ETV Bharat / state

ডাক্তার নেই, রোগী দেখেন নার্সরাই ! - দার্জিলিং

স্বাস্থ্যকেন্দ্রে না আছে কোনও চিকিৎসক ৷ না আছে ফার্মাসিস্ট । শুধুমাত্র আছেন তিনজন নার্স ৷ দিনের পর দিন হাসপাতালে আসা রোগীদের চিকিৎসা করে চলেছেন তাঁরাই ৷

সিংরিংতাম প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র
author img

By

Published : Aug 28, 2019, 9:05 PM IST

Updated : Aug 28, 2019, 11:57 PM IST

দার্জিলিং, 28 অগাস্ট : প্রায় পাঁচ বছর ধরে ডাক্তার ছাড়াই চলছে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র । নেই ফার্মাসিস্টও । তবে রোগীরা আসেন । ওষুধও নেন । ওষুধ দেন নার্স । এলাকাবাসীর কাছে নার্সরাই এখানে ডাক্তার । চিত্রটা দার্জিলিংয়ের সিংরিংতাম প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ৷

না আছে কোনও চিকিৎসক, না আছে ফার্মাসিস্ট । শুধুমাত্র আছেন তিনজন নার্স ৷ এইরকমভাবে চলছে দার্জিলিংয়ের সিংরিংতাম প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র । ডাক্তার না থাকায় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে AVS ইঞ্জেকশন, ARV থাকে না । ফলে সাপ ও কুকুর কামড়ালে এলাকাবাসীর ভরসা আড়াই থেকে তিন ঘণ্টা দূরে দার্জিলিং জেলা হাসপাতাল । তাতেও বিপত্তি । একেই তো যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো নয় । তার উপর গাড়ি না মেলায় কার্যত বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো অবস্থা সিংরিংতাম সহ সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের । ফলে পথেই মৃত্যু হয় অনেকের ।

স্থানীয় বাসিন্দা রবীন্দ্র রানা, জীবন থুলুং, সঞ্জয় গুরুংরা জানিয়েছেন, এলাকার বাসিন্দারা খুবই সমস্যায় রয়েছেন । সিংরিতাম থেকে কোথাও যেতে হলে গাড়ি পাওয়া যায় না । সিংরিংতাম থেকে সকাল 8টা 30-এ দার্জিলিংয়ের উদ্দেশে এক-দুটি গাড়ি যায় । ওই গাড়ি ফিরে আসে বিকেলে । এছাড়া সকালে সিংরিংতামে যাওয়ার কোনও গাড়ি নেই । আর বিকেলে ফেরারও কোনও গাড়ি পাওয়া যায় না । দার্জিলিং থেকে জোড়বাংলো হয়ে ছয় মাইল হয়ে সিংরিংতামে যাওয়া যায় । পাশেই রাজ্যের পর্যটনস্থল লামাহাটা । অথচ এই এলাকার রাস্তার হাল বেহাল ৷ সমস্যায় পড়েন রোগীরা ৷

দেখুন ভিডিয়ো

স্বাস্থ্যকেন্দ্রের নার্স অলকা গুরুং বলেন, "গড়ে প্রতিদিন হাসপাতালে 35 জন করে রোগী আসেন । সাধারণত কাটা, আঘাত, জ্বর, কাশি, ডায়রিয়া, ঘা, চুলকানির মতো রোগ নিয়ে আসেন তাঁরা । ডাক্তার না থাকায় অগত্যা আমাদেরই রোগী দেখে ওষুধ দিতে হয় । অথচ এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রোগী ভরতির জন্য বেড রয়েছে । রয়েছে লেবার রুম । সবই এখন নষ্ট হওযার জোগাড় । আমাদের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্যও কেউ নেই । দিনে দু'জন D গ্রুপের স্টাফ থাকলেও রাতে নার্সদের একাই থাকতে হয় । নেই পুলিশ, এমন কী সিভিক ভলান্টিয়ারও ।"

অথচ এভাবেই চলছে দার্জিলিং পাহাড়ের চিকিৎসা পরিষেবা । কোথাও ডাক্তার আছে ৷ কোথাও নেই ৷ ভবিষ্যতে কি নিয়োগ হবে ডাক্তার ? আদৌ কি প্রশাসনের কানে যাবে এই কথা ? উত্তর অবশ্য ভবিষ্যৎই দেবে ৷

