দার্জিলিং, 18 এপ্রিল: শৈলশহর দার্জিলিং যেতে হলে মাঝে পড়ে কার্শিয়াং ৷ পর্যটকদের গাড়ি থামে এখানে ৷ তবে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে দার্জিলিংয়ের তুলনায় কম জনপ্রিয় কার্শিয়াং ৷ এবার এই শহরকে আকর্ষণীয় করার উদ্যোগ নিল জিটিএ ৷ এখানে ক্লক টাওয়ার বানিয়েছে গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়্যাল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ৷
আগে পর্যটকদের শৈলরানী দার্জিলিংই মূল আকর্ষণ ছিল ৷ দার্জিলিংয়ের ম্যাল, ঘুম স্টেশন, টাইগার হিল, বাতাসিয়া লুপ- এই সব দেখতে আসত পর্যটকেরা । বিগত সাত- আট বছর আগেও দার্জিলিং ও মিরিকের লেক বাদে পর্যটকদের কাছে পাহাড়ে তেমন কোনও পর্যটন কেন্দ্র জানা ছিল না ৷ এদিকে দার্জিলিং প্রবেশের অন্যতম মূল পথ সুন্দর পাহাড়ি শহর কার্শিয়াং, যা অধরাই ছিল । দার্জিলিং পৌঁছনোর আগে ছোট একটা স্টপেজ বা একটি বিশ্রামের জায়গা এই শহর । পাহাড়ি রাস্তায় টানা যাত্রার পর কার্শিয়াংয়ে কিছুটা সময় কাটিয়ে ফের পর্যটকরা রওনা দিতেন শৈলরানীর উদ্দেশ্যে ৷ এবার কার্শিয়াংকে গুরুত্বপূর্ণ পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে চাইছে জিটিএ ৷
রবিবার সন্ধ্য়ায় কার্শিয়াং চৌরাস্তায় এই ক্লক টাওয়ারের উদ্বোধন হয় ৷ এর আরেকটি বিশেষত্ব, প্রস্রাবের জায়গায় এই টাওয়াটি বানিয়েছে জিটিএ ৷ পর্যটকদের নিরাপত্তার স্বার্থে বসানো হয়েছে 55টি সিসিটিভি ক্যামেরা ৷ দার্জিলিংয়ে চৌরাস্তায় রয়েছে একটি ক্লক টাওয়ার। কালিম্পংয়ের ডম্বর চকেও রয়েছে ৷
মোটর স্ট্যান্ডের কাছে থাকা এই জায়গাটি পর্যটক ছাড়া সাধারণ মানুষ প্রস্রাবের জন্য ব্যবহার করত ৷ সেখানে এখন ক্লক টাওয়ার ৷ এর জন্য 15 লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে ৷ রাতে আলোর খেলায় আরও আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে টাওয়ারটি । এ প্রসঙ্গে জিটিএ চিফ এগজিকিউটিভ অনিত থাপা বলেন, "আগে নেতারা পাহাড়ের কার্শিয়াংকে প্রস্রাবের জায়গা হিসেবে গড়ে তুলেছিল ৷ কার্শিয়াংও যে পর্যটনে পিছিয়ে নেই, সেটা তারা ভাবতে পারেনি ৷ তাই এই জায়গাতে ক্লক টাওয়ার নির্মাণ করা হয়েছে ৷ পাহাড়ে জঞ্জাল পরিষ্কার করে শহরের পরিচ্ছন্নতায় গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে ৷ পাহাড়ের সৌন্দর্য ও দূষণহীন সুস্থ প্রাকৃতিক পরিবেশ বজায় রাখতে নিয়মিত বর্জ্য পদার্থ সরানো হয় ৷ এতে সরকারের সঙ্গে সঙ্গে সাধারণ মানুষের সহযোগিতা প্রয়োজন ৷" জিটিএ-র মুখ্য সচিব তথা দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক এস পুন্নমবলম বলেন, "কার্শিয়াং এখন পাহাড়ে পর্যটনের অন্যতম জায়গা ৷ পাহাড়ের আসল সৌন্দর্য কার্শিয়াং থেকেই শুরু হয় ৷ আর এই ধরনের প্রকল্প পাহাড়ের সৌন্দর্যকে আরও বৃদ্ধি করবে ৷"
আরও পড়ুন: জিটিএ ছাড়া পাহাড়ের স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান অসম্ভব, রাজ্যপালের কাছে দাবি বিজেপি বিধায়কের