দার্জিলিং, 2 জুলাই: মণিপুরের টুপুল রেলওয়ে ইয়ার্ডে ধসের (Manipur Landslide) ঘটনায় মৃত জওয়ানদের দেহ ফিরল শিলিগুড়িতে ৷ শনিবার সকালে সেনার বিশেষ হেলিকপ্টারে দু’দফায় মৃত জওয়ানদের দেহ ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয় ৷ মণিপুর থেকে বাগডোগরা বিমানবন্দরের বায়ুসেনা ঘাঁটির আলফা জোনে নিয়ে আসা হয় ৷ প্রথমে ছয় জন এবং পরে আরও পাঁচ সেনা জওয়ানের দেহ নিয়ে আসা হয় ৷ বিমানবন্দর থেকে তাঁদের দেহগুলি নিয়ে যাওয়া হয় ব্যাঙডুবি সেনা ছাউনিতে ৷ সেখানে জওয়ানদের 'গার্ড অফ অনার' দেওয়া হয় (Guard of Honor to Soldiers of Bengal who Died in Landslide of Manipur) ৷ পরে সড়কপথে জওয়ানদের দেহ তাঁদের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয় ৷
সেনার তরফে জানানো হয়েছে, টুপুল রেলওয়ে ইয়ার্ডে ধসে চাপা পড়ে মৃত জওয়ানরা হলেন, কার্শিয়াং মহকুমার রোহিনী গৈরি গাঁওয়ের বাসিন্দা 18 ডোগরা ব্যাটেলিয়নের হাবিলদার মিলন তামাং ও রঙ্গবুলের গোর্খা বস্তির বাসিন্দা নায়েব সুদেবার সীতারাম রাই ৷ দার্জিলিঙের মেরিবঙের চুংথুংয়ের বাসিন্দা 19 ডোগরা ব্যাটেলিয়নের নায়েক দিওয়াঙ্কর থাপা, রঙ্গলি রঙ্গলিয়টের বাসিন্দা 5 আসাম রাইফেলসয়ের রাইফেলম্যান বেঞ্জামিন, সিংমারি নবীন গ্রামের বাসিন্দা 3/1 গ্রেনেডিয়ার্স ব্যাটেলিয়নের রাইফেলম্যান মার্কাস গুরুং, মিরিকের মুরমা মারাধুরার বাসিন্দা 13 জাক রাইফেলস ব্যাটেলিয়নের লিঙ্কম্যান বিশাল ছেত্রী, কার্শিয়াঙের গৌরীশঙ্কর চা বাগানের বাসিন্দা 15 জাক ব্যাটেলিয়নের হাবিলদার বেধ্যান রাই, হ্যাপি ভ্যালি চা বাগানের বাসিন্দা 5/9 গ্রেনেডিয়ার্সের লিঙ্কম্যান ভুপেন রাই, নাগরিসপুরের নাগারি চা বাগানের বাসিন্দা 2/1 গ্রেনেডিয়ার্স ব্যাটেলিয়নের রাইফেলম্যান লাদুপ তামাং, জলপাইগুড়ির কলাবাড়ির খেরকাটা বস্তির বাসিন্দা 3 আসাম রাইফেলসের রাইফেলম্যান শঙ্কর ছেত্রী ও উত্তর সিকিমের লিন্দগেমের বাসিন্দা 12 রাজপুত রাইফেলসের নায়েক শেরিং লেপচা ৷
আরও পড়ুন: Manipur Landslide: ফিরছে টুপুল ধসে মৃত সেনাদের দেহ, শেষ শ্রদ্ধা জানাতে তৈরি পাহাড়
এ দিন মৃত জওয়ারদের শেষশ্রদ্ধা জানাতে ব্যাঙডুবি সেনা ছাউনিতে স্থানীয় পুলিশ এবং প্রশাসনিক আধিকারিক, জনপ্রতিনিধি সহ পাহাড়ের বহু মানুষ উপস্থিত ছিলেন ৷ জিটিএ নির্বাচনে জয়ী ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার সভাপতি অনিত থাপা ৷ মাটিগাড়া নকশালবাড়ির বিধায়ক আনন্দময় বর্মন, শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, ফাঁসিদেওয়ার বিধায়ক দুর্গা মুর্মু, দার্জিলিং জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ সহ অন্যান্যরা ৷
অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মী মণিকুমার রাই বলেন, ‘‘আমাদের কাছে সত্যিই খুব দুঃখের সময় ৷ সমগ্র পাহাড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে ৷ এর আগে এইভাবে এত জন সেনার মৃত্যু হয়নি ৷ তার মধ্যে অধিকাংশই দার্জিলিঙের ৷ বিধায়ক আনন্দময় বর্মন বলেন, ‘‘দেশের কাছে আজ গভীর শোকের দিন ৷ এখানে আমরা তাঁদের শেষশ্রদ্ধা জানালাম ৷’’