দার্জিলিং, 28 অগাস্ট : প্রায় পাঁচ বছর ধরে ডাক্তার ছাড়াই চলছে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র । নেই ফার্মাসিস্টও । তবে রোগীরা আসেন । ওষুধও নেন । ওষুধ দেন নার্স । এলাকাবাসীর কাছে নার্সরাই এখানে ডাক্তার । চিত্রটা দার্জিলিংয়ের সিংরিংতাম প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ৷

না আছে কোনও চিকিৎসক, না আছে ফার্মাসিস্ট । শুধুমাত্র আছেন তিনজন নার্স ৷ এইরকমভাবে চলছে দার্জিলিংয়ের সিংরিংতাম প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র । ডাক্তার না থাকায় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে AVS ইঞ্জেকশন, ARV থাকে না । ফলে সাপ ও কুকুর কামড়ালে এলাকাবাসীর ভরসা আড়াই থেকে তিন ঘণ্টা দূরে দার্জিলিং জেলা হাসপাতাল । তাতেও বিপত্তি । একেই তো যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো নয় । তার উপর গাড়ি না মেলায় কার্যত বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো অবস্থা সিংরিংতাম সহ সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের । ফলে পথেই মৃত্যু হয় অনেকের ।

স্থানীয় বাসিন্দা রবীন্দ্র রানা, জীবন থুলুং, সঞ্জয় গুরুংরা জানিয়েছেন, এলাকার বাসিন্দারা খুবই সমস্যায় রয়েছেন । সিংরিতাম থেকে কোথাও যেতে হলে গাড়ি পাওয়া যায় না । সিংরিংতাম থেকে সকাল 8টা 30-এ দার্জিলিংয়ের উদ্দেশে এক-দুটি গাড়ি যায় । ওই গাড়ি ফিরে আসে বিকেলে । এছাড়া সকালে সিংরিংতামে যাওয়ার কোনও গাড়ি নেই । আর বিকেলে ফেরারও কোনও গাড়ি পাওয়া যায় না । দার্জিলিং থেকে জোড়বাংলো হয়ে ছয় মাইল হয়ে সিংরিংতামে যাওয়া যায় । পাশেই রাজ্যের পর্যটনস্থল লামাহাটা । অথচ এই এলাকার রাস্তার হাল বেহাল ৷ সমস্যায় পড়েন রোগীরা ৷

দেখুন ভিডিয়ো

স্বাস্থ্যকেন্দ্রের নার্স অলকা গুরুং বলেন, "গড়ে প্রতিদিন হাসপাতালে 35 জন করে রোগী আসেন । সাধারণত কাটা, আঘাত, জ্বর, কাশি, ডায়রিয়া, ঘা, চুলকানির মতো রোগ নিয়ে আসেন তাঁরা । ডাক্তার না থাকায় অগত্যা আমাদেরই রোগী দেখে ওষুধ দিতে হয় । অথচ এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রোগী ভরতির জন্য বেড রয়েছে । রয়েছে লেবার রুম । সবই এখন নষ্ট হওযার জোগাড় । আমাদের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্যও কেউ নেই । দিনে দু'জন D গ্রুপের স্টাফ থাকলেও রাতে নার্সদের একাই থাকতে হয় । নেই পুলিশ, এমন কী সিভিক ভলান্টিয়ারও ।"

অথচ এভাবেই চলছে দার্জিলিং পাহাড়ের চিকিৎসা পরিষেবা । কোথাও ডাক্তার আছে ৷ কোথাও নেই ৷ ভবিষ্যতে কি নিয়োগ হবে ডাক্তার ? আদৌ কি প্রশাসনের কানে যাবে এই কথা ? উত্তর অবশ্য ভবিষ্যৎই দেবে ৷

