ETV Bharat / state

GJM Withdraws Support: জিটিএ চুক্তি থেকে সমর্থন প্রত্যাহার মোর্চার, সরগরম দার্জিলিংয়ের রাজনীতি

জিটিএ চুক্তি (GTA Agreement) থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা । সমর্থন প্রত্যাহারের কথা জানিয়ে তারা চিঠি দিল রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীকে । এই নিয়ে শুক্রবার সরগরম শৈলরানি দার্জিলিংয়ের (Darjeeling) রাজনীতি ৷

GJM Withdraws Support
GJM Withdraws Support
author img

By

Published : Jan 27, 2023, 5:27 PM IST

Updated : Jan 27, 2023, 6:37 PM IST

জিটিএ চুক্তি থেকে সমর্থন প্রত্যাহার মোর্চার

শিলিগুড়ি, 27 জানুয়ারি: ফের সরগরম শৈলরানির রাজনীতি । এবার জিটিএ (GTA) বা গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়্যাল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন চুক্তি থেকে সই প্রত্যাহার করল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা (Gorkha Janmukti Morcha) । শুক্রবার সই প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত লিখিত আকারে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছে দলের তরফ থেকে । শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে একথা জানান মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি । তাঁর দাবি, "জিটিএ গোর্খাদের উন্নয়নের উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছিল । কিন্তু এতবছরেও তা কোনোভাবেই গোর্খাদের উন্নয়নের পক্ষে কোনও কাজ করেনি । সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ।"

উল্লেখ্য, 2011 সালের 18 জুলাই শিলিগুড়ির পিন্টেল ভিলেজে কেন্দ্র, রাজ্য ও গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার (GJM) মধ্যে ত্রিপাক্ষিক চুক্তি সাক্ষরিত হয়েছিল । তৎকালীন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরম, দার্জিলিংয়ের তৎকালীন সাংসদ যশবন্ত সিনহা, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) উপস্থিতিতে ওই চুক্তি হয় ও গঠিত হয় জিটিএ । পরবর্তীতে এই জিটিএ চুক্তি আইনে পরিবর্তিত হয়ে যায় । এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে ওই সই প্রত্যাহার কতটা প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ।

যদিও রোশন বলেন, "আমরা আমাদের সই প্রত্যাহারের মাধ্যমে সমর্থন উঠিয়ে নিলাম । এরপরে আগামীতে জিটিএ-এর ভাগ্য সম্পূর্ণভাবে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করবে ।" চুক্তি থেকে সমর্থন ও সই প্রত্যাহারের কথা জানিয়ে দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi), স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাঠানো হয়েছে মোর্চার তরফে ।

আর মোর্চার ওই সমর্থন প্রত্যাহারের বিষয়টি চাউর হতেই জোর জল্পনার সৃষ্টি হয়েছে পাহাড়ে । যদিও এদিন রোশন গিরির অভিযোগ, "আমরা পরবর্তীতে পাহাড়, তরাই ও ডুয়ার্সে কোনোরকম অশান্তি, আন্দোলন করব না । আমাদের আন্দোলন হবে দিল্লিমুখি । আমরা জিটিএ-র জন্য 396টি মৌজা অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছিলাম । কিন্তু মাত্র পাঁচটি মৌজা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল । বাদ দেওয়া হয়েছে তরাই, ডুয়ার্সকে । এসবের জন্যই আমরা সমর্থন প্রত্যাহার করলাম ৷"

GJM Withdraws Support
জিটিএ থেকে সমর্থন প্রত্যাহারে মোর্চার চিঠি

এদিকে সমর্থন প্রত্যাহার নিয়ে পালটা মোর্চাকেই একহাত নিয়েছেন জিটিএ-র বর্তমান কার্যনির্বাহী আধিকারিক অনিত থাপা (GTA CEO Anit Thapa) । তিনি বলেন, "মোর্চার নেতারা আইন, চুক্তি সম্পর্কেই ঠিকমতো জানে না । এরা আবার পাহাড়ের নেতা হয়েছেন । সবই হেরো নেতা । নির্বাচনে জিততে পারেনি । জিটিএ নির্বাচন হয়ে গিয়েছে, আর আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছি । আমরা নির্বাচিত হয়েছি । ফলে তাঁদের কথার আর কোনও গুরুত্ব নেই ।"

ওই বিষয়ে তৃণমূল নেতা তথা শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব বলেন, "শূন্যর সঙ্গে শূন্য যুক্ত হলে ফলাফল শূন্যই হয় । ফলে গুরুত্বহীন নেতার গুরুত্বহীন কথার কোনও মানে হয় না । এখন পাহাড় শান্ত রয়েছে । মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়ের নেতৃত্বে পাহাড়ে উন্নয়ন হচ্ছে । বিজেপি (BJP) সত্যিই কিছু করেনি । প্রতিবার বিধানসভা অথবা লোকসভা নির্বাচনের আগে এই ধরনের জিগির তোলা হয় ।"

এই বিষয়ে সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্য বলেন, "এসব নিয়ে যা বলার মুখ্যমন্ত্রীকেই বলা উচিত । তবে এসব প্রসঙ্গ নির্বাচনের আগেই ওঠে । তবে জিটিএ চুক্তি থেকে সই প্রত্যাহার করলেই সব হবে তা হয় না ।"

আরও পড়ুন: পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে ফের প্রচারে বিমল-অজয়-বিনয়, তবে কি পাহাড়ে অশান্তির মেঘ ?

