শিলিগুড়ি, 14 এপ্রিল : কোরোনা আতঙ্কের মাঝেই শিলিগুড়িতে মৃত্যু হল 13 টি শকুনের । ফলে কপালে চিন্তার ভাঁজ বনবিভাগ থেকে শুরু করে পশুপ্রেমী সংগঠনের সদস্যদের । তাঁদের আশঙ্কা, তবে কি পশুপাখিদের মধ্যেও সংক্রমিত হচ্ছে কোরোনা ?
শিলিগুড়ি সংলগ্ন আমবাড়ির মেহেন্দিগছ এলাকার বাসিন্দারা গতরাতে করতোরা নদীর ধারে বেশ কয়েকটি শকুনের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন । তাঁরা সঙ্গে সঙ্গে বৈকুন্ঠপুর অফিসের অধীন বেলাকোবা রেঞ্জে খবর দেন । রেঞ্জার সঞ্জয় দত্তসহ বনকর্মীর ঘটনাস্থানে পৌঁছে শকুনের মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে নিয়ে যান । বনবিভাগের তরফে জানানো হয়েছে, শকুনগুলি হিমালয়ান গ্রিফন প্রজাতির । সম্প্রতি এই প্রজাতির শকুনের সংখ্যা কমে গেছে ।
স্থানীয়রা জানান, করতোরা নদীর ধারে একটি শূকরের মৃতদেহ পড়েছিল । সেই মৃতদেহ খেতে এসেছিল ওই শকুনের দল । আর সেখানে থেকেই বিষক্রিয়া ছড়িয়েছে বলে তাঁদের অনুমান । যদিও বিষয়টিতে সিলমোহর দেয়নি বনবিভাগ । তবে, তাঁদের কপালে যে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে তাতে কোনও দ্বিধা নেই ।
অন্যদিকে স্থানীয়দের বক্তব্যকে অগ্রাহ্য করতে চাইছেন না পরিবেশবিদ থেকে শুরু করে পশুপ্রেমী সংগঠনের সদস্যরা । কারণ, সম্প্রতি নিউ ইয়র্কে বাঘের শরীরে কোরোনার হদিস মিলেছে । তাই এখন নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না, পশুপাখিদের মধ্যে কোরোনা সংক্রমণের সম্ভাবনা নেই । আর তাতেই উদ্বেগ বাড়ছে ।
এবিষয়ে হিমালয়ান নেচার অ্যান্ড অ্যাডভেঞ্চার ফাউন্ডেশনের আহ্বায়ক অনিমেষ বসু বলেন, "বিষয়টি সত্যিই উদ্বেগের । আমরা ইতিমধ্যে বম্বে ন্যাচরাল হিস্ট্রি সোশাইটির আলিপুরদুয়ার দপ্তরে যোগাযোগ করেছি । বনকর্তাদের সঙ্গেও যোগাযোগ করছি । আমরা চাই, দ্রুত শকুন মৃত্যুর কারণ সামনে আসুক ।"
এবিষয়ে বৈকুন্ঠপুরের DFO উমারানি এন বলেন, "শকুনের মৃত্যু প্রসঙ্গে এখনই স্পষ্ট কিছু বলা সম্ভব নয় । ময়নাতদন্তের রিপোর্টে সবটা পরিষ্কার হবে ।"