শিলিগুড়ি, 3 অক্টোবর: দু'টি পৃথক অভিযানে বড়সড় সাফল্য পেল কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা বিভাগ ও স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। পাচারের আগে উদ্ধার হল কোটি টাকার সোনা ও বিপুল পরিমাণ মাদক। ঘটনায় ভীন রাজ্যের দুই পাচারকারী-সহ গ্রেফতার মোট চারজন। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শহরে।
কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা বিভাগ (ডিআরআই) সূত্রে জানা গিয়েছে, ইন্দো-বাংলাদেশ সীমান্ত পার করে ভারতে ঢোকে ওই সোনা। এরপর ত্রিপুরা থেকে গুয়াহাটি হয়ে ট্রেনে করে পাচার করার পরিকল্পনা ছিল ওই সোনার বিস্কুটগুলি। গোপন সূত্রের খবরের ভিত্তিতে বিষয়টি জানতে পেরে বুধবার রাতে নিউ জলপাইগুড় স্টেশনে অভিযান চালায় ডিআরআই। এরপর স্টেশনে দাড়িয়ে থাকা সম্পর্কক্রান্তি এক্সপ্রেস থেকে অঙ্কিত তক এবং কমলেশ ঘাঞ্চি নামে প্রথমে দু'জনকে গ্রেফতার করে ডিআরআই। দুজনেই রাজস্থানের বাসিন্দা। তল্লাশি নিলে তাঁদের কাছ থেকে একটি লাগেজ ব্যাগ উদ্ধার হয় ৷ তাতে প্যাকেটে মোড়া অবস্থায় চারটি সোনার বিস্কুট উদ্ধার হয়।
যার ওজন প্রায় 1 কেজি 768 গ্রাম। যার আনুমানিক বাজার মূল্য 1 কোটি 7 লক্ষ টাকা। ধৃতদের বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ি আদালতে তোলা হয়। সরকারি আইনজীবী রতন বণিক বলেন, "ধৃতদের জামিনের আবেদন খারিজ করে 14 দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। ওই সোনার বিস্কুটগুলি কলকাতায় পাচারের পরিকল্পনা ছিল। ঘটনায় আর কেউ জড়িত রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে ডিআরআই।"
অন্যদিকে, পিকআপ ভ্যানের ভিতর গোপন চেম্বার বানিয়ে বিপুল পরিমাণ গাঁজা পাচারের ছক বানচাল করল রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। বৃহস্পতিবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শিলিগুড়ি সংলগ্ন মাটিগাড়ায় অভিযান চালিয়ে প্রায় দেড় কুইন্টাল গাঁজা উদ্ধার করল এসটিএফ। উদ্ধার হওয়া গাঁজার আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় 15 লক্ষ টাকা। ঘটনায় কোচবিহারের স্টেশন চৌপাথির বাসিন্দা প্রদীপ সরকার ও পুন্ডিবাড়ির বাসিন্দা সুদীপ দাস নামে দুজনকে গ্রেফতার করেছে এসটিএফ।
কোচবিহারের নিশিগঞ্জ থেকে ওই গাঁজা বিহারে পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এসটিএফের ডিএসপি (উত্তরবঙ্গ) সুদীপ ভট্টাচার্য বলেন, "প্রাথমিক জেরায় ধৃতরা আরও বেশ কয়েকজনের নাম বলেছে। তাদের উদ্দেশ্যেও খোঁজ চলছে। ধৃতদের শুক্রবার আদালতে তুলে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। মাটিগাড়া থানায় মাদক পাচারের একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। আর কারা এই ঘটনায় জড়িত রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।"
আরও পড়ুন: ন্যূনতম বিক্রয়মূল্য থেকে 10 টাকা বেশি নেওয়ায় 20 লাখ টাকা জরিমানা!