জিটিএ চুক্তি থেকে সমর্থন প্রত্যাহার মোর্চার

শিলিগুড়ি, 27 জানুয়ারি: ফের সরগরম শৈলরানির রাজনীতি । এবার জিটিএ (GTA) বা গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়্যাল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন চুক্তি থেকে সই প্রত্যাহার করল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা (Gorkha Janmukti Morcha) । শুক্রবার সই প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত লিখিত আকারে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছে দলের তরফ থেকে । শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে একথা জানান মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি । তাঁর দাবি, "জিটিএ গোর্খাদের উন্নয়নের উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছিল । কিন্তু এতবছরেও তা কোনোভাবেই গোর্খাদের উন্নয়নের পক্ষে কোনও কাজ করেনি । সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ।"

উল্লেখ্য, 2011 সালের 18 জুলাই শিলিগুড়ির পিন্টেল ভিলেজে কেন্দ্র, রাজ্য ও গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার (GJM) মধ্যে ত্রিপাক্ষিক চুক্তি সাক্ষরিত হয়েছিল । তৎকালীন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরম, দার্জিলিংয়ের তৎকালীন সাংসদ যশবন্ত সিনহা, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) উপস্থিতিতে ওই চুক্তি হয় ও গঠিত হয় জিটিএ । পরবর্তীতে এই জিটিএ চুক্তি আইনে পরিবর্তিত হয়ে যায় । এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে ওই সই প্রত্যাহার কতটা প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ।

যদিও রোশন বলেন, "আমরা আমাদের সই প্রত্যাহারের মাধ্যমে সমর্থন উঠিয়ে নিলাম । এরপরে আগামীতে জিটিএ-এর ভাগ্য সম্পূর্ণভাবে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করবে ।" চুক্তি থেকে সমর্থন ও সই প্রত্যাহারের কথা জানিয়ে দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi), স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাঠানো হয়েছে মোর্চার তরফে ।

আর মোর্চার ওই সমর্থন প্রত্যাহারের বিষয়টি চাউর হতেই জোর জল্পনার সৃষ্টি হয়েছে পাহাড়ে । যদিও এদিন রোশন গিরির অভিযোগ, "আমরা পরবর্তীতে পাহাড়, তরাই ও ডুয়ার্সে কোনোরকম অশান্তি, আন্দোলন করব না । আমাদের আন্দোলন হবে দিল্লিমুখি । আমরা জিটিএ-র জন্য 396টি মৌজা অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছিলাম । কিন্তু মাত্র পাঁচটি মৌজা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল । বাদ দেওয়া হয়েছে তরাই, ডুয়ার্সকে । এসবের জন্যই আমরা সমর্থন প্রত্যাহার করলাম ৷"

GJM Withdraws Support
জিটিএ থেকে সমর্থন প্রত্যাহারে মোর্চার চিঠি

এদিকে সমর্থন প্রত্যাহার নিয়ে পালটা মোর্চাকেই একহাত নিয়েছেন জিটিএ-র বর্তমান কার্যনির্বাহী আধিকারিক অনিত থাপা (GTA CEO Anit Thapa) । তিনি বলেন, "মোর্চার নেতারা আইন, চুক্তি সম্পর্কেই ঠিকমতো জানে না । এরা আবার পাহাড়ের নেতা হয়েছেন । সবই হেরো নেতা । নির্বাচনে জিততে পারেনি । জিটিএ নির্বাচন হয়ে গিয়েছে, আর আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছি । আমরা নির্বাচিত হয়েছি । ফলে তাঁদের কথার আর কোনও গুরুত্ব নেই ।"

ওই বিষয়ে তৃণমূল নেতা তথা শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব বলেন, "শূন্যর সঙ্গে শূন্য যুক্ত হলে ফলাফল শূন্যই হয় । ফলে গুরুত্বহীন নেতার গুরুত্বহীন কথার কোনও মানে হয় না । এখন পাহাড় শান্ত রয়েছে । মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়ের নেতৃত্বে পাহাড়ে উন্নয়ন হচ্ছে । বিজেপি (BJP) সত্যিই কিছু করেনি । প্রতিবার বিধানসভা অথবা লোকসভা নির্বাচনের আগে এই ধরনের জিগির তোলা হয় ।"

এই বিষয়ে সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্য বলেন, "এসব নিয়ে যা বলার মুখ্যমন্ত্রীকেই বলা উচিত । তবে এসব প্রসঙ্গ নির্বাচনের আগেই ওঠে । তবে জিটিএ চুক্তি থেকে সই প্রত্যাহার করলেই সব হবে তা হয় না ।"

আরও পড়ুন: পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে ফের প্রচারে বিমল-অজয়-বিনয়, তবে কি পাহাড়ে অশান্তির মেঘ ?

Last Updated : Jan 27, 2023, 6:37 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.