শিলিগুড়ি, 14 জুন : 119 জন চিকিৎসকের ইস্তফায় টালমাটাল উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল । আরও কয়েকজন ইস্তফা দিতে পারেন বলে খবর । সমস্ত পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে রিপোর্ট পাঠিয়েছেন অধ্যক্ষ প্রবীরকুমার দেব । তিনি বলেন, "উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে রিপোর্ট দিচ্ছি । যতক্ষণ পারব পরিষেবা স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করব ।"
গতকাল দিনভর OPD বন্ধ থাকার পর আজও OPD খোলেনি । সকাল থেকে রোগীদের ক্ষোভ কমাতে কয়েকজন চিকিৎসক OPD-র পাশে গাছতলায় রোগী দেখেন । বিভিন্ন ওয়ার্ডে কাজে যোগ দেননি জুনিয়র ডাক্তাররা । এই পরিস্থিতিতে একাধিক চিকিৎসকের ইস্তফায় হাসপাতালের সমস্ত পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে । পরিস্থিতি সামলাতে দফায় দফায় বৈঠক করেন সুপার ও অধ্যক্ষ । যদিও সমাধানসূত্র বের করা যায়নি ।
ইউরোলজি বিভাগের প্রধান বিশ্বজিৎ দাস বলেন, "আমরা জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে আছি । আমি ইস্তফা দিয়েছি । আমরা ধর্মের নামে চিকিৎসা করি না । রোগীর ধর্ম কী তাও জানতে চাই না । রাজনীতিবিদরা তাঁদের মানসিকতায় আমাদের দেখছেন। আমরা সরকারি হাসপাতালে আর পরিষেবা দিতে চাই না । সরকার আমাদের ইস্তফা গ্রহণ করুক। "
গতকাল মুখ্যমন্ত্রী কঠোর মনোভাব প্রকাশ করলেও আজ দিনভর পুলিশ কোনও কঠোর পদক্ষেপ নেয়নি । মেডিকেল কলেজের সামনে ধরনা চালিয়ে যান জুনিয়র চিকিৎসকেরা । দিনভর স্লোগান চলতে থাকে । একযোগে তাঁরা বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী আমাদের যন্ত্রণায় সমব্যথী নন । তিনি শাসাচ্ছেন । আমরা ভয় পাই না । দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে বলেই এই আন্দোলন । উনি ক্ষমা না চাইলে আন্দোলন চলবে ।"
হাসপাতাল সুপার কৌশিক সমাজদার জানান, সমস্ত বিষয় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি । আমরা অসহায়।