Intro:বেনজির চিকিত্সা পরিষেবা,

ডাক্তার নেই পাঁচ বছর থেকে, রোগী দেখেন নার্স


দার্জিলিং,28 আগস্ট: বেনজির । প্রায় পাঁচ বছর ধরে ডাক্তার ছাড়াই চলছে হাসপাতাল । নেই ফার্মাসিস্টও । তবে এই হাসপাতালে রোগীরা আসেন । ওষুধও নেন । তবে ওষুধ দেন নার্স । এলাকার লোকেদের কাছে নার্সই এখানে ডাক্তার । কেননা, ডাক্তার না থাকলেও হাসপাতালে আসা এলাকার রোগীদের দেখে ওষুধ দিতে হয় নার্সকেই । দার্জিলিংয়ের একটি সরকারি হাসপাতালে দিনের পর দিন চলছে এই অবস্থা । নাম সিংরিংতাম প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র ।এই হাসপাতালে না আছে কোনোও চিকিত্সক,না আছে ফার্মাসিস্ট । কেবলমাত্র তিনজন নার্স নিয়ে চলছে দার্জিলিং পাহাড়ের এই সরকারি হাসপাতাল ।Body:ডাক্তার না থাকায় এই হাসপাতালে এভিএস ইঞ্জেকশন ,এআরভি থাকে না । ফলে সাপ ও কুকুরে কামড়ালে ওই এলাকার লোকেদের ভরসা আড়াই থেকে তিন ঘন্টা দূরে দার্জিলিং জেলা হাসপাতাল । কিন্তু তাতেও বিপত্তি । কেননা,একেই তো যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো নয় ।তার উপর গাড়ি না মেলায় কার্যত বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো অবস্থা সিংরিংতাম সহ সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের ।ফলে পথেই মৃত্যু হয় অনেকের । স্থানীয় বাসিন্দা রবীন্দ্র রাণা, জীবন থুলুং,সঞ্জয় গুরুংরা জানিয়েছেন,এলাকার বাসিন্দারা খুবই সমস্যায় রয়েছেন । সিংরিতাম থেকে কোথাও যেতে আসতে হলে গাড়ি পাওয়া যায় না। সিংরিংতাম থেকে সকাল সাড়ে আটটায় দার্জিলিংয়ের উদ্দেশে এক -দুটি গাড়ি যায় । ওই গাড়ি ফিরে আসে বিকেলে । এছাড়া সকালে সিংরিংতামে যাওয়ার কোনোও গাড়ি নেই । আর বিকেলে ফেরারও কোনোও গাড়ি পাওয়া যাবে না । দার্জিলিং থেকে জোড়বাংলো হয়ে ছয় মাইল হয়ে সিংরিংতামে যাওয়া যায় । পাশেই রাজ্যের মুখমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি মনকাড়া পর্যটনস্থল লামাহাটা । অথচ এই এলাকার রাস্তার অবস্থা যেমন শোচনীয় তেমনি বেহাল হাসপাতালের পরিষেবার অবস্থা। ওই হাসপাতালের নার্স অলকা গুরুং বলেন, গড়ে প্রতিদিন হাসপাতালে 35 জন করে রোগী আসেন । রোগীরা সাধারণত কাটা,আঘাত,জ্বর,কাশি,ডায়রিয়া, ঘা, চুলকানির মতো রোগ নিয়ে আসেন । ডাক্তার না থাকায় অগত্যা নার্সদেরকেই রোগী দেখে ওষুধ দিতে হয় ।
অথচ এই হাসপাতালে রোগী ভর্তির জন্য বেড রয়েছে । রয়েছে লেবার রুম । সবই এখন নষ্ট হওযার জোগাড় । তিনি বলেন, ওই হাসপাতালে তাদের কোনো নিরাপত্তাদেওয়ার কেউ নেই । দিনে দুজন ডি গ্রুপের স্টাফ থাকলেও রাতে নার্সদের একাই থাকতে হয় । নেই পুলিশ,এমনকী সিভিক ভলান্টিয়ারও ।Conclusion:এভাবেই চলছে দার্জিলিং পাহাড়ের চিকিত্সা পরিষেবা । কোথাও ডাক্তার আছে,আবার কোথাও নেই দিনের পর দিন । ফার্মাসিস্ট তো বটেই নার্সকেও রোগী দেখতে হয় ওই সব সরকারি হাসপাতালে ।
Last Updated : Aug 28, 2019, 11:57 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.