দার্জিলিং, 14 নভেম্বর: তারা অবহেলিত । তারা ব্রাত্য । তাদের কাছে শিশু দিবস (Children Day) আর পাঁচটা দিনের মতোই স্বাভাবিক । বলতে গেলে অনেকটাই ম্লান । এবার তাদের অভিনব উপহার দিল দার্জিলিং হিমালয়ান রেল কর্তৃপক্ষ (Darjeeling Himalayan Railway) । ঘুম ফেস্টিভ্যালের অংশ হিসেবে শিশু দিবসে বিশেষভাবে সক্ষম, দুঃস্থ ও অনাথ শিশুদের টয়ট্রেনে ভ্রমণ করাল ডিএইচআর ।
কাঁচে মোড়া কামড়ায় স্টিম ইঞ্জিনের কুন্ডলীপাকানো ধোঁয়ায় কু-ঝিক-ঝিক শব্দে টয়ট্রেনে করে পাহাড় ঘুরল তারা । বেলুনে সাজানো গোটা ট্রেনের কামরা । আর জীবনে প্রথম টয়ট্রেনে চলতে পেরে ভীষণ খুশি শিশুরা ।
12 নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে দ্বিতীয় দার্জিলিং হিমালয়ান ঘুম ফেস্টিভ্যাল । আর তারই অংশ হিসেবে এদিন শিশু দিবসে 20 জন বিশেষভাবে সক্ষম, অনাথ দুঃস্থ শিশুদের টয়ট্রেনে শিলিগুড়ি জংশন থেকে রংটং পর্যন্ত পাহাড়ি রাস্তায় ভ্রমণ করানো হল । স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সহযোগিতায় ওই শিশুদের এদিন ভ্রমণ করানো হয় । মাঝে যাত্রাপথে দেওয়া হয় খাওয়ারও । ফলে এবারের শিশু দিবস আলাদাভাবে কাটল তাদের ।
দার্জিলিং হিমালয়ান রেলের ডিরেক্টর প্রিয়াংশু বলেন, "ঘুম ফেস্টিভ্যালের অংশ হিসেবে আমরা এবার শিশু দিবসে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সহযোগিতায় বিনামূল্যে টয়ট্রেন ভ্রমণের ব্যবস্থা করেছি ।" স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্য অনুপ বসু বলেন, "সমাজে পিছিয়ে পড়া শিশুদের নিয়ে এবার আমরা একটু আলাদাভাবে শিশু দিবস পালন করার চেষ্টা করেছি । সেজন্য রেল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই ।"
আরও পড়ুন: শুরু হল মাসব্যাপী ঘুম উৎসব, বিভিন্ন রঙিন আলোয় সাজল স্টেশন
টয়ট্রেনে ঘোরার পর উদয় রায় বলে, "আমার খুব ভালো লাগছে । এই প্রথমবার টয়ট্রেনে চড়লাম ।" বিশেষভাবে সক্ষম যুবক বিমল মাহাতো বলেন, "অন্যান্যবার আমরা ছোটখাটো অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে শিশু দিবস পালন করি । কিন্তু এবার আমরা টয়ট্রেনে চড়ার সুযোগ পেয়েছি । খুব ভালো লাগছে । দেখতে না-পেলেও পাহাড়ের প্রাকৃতিক পরিবেশ উপভোগ করলাম ।" জ্যোতি তির্কি বলেন, "আমাদের খুব ভালো লাগছে । এই প্রথমবার টয়ট্রেনে চড়লাম ।"