দার্জিলিং, 18 সেপ্টেম্বর: স্ত্রী পরকীয়ায় জড়িত এমন সন্দেহ স্বামীর ৷ আর সেই সন্দেহ থেকে শুরু হয় বিবাদ ৷ যার জেরে হাতুড়ি দিয়ে মেরে স্ত্রীকে খুন করল স্বামী। মারার পর যাতে রক্ত ঘরে না-ছড়িয়ে পড়ে তার জন্য রক্তাক্ত মাথা হাঁড়ির মধ্যে ঢুকিয়ে রাখা হয়েছিল। এখানেই শেষ নয়, খুনের পর কাউকে কিছু না-জানিয়ে গোটা এলাকায় বেপরোয়াভাবে ঘুরে বেড়ালো স্বামী। হাড়হিম করা ওই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। সোমবার সকালে ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে।শিলিগুড়ি সংলগ্ন শিবমন্দির এলাকার নারায়ণপল্লীতে এই নারকীয় ঘটনা।
মাটিগাড়া থানার পুলিশ পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায়। পাশাপাশি অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করে মাটিগাড়া থানার পুলিশ। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দেড় মাস আগে নারায়ণপল্লী এলাকায় ভাড়া থাকতে আসে সাত বছরের এক মেয়ে-সহ দম্পতি রাহুল কুণ্ডু ও সোনালি কুণ্ডু। রাহুল পেশায় শিবমন্দির এলাকারই একটি কাঠের দোকানে পালিশের কাজ করে।
পরকীয়ার জেরে মাঝেমধ্যেই ঝগড়া লেগে থাকত ওই দম্পতির মধ্যে। রবিবার রাতেও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। অভিযোগ, সেই সময় হাতুড়ি দিয়ে স্ত্রী'র মাথায় আঘাত করে স্বামী রাহুল কুণ্ডু। এতে ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়ে স্ত্রী সোনালী। যাতে রক্ত ঘরে না-ছড়িয়ে পড়ে তাই মাথাটা হাঁড়ির ভিতরে ঢুকিয়ে রাখে ৷ তবে রাত কেটে গেলে বিষয়টি কাউকে না-জানিয়ে দিব্যি পাড়ায় ঘুরে-বেড়ায় অভিযুক্ত স্বামী। স্থানীয়রা স্ত্রীর খোঁজখবর নিলে নানা অছিলায় পাশ কাটিয়ে যাচ্ছিল অভিযুক্ত। পরে বিষয়টি ওই বাড়ির ওপর এক ভাড়াটিয়াকে নিজেই জানায় রাহুল।
সে বলে, তাদের মধ্য়ে ঝগড়া হয়েছিল তারপর স্ত্রীকে মেরে ফেলেছে সে ৷ এরপরই ওই ভাড়াটিয়া স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যকে জানানোর পর পুলিশের কাছে যান। ঘটনাস্থলে মাটিগাড়া থানার পুলিশ পৌঁছে মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
আরও পড়ুন: স্ত্রীর দেহ তিন টুকরো করে পুঁতেছি, জেরায় স্বীকার ব্যক্তির