কালিম্পং, 8 অক্টোবর: রাজভবন থেকে বেরিয়ে তিস্তা নদীর জলোচ্ছ্বাসে ক্ষতিগ্রস্ত কালিম্পং জেলার তিস্তা বাজার এলাকা পরিদর্শনে গেলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রবিবার দুপুরে তিনি ওই এলাকায় পৌঁছন। এলাকায় এসে ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শন করেন ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সঙ্গেও তিনি দেখা করেন। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সঙ্গে কথা বলে তাদের এই মুহূর্তে কী পরিস্থিতি এবং কী সমস্যায় তারা রয়েছেন, সেসব কিছু জেনে নেওয়ারও চেষ্টা করেন রাজ্যপাল।
উত্তরবঙ্গে বন্য়া পরিস্থিতি সামনে আসার পরই ছুটে গিয়েছেন রাজ্য়পাল আনন্দ বোস ৷ অন্য়দিকে, সেই সময়ই কেন্দ্রের কাছে 100 দিনের কাজের যে বকেয়া পাওনা রয়েছে রাজ্যের, তা মিটিয়ে দেওয়ার দাবিতে রাজভবনের সামনে ধরনা অবস্থানে বসেছে তৃণমূল কংগ্রেস ৷ যার নেতৃত্ব দিচ্ছেন খোদ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় ৷ তাদের সাফ দাবি, রাজ্য়ে 100 দিনের কাজের ভুক্তভোগীদের সঙ্গে দেখা করতে হবে রাজ্যপালের এবং তাদের দাবি দাওয়া পৌঁছে দিতে হবে কেন্দ্রের কাছে ৷ কিন্তু তারপরও রাজ্য়পাল উত্তরবঙ্গ থেকে ফেরেননি ৷ এদিকে নিজেদের অবস্থানেও অনড় তৃণমূল ৷
জানা গিয়েছে, এদিন বন্যা কবলিত এলাকার মানুষের সঙ্গে রাজ্যপাল কথা বলার সময় স্থানীয় মানুষরা রাজ্যপালের কাছে দাবি জানিয়েছেন যাতে, এই মুহূর্তে তাদের নতুন করে বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হয় সরকারের তরফে। এছাড়াও ওই এলাকায় তিস্তা বাঁধের কারণে বাড়িঘর মাঝেমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এই পরিস্থিতিতে তিস্তা নদীতে একটি 'প্রোটেকশন ওয়াল'-এরও দাবি তোলা হয় রাজ্যপালের কাছে। এদিন সমস্ত এলাকা পরিদর্শন করে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যপাল জানান, সমস্ত বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখে কেন্দ্রকে রিপোর্ট দেবেন।
আরও পড়ুন: অভিষেকের ধরনা থেকে নজর ঘোরাতেই সিবিআই তৎপরতা বলছে তৃণমূল
পাশাপাশি বিভিন্ন সংগঠন ও সংস্থার সহযোগিতায় স্থানীয় মানুষদের কীভাবে সাহায্য করা যায় সেই ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণ করার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বলেন, "আমি ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলে বাস্তবটা জানতে চাইছি। সেই রিপোর্ট আমি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে তুলে ধরব। এখন মূল লক্ষ্য হবে উদ্ধারকাজ। প্রকৃতির রোষে মনুষ্য সমাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমাদের প্রকৃতিকে সংরক্ষণ করা উচিৎ।" তিনি কলকাতার রাজভবনে যাবেন কি না, তা নিয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, "আমাকে যদি এখানে স্থায়ীভাবে থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয় তবে আমি তা বিবেচনা করে দেখব।"