শিলিগুড়ি, 20 মে : একইসঙ্গে স্ক্রাব টাইফাস ও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত একটি শিশু (four year old boy diagnosed with scrub typhus disease in siliguri)। করোনার সংক্রমণের আতঙ্ক কমলেও শিলিগুড়ি শহরে গত দেড়মাস ধরে কয়েকমাস ধরে ডেঙ্গু জ্বরের দাপট চলছে ৷ শহরে ক্রমে বেড়েই চলেছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা । আর এবার সেই তালিকায় সংযোজন হল স্ক্রাব টাইফাসের নাম ।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, শিলিগুড়ি পৌরনিগমের 36 নম্বর ওয়ার্ডের বিনয় মোড়ের এক চার বছরের শিশু ডেঙ্গু ও স্ক্রাব টাইফাসে আক্রান্ত হয়েছে । পাশাপাশি 46 নম্বর ওয়ার্ডের এক বাসিন্দাও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে । শিশুটি বর্তমানে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের পিডিয়াট্রিক্স বিভাগে চিকিৎসাধীন । গতকাল শিশুটির কাঁপুনি দিয়ে জ্বর ও বমি হলে হাসপাতালে ভর্তি করে পরিবারের সদস্যরা । তড়িঘড়ি রক্তের নমুনা পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে ভাইরাল রিসার্চ অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয় ।
রিপোর্টে ধরা পড়ে শিশুটি স্ক্রাব টাইফাস রোগে আক্রান্ত । এরপর শিশুটির ম্যাক এলাইজা পরীক্ষা করলে ডেঙ্গুর রিপোর্টও পজিটিভ আসে । যা নিয়ে শিলিগুড়ি শহরে শোরগোল পরে যায় । শুক্রবার সকালে এই খবর শুনে তড়িঘড়ি নিজের এলাকায় যান 36 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রঞ্জন শীল শর্মা। তিনি গোটা এলাকায় মশা মারার ধোঁয়া স্প্রে করান । কাউন্সিলর বলেন, "জানা মাত্র আমি গোটা এলাকায় ফগিং ও স্প্রেয়িংয়ের কাজ করাচ্ছি । সবাইকে অনুরোধ করেছি মশারি ব্যবহার করার জন্য ।"
আরও পড়ুন : চা শ্রমিকের মৃত্যু, শিলিগুড়িতে বাড়ছে ডেঙ্গির প্রকোপ
পৌরনিগম সূত্রে জানা গিয়েছে, গত তিনমাসে শিলিগুড়ি পৌরনিগম এলাকায় মোট 14 জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন । যার মধ্যে 12 জনই গত দেড় মাসে আক্রান্ত হয়েছেন । উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে । এখনও পর্যন্ত উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি রয়েছে ছয় জন । যার মধ্যে ফিভার ওয়ার্ডে তিন জন, মহিলা মেডিসিন বিভাগে দু'জন ও একজন পিডিয়াট্রিক্স বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছে । তবে উদ্বেগের বিষয় হল, ডেঙ্গুর পাশাপাশি 4 বছরের শিশুটির মাকড়সার কামড়ে স্ক্রাব টাইফাসের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়া ৷ এই বিষয়ে শিলিগুড়ি পৌরনিগমের মেয়র গৌতম দেব বলেন, "বিষয়টি জানা মাত্র আমরা সার্ভের কাজ শুরু করেছি । সাফাই অভিযান চলছে । নিকাশি নালাগুলো পরিষ্কারের কাজ চলছে ।"