজদার জানান, সমস্ত বিষয় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি । আমরা অসহায়।

শিলিগুড়ি, 14 জুন : 119 জন চিকিৎসকের ইস্তফায় টালমাটাল উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল । আরও কয়েকজন ইস্তফা দিতে পারেন বলে খবর । সমস্ত পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে রিপোর্ট পাঠিয়েছেন অধ্যক্ষ প্রবীরকুমার দেব । তিনি বলেন, "উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে রিপোর্ট দিচ্ছি । যতক্ষণ পারব পরিষেবা স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করব ।"

গতকাল দিনভর OPD বন্ধ থাকার পর আজও OPD খোলেনি । সকাল থেকে রোগীদের ক্ষোভ কমাতে কয়েকজন চিকিৎসক OPD-র পাশে গাছতলায় রোগী দেখেন । বিভিন্ন ওয়ার্ডে কাজে যোগ দেননি জুনিয়র ডাক্তাররা । এই পরিস্থিতিতে একাধিক চিকিৎসকের ইস্তফায় হাসপাতালের সমস্ত পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে । পরিস্থিতি সামলাতে দফায় দফায় বৈঠক করেন সুপার ও অধ্যক্ষ । যদিও সমাধানসূত্র বের করা যায়নি ।

ইউরোলজি বিভাগের প্রধান বিশ্বজিৎ দাস বলেন, "আমরা জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে আছি । আমি ইস্তফা দিয়েছি । আমরা ধর্মের নামে চিকিৎসা করি না । রোগীর ধর্ম কী তাও জানতে চাই না । রাজনীতিবিদরা তাঁদের মানসিকতায় আমাদের দেখছেন। আমরা সরকারি হাসপাতালে আর পরিষেবা দিতে চাই না । সরকার আমাদের ইস্তফা গ্রহণ করুক। "

গতকাল মুখ্যমন্ত্রী কঠোর মনোভাব প্রকাশ করলেও আজ দিনভর পুলিশ কোনও কঠোর পদক্ষেপ নেয়নি । মেডিকেল কলেজের সামনে ধরনা চালিয়ে যান জুনিয়র চিকিৎসকেরা । দিনভর স্লোগান চলতে থাকে । একযোগে তাঁরা বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী আমাদের যন্ত্রণায় সমব্যথী নন । তিনি শাসাচ্ছেন । আমরা ভয় পাই না । দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে বলেই এই আন্দোলন । উনি ক্ষমা না চাইলে আন্দোলন চলবে ।"

ভিডিয়োয় শুনুন সুপারের বক্তব্য

হাসপাতাল সুপার কৌশিক সমাজদার জানান, সমস্ত বিষয় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি । আমরা অসহায়।

Intro:119 চিকিৎসকের গণ ইস্তফা উত্তরবঙ্গ মেডিকেলে, মুখ্যমন্ত্রীকে রিপোর্ট দিলেন অধ্যক্ষ।


119 জন চিকিৎসকের ইস্তফায় টালমাটাল উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
উদ্ভুত পরিস্থিতিতে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও গণ ইস্তফা দিলেন 119 জন সিনিয়র চিকিৎসক। আরো কয়েকজন ইস্তফা দিতে পারেন বলে জানা গিয়েছে। এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে রিপোর্ট দিলেন অধ্যক্ষ।

বৃহষ্পতিবার দিনভর ওপিডি বন্ধ থাকার পর এদিনও ওপিডি খোলানো যায় নি। সকাল থেকে ক্ষুব্ধ রোগীরা ভিড় জমালে গন্ডগোলের আশংকায় কিছু সিনিয়র চিকিৎসক ওপিডির পাশে গাছতলায় রোগী দেখেন। বিভিন্ন ওয়ার্ডে কাজে যোগ দেন নি জুনিয়র ডাক্তারেরা। এই পরিস্থিতিতে চিকিৎসকের অভাবের মাঝে সিনিয়র চিকিৎসকেরা গণ ইস্তফা দেওয়ায় অচিরেই সমস্ত পরিসেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশকা দেখা দিয়েছে। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে দফায় দফায় বৈঠক করেন সুপার ও অধ্যক্ষ। যদিও সমাধান সুত্র বের করা যায় নি।


ইউরোলজি বিভাগের প্রধান বিশবজিৎ দাস বলেন, জুনিয়র চিকিৎসকদের পাশে আছি। নিজের ইস্তফা দিয়েছি। আমরা ধর্মের নামে চিকিৎসা করি না। রোগীর ধর্ম কি তাও জানতে চাই না। রাজনীতিবিদরা তাদের মানসিকতায় আমাদের দেখছেন। আমরা সরকারি হাসপাতালে আর পরিসেবা দিতে চাই না। সরকার আমাদের ইস্তফা গ্রহণ করুক।
গতকাল মুখ্যমন্ত্রী কঠোর মনোভাব প্রকাশ করলেও এদিন দিনভর পুলিশ বা প্রশাসন কোনও কঠোর পদক্ষেপ করে নি। মেডিকেল কলেজের সামনে ধর্না চালিয়ে যান জুনিয়র চিকিৎসকেরা। দিনভর স্লোগান চলতে থাকে। একযোগে তারা জানান, মুখ্যমন্ত্রী আমাদের যন্ত্রনায় সমব্যাথী নন। তিনি শাসাচ্ছেন। আমরা ভয় পাই না। দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে বলেই এই আন্দোলন।তিনি ক্ষমা না চাইলে আন্দোলন চলবে।

চিকিৎসকের অপ্রতুলতার জেরে বিভিন্ন ওয়ার্ডেও ঠিক মতোন চিকিৎসা এদিন মেলে নি। রোগীদের পরিবারের অভিযোগ ভর্তি নেওয়া হলেও চিকিৎসা হচ্ছে না।
সুপার কৌশিক সমাজদবার জানান সমস্ত বিষয় উচ্চতর কর্তাদের জানিয়েছি। আমরা অসহায়।

অধ্যক্ষ প্রবীর কুমার দেব জানান সমস্ত বিষয়টা মুখ্যমন্ত্রীকে রিপোর্ট দিচ্ছি। যতক্ষন পারব পরিসেবা চালু রাখার চেষ্টা করব।
Body:।Conclusion:
Last Updated : Jun 14, 2019, 11:57 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.